বিদ্যুৎ সংযোগের ঘুষের টাকা ফেরত পেলেন গ্রাহক

মানবজমিন প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

লক্ষ্মীপুরে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগের নামে গ্রাহকের কাছ থেকে নেয়া ঘুষের টাকা ফেরত দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ। ইতিমধ্যে ঘুষের টাকা ফেরত পেতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করেন গ্রাহকরা। দুদকের অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ঘুষের টাকা ফেরত পেয়েছেন ৩৬ গ্রাহক। এর আগেও আরো ৯২ জন গ্রাহক ঘুষের টাকা ফেরত পান। টাকা ফেরত পাওয়ায় খুশি গ্রাহকরা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন দুদকের উপ-পরিচালক। তবে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা বলছেন, বিদ্যুৎ সংযোগের নামে গ্রাহকদের হয়রানি করলে নেয়া হবে ব্যবস্থা। সরকারি খরচের বাইরে কোন টাকা-পয়সা না দেয়ার আহবান। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কার্যালয় ও গ্রাহকরা জানায়, শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এ স্লোগানকে সামনে রেখে প্রতিটি এলাকায় বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না লক্ষ্মীপুরে। নতুন সংযোগ নিতে গ্রাহকদের দিতে হচ্ছে ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা। অভিযোগ রয়েছে, অফিসের এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে গ্রাহকদের কাছ থেকে এসব টাকা আদায় করছেন একটি দালালচক্র। টাকা দিয়েও বছরের পর বছর বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছে না গ্রাহকরা। ঘুষের টাকা ফেরত পেতে ১১ই নভেম্বর সদর উপজেলার চররুহিতা এলাকার কয়েকজন গ্রাহক দুর্নীতি দমন কমিশন( দুদক) কে অভিযোগ দেন। পরে নোয়াখালী অঞ্চলের দুদুকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করেন। তদন্তে দালাল শরীফের মাধ্যমে  এসব টাকা নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগের সত্যতা পায় দুদক। পরে গ্রাহকদের কাছ থেকে নেয়া ঘুষের টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেন লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে। ১৯শে নভেম্বর দুপুরে লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির হলরুমে ৩৬ গ্রাহদের কাছ থেকে নেয়া ঘুষের ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৮৪ টাকা ফেরত দেয়া হয়। এর আগে ২রা সেপ্টেম্বর রায়পুর উপজেলায় ৯২জন গ্রাহকের কাছ থেকে নেয়া ঘুষের টাকাও ফেরত দেয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা। গ্রাহক হয়রানি মুক্ত বিদ্যুৎ সংযোগ ও  অভিযুক্ত দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।গ্রাহকরা জানায়, বিদ্যুতের নতুন সংযোগ নিতে দালাল শরীফকে প্রতিটি গ্রাহক ৬ হাজার টাকা করে দেয়। কিন্তু দীর্ঘ দেড় বছরেও বিদ্যুৎ সংযোগ না পেয়ে ও ঘুষের টাকা ফেরত পেতে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকে অভিযোগ দেয়া হয়। দুদকের অভিযানের পর ঘুষের টাকা ফেরত পেয়ে খুশি গ্রাহকরা। অপরদিকে অভিযুক্ত দালাল শরীফ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অফিসের এক ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদার আবদুল কাদেরের সহযোগিতায় এসব টাকা তোলা হয়। লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. শাহজাহান কবির বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগের নামে গ্রাহকদের হয়রানি করলে নেয়া হবে ব্যবস্থা। সরকারি খরচের বাইরে কোন টাকা-পয়সা না দেয়ার আহবান জানান তিনি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us