সাভার পৌর এলাকা গেন্ডার প্রধান সড়কটি এখন অনেকটাই চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নিরুপায় হয়ে বাসিন্দারা ঝুঁকি নিয়ে চলছেন প্রতিনিয়ত। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও বয়োবৃদ্ধ এবং রোগীদের দুর্ভোগের চিত্র অবর্ণনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। বছরের পর বছর ধরে রাস্তাটির অচলাবস্থা চলে আসলেও মিলছে না কোনো প্রতিকার। সংস্কারের নানা আশ্বাসবাণী মিললেও কবে এর কাজ শুরু হবে সে প্রশ্নের সদুত্তর নেই কারো কাছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গেণ্ডা বাসস্ট্যান্ড থেকে সাধাপুর-চাকুলিয়া সড়কে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এবং শত শত যানবাহন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। কর্দমাক্ত, খানাখন্দে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উল্টে দুর্ঘটনা এই সড়কের নিত্যদিনের ঘটনা। সন্ধ্যার পর এই সড়কে একান্ত বাধ্য হয়ে চলাচল করেন সাধারণ মানুষ। রিকশা চালকদের অভিযোগ, রাস্তা চলাচল অনুপযোগী হওয়ায় পায়ে প্যাডেল চালিত রিকশা এই সড়ক থেকে উঠে গেছে। ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য পৌরসভা থেকে প্রতি বছর অনেক টাকা দিয়ে লাইসেন্স নবায়ন করতে হয় কিন্তু তাতে কোনো সুফল পাচ্ছি না। এদিকে, প্রায় বাসাবাড়ির স্যুয়ারেজ লাইন রাস্তায় দেয়া হলেও নেই কোনো তদারকি। সারা বছরই সড়কে জলাবদ্ধতা থাকে। সামান্য বৃষ্টিতে হাঁটু পানি জমে থাকায় সড়কের গর্তে পড়ে অনেকেই আহত হচ্ছেন এবং নষ্ট হচ্ছে সঙ্গে থাকা মালামালও। সড়কের অনেক অংশে পাইপ ড্রেন নির্মাণ কাজ করার কারণে দুর্ভোগ আরো বেড়েছে। মানহীন কাজের কারণে উদ্বোধনের আগেই ভেঙে গেছে স্লাব। ডাস্টবিন সংকটে রাস্তার মোড়ে মোড়ে ময়লা আবর্জনার স্তূপে ভাগাড়ের রূপ নিয়েছে। তাতে ছড়াচ্ছে নানা রোগ জীবাণু। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমানের উদ্যোগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সড়কে ড্রেন নির্মাণ ও সংস্কার কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। সাভারের বাইরের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছেন বলে জানা যায়। কয়েক মাসেও কাজ শুরু না হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। অবশ্য সাভার উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, বিদেশি একটি প্রকল্পের আওতায় এই সড়কের কাজের দরপত্র হয়েছে। তবে, এখনো টাকা না পাওয়ায় কার্যাদেশ হচ্ছে না। কয়েক মাসের মধ্যে টাকা মিললে কার্যাদেশ হতে পারে।