সাফল্য ও ব্যর্থতার দায়ভার সবার

মানবজমিন প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্য ও ব্যর্থতার দায়ভার এককভাবে কারো নয়, এটা সামগ্রিক ব্যাপার। পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যেতে পারলে সময়ের ব্যবধানে সাফল্য আসে। তবে সাফল্যটা চূড়ান্ত কিছু নয়, সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারাই বড় ব্যাপার। গতকাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস এসোসিয়েশন (বিএসপিএ) আয়োজিত ‘এসএ গেমস: বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।বিএসপিএ সভাপতি মোস্তফা মামুনের সঞ্চালয়ান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রথম আলোর সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক বদিউজ্জামান মিলন। আসন্ন এসএ গেমসের প্রত্যাশা ও বাস্তবতার মাঝে ব্যবধান খুঁজতে অলিম্পিক, জাতীয় ক্রীড়াপরিষদ ও ফেডােেরশন কর্মকর্তার পাশাপাশি খ্যাতিমান ক্রীড়া সাংবাদিক ও খেলোয়াড়রা মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। বিওএ সহ-সভাপতি এবং মিডিয়া কমিটির সভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুন বলেন, ‘আমরা ক্রীড়াঙ্গনের উন্নতি চাই। সরকার, অলিম্পিক অ্যাসিসিয়েশন, ফেডারেশন, মিডিয়া ও খেলোয়াড়দের মেলবন্ধন ঘটাতে পারলে ক্রীড়াঙ্গন এগিয়ে যেতে পারবে।’ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ পদকটা চাইছি। কারণ দেশের সর্বোচ্চ সম্মান নিশ্চিত করাটাই আমাদের লক্ষ্য।’ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মাসুদ করিম তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের কেউ কেউ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখেন। অথচ এমন স্বপ্ন দেখা উচিত যা আমাদেরকে ঘুমাতে দেবে না। ক্রীড়ায় একক কারণে সাফল্য আসে না। এটা সামগ্রিক দায়িত্ব।’ মাসুদ করিম বলেন, ক্রীড়ায় সফলতা নিশ্চিত করতে হলে প্রথমে সেই প্রকল্পের দুর্বলতা চিহ্নিত করতে হবে। আমরা শুধু সম্ভাবনা দেখতে অভ্যস্ত, বাস্তবতাকে হয়তো ঠিকভাবে দেখি না। ডেইলি স্টারের সাংবাদিক আনিসুর রহমান বলেন, ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে না পারলে ক্রীড়ায় অর্জিত সাফল্য ধরে রাখা যায় না। বাস্তবতা ও প্রত্যাশার ফারাক এ পথেই রচিত হয়। তবে বড় স্বপ্ন থাকতেই হবে। কালের কণ্ঠের সিনিয়র ক্রীড়া প্রতিবেদক সনৎ বাবলা মত দেন, আমাদের মত দেশে হতাশা থাকবেই। তারপরও ইতিবাচক ভাবনা জরুরি। শ্যুটিং ও আরচারির মত ইভেন্টের দিকে আমাদের বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত। পরিকল্পনা ও চেষ্টা থাকলে অন্য ফেডারেশনও এগিয়ে যেতে পারবে। ২০১০ সালের এসএ গেমসে সোনা জয়ী অ্যাথলেট হাসান খান সান বলেন, খেলোয়াড়দের কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা থাকলে দেশের ক্রীড়াঙ্গন এগিয়ে যাবে। খেলোয়াড়দের স্পন্সরশিপের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা উচিত। উশু ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন বলেন, তৃণমূল থেকে উঠে আসা ক্রীড়াবিদদের পিছুটান বেশি থাকে। তাদের আর্থিক নিশ্চয়তাও নেই। আমরা ধারাবাহিক প্রশিক্ষণও দিতে পারি না। যমুনা টিভির স্পোর্টস এডিটর হাসানউল্লাহ খান রানা জানান, আমাদের অনেক সম্ভাবনা থাকলেও উন্নয়নের বস্তুনিষ্ঠ পরিকল্পনা নেই। তাই সাফল্যের ধারাবাহিকতাও থাকে না। সাইক্লিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হাসান দুটি স্বর্ণের আশা দেখিয়ে বলেন, আমরা ৩০ কিলোমিটারে স্বর্ণ প্রত্যাশা করছি। ৪০ কিলোমিটার ইভেন্টেও ভালো করবো। তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান রানা বলেন, আমরা দুটি স্বর্ণপদক পাবো বলে আশ করছি।  বিওএ’র যুগ্ম মহাসচিব আসাদুজ্জামান কোহিনুর তার মূল্যায়নে বলেন, ‘এখানে একাধিক সাংবাদিক বেশ গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। আমি এটা বলতে চাই, কোনো ফেডারেশনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের সুস্পষ্ট তথ্য পেলে এবং আমাদেরকে তা জানালে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো।’ বিওএ’র কোষাধ্যক্ষ কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল বলেন, ‘খেলাধুলায় সামাজিক সহায়তা সবচেয়ে জরুরি। একজন ফেডারেশন কর্মকর্তা হিসেবে আমিও স্বর্ণ ও রৌপ্যের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছি। ফুটবলেও সর্বোচ্চ সাফল্যের প্রত্যাশার কথা শুনিয়েছেন ফেডারেশনের সদস্য সত্যজিত দাস রূপু।’ এদের বাইরে বাংলাদেশ খো খো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বাবুল, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সস্পাদক শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন, টেনিস ফেডারেশনের গোলাম মোর্শেদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us