হুমকিতে পাহাড়ি পরিবেশ

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

সীতাকুণ্ডে বাড়বকুণ্ডের অনন্তপুর গ্রামের একটি ফ্যাক্টরি গাড়ির টায়ার পুড়িয়ে পরিবেশ দূষণ করছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। গাড়ির পুরাতন টায়ারের রাবার প্রকাশ্যে লোকালয়ে অধিক মাত্রায় রাবার পোড়ানোর ফলে আশেপাশের ৫ গ্রামের বাসিন্দারা পোড়া রাবারের দুর্গন্ধে বসবাস করতে পারছে না বলে জানা গেছে। গতকাল সকালে সরজমিন গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্বে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রাম। স্থানীয় আবু তাহেরের মালিকানাধীন সবুজে ঘেরা পাহাড় কেটে নির্মাণ করা হয়েছে একটি টিনশেডের কারখানা। আর ওই স্থানে কয়েকটি বয়লার মেশিনের সাহায্যে খোলা জায়গায় গাড়ির পুরাতন টায়ারের রাবারসহ নানা আকৃতির পুরানো রাবার পোড়ানোর কাজ চলছে কারখানাটিতে। কোনো প্রকার আইনের তোয়াক্কা না করে রাতে পোড়ানোর জন্য পুরানো গাড়ির টায়ারের রাবার নিয়ে কারখানায় জড়ো করছে তারা। রাবার পোড়ানোর সময় দুর্গন্ধ আর কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠায় বসবাস করতে পারছে না হাজার হাজার লোক। পরিবেশ আইন অমান্য করে প্রতিনিয়ত রাবার পোড়াতে থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে স্থানীয়রা। কারখানাটির নাম ‘এস এস রূপান্তর’। তবে ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার দাবিদার অনিরুদ্ধ দাস ‘এস এস রূপান্তর’ নাম জানালেও প্রতিষ্ঠানসহ সংলগ্ন এলাকায় সরজমিন তাদের প্রতিষ্ঠানের কোনো সাইনবোর্ড দেখা যায়নি। অপরদিকে অনন্তপুর গ্রামের লোকজন অভিযোগ করেন, সন্ধ্যা নামতেই শুরু হয় ফ্যাক্টরির রাবার পোড়ানোর কাজ। প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে রাবার পুড়িয়ে আসছে তারা। এ পরিস্থিতিতে চরম হুমকিতে পড়েছে অনন্তপুরসহ আশেপাশের অসংখ্য মানুষ ও পাহাড়ি এলাকার জীব বৈচিত্র্যও। কারখানাটির ম্যানেজার দাবিদার অনিরুদ্ধ দাস জানান, তারা নিয়মের মধ্যে থেকেই ফ্যাক্টরিটি পরিচালনা করে আসছেন। পুরনো টায়ারের রাবারগুলো মেশিন দিয়ে পুড়িয়ে ওখান থেকে যে তেল বের হয় তা প্রক্রিয়াজাত করা হয় এখানে। যে দুর্গন্ধ আছে তা সহনীয় বলেও জানান তিনি। মিলটি পরিচালনাকারী অপর এক ব্যক্তি সারথি সেন গুপ্ত বলেন, রিপোর্ট করে কোনো লাভ নেই। কারখানাটি পরিচালনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স আছে বলে জানান তিনি। চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিপ্তরের কর্মকর্তা মো. মুকবুল হোসেন বলেন, এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে তদন্ত পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় মানবজমিনকে জানান, পুরনো টায়ারের রাবার পোড়ানোর কোনো প্রতিষ্ঠান আমার কাছ থেকে লাইসেন্স নেয়নি।  ইতিপূর্বে ওই এলাকায় অপর একটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছিল। কোনো আইনের ভিত্তিতে কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us