ভেটেরিনারি ও পশুপালন দুটি সম্পূরক পেশার পরস্পরবিরোধী মনোভাব, শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এবং অবস্থান দখলকে কেন্দ্র করে যে বিরোধ, তা প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে প্রধান অন্তরায়। ফলে কৃষির অন্যান্য সেক্টর, যেমন—কৃষি ও মৎস্যসম্পদের উন্নয়ন এগিয়ে গেলেও প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন পিছিয়ে পড়ছে। এ দুটি পেশার দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। ১৯৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ, যা বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), ময়মনসিংহ ৬৯-৭০ শতাংশ কোর্স নিয়ে ডিভিএম ডিগ্রি (ভেটেরিনারি) এবং ২০-৩০ শতাংশ কোর্স নিয়ে বিএসসি এএইচ ডিগ্রি (পশুপালন) প্রবর্তনই পেশাগত বিভাজন বা দ্বন্দ্বের মূল কারণ। এর আগে ভারত বিভাজনের পর পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম ভেটেরিনারিয়ানরা তৎকালীন পূর্ববঙ্গে (বর্তমান বাংলাদেশ) এসে কুমিল্লায় একটি ভেটেরিনারি কলেজ প্রতিষ্ঠা করে, ‘ভেটেরিনারি মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি’ নামে তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স চালু করে।