You have reached your daily news limit

Please log in to continue


শেষ হলো আবেগ-উচ্ছ্বাসের লোকসংগীত উৎসব

ফোক গান শেকড়ের গান, মাটির গান। আর এই মাটির গানকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াসে বিগত পাঁচ বছরের ধারাবাহিকতায় শেষ হলো দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ লোকগানের উৎসব ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোকফেস্ট’। হিম শীতের সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত গত ১৪ থেকে ১৬ই নভেম্বর তিনদিনব্যাপী দর্শক আর্মি স্টেডিয়ামে লোক গানের রথী মহারথীদের পরিবেশনা বিপুল আগ্রহ নিয়ে উপভোগ করেছেন। তিন দিন সংগীতপ্রেমীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় আর্মি স্টেডিয়াম। আবেগ ও উচ্ছ্বাসের ফোকফেস্ট সাঙ্গ হলেও এর রেশ নিশ্চয়ই শ্রোতা-দর্শকদের হৃদয়ে রয়ে যাবে অনেক দিন। শনিবার ছিল এবারের আসরের সমাপনী দিন। এ দিন শুরুতে সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চে ওঠেন বাংলাদেশের খ্যাতিমান কাওয়ালি গানের শিল্পী মালেক কাওয়াল। ‘ইশকে নবী ক্যায়া’ গান দিয়ে তিনি পরিবেশনা শুরু করেন। এরপর একে একে ‘হজরতে ইসমে-আজম’, ‘ইয়া আলী’, ‘নূর-এ মোহাম্মদ হাবীব আল্লাহ’সহ বেশ কিছু গান গেয়ে শোনান। তার পরিবেশনায় মুগ্ধ হয়েছেন স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শক। এরপর মঞ্চে ওঠে রাশিয়ার লোকগানের দল সাত্তুমা। আধুনিক লোক ঘরানার ফিউশন গান দিয়ে মাতিয়ে রাখেন তারা। ম্যান্ডোলিন, বাঁশি, ভায়োলিনের যথাযথ সংমিশ্রণে প্রসিদ্ধ রুশ লোকসংগীতের মাদকতা ছড়িয়ে দেয় এই ব্যান্ড। তবে শেষের দিনে দর্শক সব থেকে বেশি উপভোগ করেছেন বাংলাদেশের লোকসংগীত শিল্পী চন্দনা মজুমদারের পরিবেশনা। মঞ্চে এসেই তিনি গাইলেন সাধক লালন সাঁইজির ‘জগত মুক্তিতে ভোলালেন সাঁই’। শিল্পীর সঙ্গে সমস্বরে গেয়ে বাংলার লোকসংগীতের এই শিল্পীকে স্বাগত জানান দর্শক। এরপর তিনি শোনান ‘ধন্য ধন্য বলি তারে’। এরপর ‘তুমি জানো নারে প্রিয়’, ‘লোহারে বানাইল কাঞ্চা সোনা’, ‘সে কী চেনে মানুষ রতন’ ও ‘যাও পাখি বলো তারে’ গানগুলো গেয়ে দর্শকদের তিনি অন্যরকম মুগ্ধতায় ভাসান। এরপর শেষ দিনের অন্যতম আকর্ষণ পাকিস্তানের ব্যান্ড জুনুন মঞ্চে আসে। এই ব্যান্ডটি শোনায় ‘তু হি হ্যায়’, ‘ইয়ে দিল হ্যায় তুমহারা’ গান দুটি। এরপর তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘সাইওনি’ গানটি গাইতেই স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শক ব্যন্ডটির সঙ্গে কন্ঠ মেলান। এ ব্যান্ডের পারফরমেন্সের মধ্য দিয়েই পর্দা নামে আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসবের পঞ্চম আসরের। সান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও সান কমিউনিকেশনস লিমিটেডের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী এই উৎসবের সূচনা ঘটে ১৪ই নভেম্বর। ওইদিন উৎসবের উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এবারের উৎসবে ৫টি দেশের দু’শরও বেশি শিল্পী ও কলাকুশলী অংশ নেন। তাদের মধ্যে অন্যতম শিল্পীরা ছিলেন জর্জিয়ার লোকগানের দল শেভেনেবুরেবি, ভারতের দালের মেহেন্দি, মালির হাবিব কইটে অ্যান্ড বামাদা এবং পাকিস্তানের সুফি গায়িকা হিনা নাসরুল্লাহ ও ব্যান্ড জুনুন। বাংলাদেশ থেকে ছিলেন লোকসংগীতশিল্পী কাজল দেওয়ান, ফকির শাহাবুদ্দিন, চন্দনা মজুমদার, শাহ আলম সরকার, ম্যাজিক বাউলিয়ানার কামরুজ্জামান রাব্বি ও শফিকুল ইসলাম, প্রেমা ও ভাবনা নৃত্যদল প্রভৃতি। উৎসবটি সরাসরি সমপ্রচার করেছে মাছরাঙা টেলিভিশন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন