পারিবারিক চড়ুইভাতির একটি দৃশ্য কল্পনা করুন। সাধারণত দেখা যায়, বড় সন্তানটি রান্নাবান্নার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে আর ওদিকে ছোটটা খাওয়ার জন্য প্লেট চামচ নিয়ে প্রস্তুত থাকে। আর মাঝেরটি এ নিয়ে কোনো আগ্রহই দেখায় না! জন্মক্রম শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে- এটি তার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে। জন্মক্রমের তত্ত্ব নিয়ে অনেকেই কাজ করেছেন। অস্ট্রিয়ার শারীরবিদ ও মনোচিকিৎসক আলফ্রেড অ্যাডলার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে জন্মক্রমের সম্পর্ক নিয়ে সবচেয়ে প্রভাবশালী তত্ত্ব দিয়েছেন। এ তত্ত্ব মতে, জন্মক্রমের কারণে পরিবারে সন্তানের যে আলাদা অবস্থান তৈরি হয় সেটি তার ব্যক্তিত্ব গঠনেও ভূমিকা রাখে। ব্যক্তির আইকিউ এমনকি জীবনে সফলতা ও ব্যর্থতার শর্তও তৈরি হয় এখানেই।অ্যাডলার বুঝতে চেয়েছিলেন একই পরিবারে বেড়ে ওঠা শিশুদের মধ্যে ব্যক্তিত্বে পার্থক্য কেন হয়।