চট্টগ্রাম তথা উপমহাদেশের প্রাচীনতম সঙ্গীত শিক্ষাকেন্দ্র আর্য্য সঙ্গীত সমিতির সুরেন্দ্র সঙ্গীত বিদ্যাপীঠের প্রাণপুরুষ সঙ্গীতাচার্য্য সুরেন্দ্র লাল দাশ’র ১২৮ তম জন্মজয়ন্তী গত ১৯ জানুয়ারি রবিবার সমিতির সুরেন্দ্র স্মৃতি মঞ্চে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন করা হয়। সন্ধ্যা সাতটায় শুভানুষ্ঠানের প্রারম্ভে সমিতির সঙ্গীত বিদ্যাপীঠের সহ-সভাপতি উপাধ্যক্ষ পণ্ডিত নির্মলেন্দু চৌধুরী’র রচিত প্রাক্তণ অধ্যক্ষ প্রয়াত উস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়ার সুরারোপিত ” সুরের ইন্দ্র হে সুরেন্দ্র সুরের তাপস তুমি ” অংশগ্রহণে শিমু দেব, সীমা পাল, প্রজ্ঞা পাল, ইসরাত রিনা খান, রুম্পি চৌধুরী, পাম্পি চৌধুরী ও অনিন্দিতা। সমবেত সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। সমিতির অধ্যক্ষ উস্তাদ মিহির লালা উদ্বোধনী বক্তব্যের পর উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রণব দাশ, চৈতি দে, গৌরী নন্দী। সমবেত রবীন্দ্র সঙ্গীত ‘দুই হাতে কালের মন্দিরা’। একক ও দ্বৈত রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশনা করেন ‘যেতে যেতে চায়না যেতে’ রুম্পি চৌধুরী, ‘আমার সকল দু:খের প্রদীপ’ অংশগ্রহণে প্রজ্ঞা দত্ত, শিমু দেব। তবলায় অমিত চৌধুরী, এস্রাজে মদন মোহন ঘোষ। সংগীত পরিচালনায় প্রদীপ দাশ। ‘সুন্দরবট তব অঙ্গদখানি,’ ‘শুকনো পাতার নূপুর পায়ে নৃত্য পরিবেশনায় ছিলেন শুভনীতা, ঐশী, মৌমিতা, প্রমি, পুষ্পিতা, শ্রেষ্ঠা, মৃত্তিকা। নৃত্য পরিচালনায় অর্পিতা সেন শর্মা ও সীমা চৌধুরী। আবৃত্তি পরিবেশনায় বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীবৃন্দ। নজরুল সঙ্গীত ‘ভাইয়ের দোরে ভাই কেঁদে যায়’ ‘জাতির নামে বজ্জাতি সব’ পরিবেশনায় ছিল অনন্যা, সুস্মিতা, অজন্তা ও ইতু। সঙ্গীত পরিচালনায় ছিল রাজেশ সাহা। তবলা লহড়া (বৃন্দাবাদন) পরিবেশনায় তন্ময়, সৌরভ ও অনিক । পরিচালনায় তরুণ কান্তি দাশ। বাঁশিতে বৃন্দবাদন রাগ ইমন পরিবেশনায় করেন সুমন, শিমুল, মাহামুদুল আশিক, সবুজ দে, প্রসাদ চন্দ্র, সুহৃদ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, পরিচালনায় রণধীর দাশ। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন উস্তাদ মিহির লালা ও জয়ন্তী লালা। সমগ্র অনুষ্ঠানে সঙ্গীতাচার্য্য সুরেন্দ্র লাল দাশ এর জীবনী (সংগৃহীত) পাঠ করেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক বাচিক শিল্পী অরুণ ভদ্র।