বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে পূর্ব ঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে পারেনি জিয়া পরিষদ। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন হওয়ার কথা ছিল। অনুমতি নেই বলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়, ফলে জিয়া পরিষদের মানববন্ধন কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।পুলিশি বাধার কারণে বাধ্য হয়ে মানববন্ধন কর্মসূচিতে আসা নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রেস ক্লাব থেকে বের হয়ে যান কর্মসূচির বিশেষ অতিথি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি অভিযোগ করেন, আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জিয়া পরিষদ আয়োজিত পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে এসে সরকারের তাঁবেদারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা বাধাগ্রস্ত হলাম। তারা আমাদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি, বরং হুমকি দিয়েছে। আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন বিভিন্ন সংগঠন কিন্তু মানববন্ধন করছে অথচ আমাদেরকে করতে দেয়া হলো না। আমি পুলিশের এমন কাণ্ডে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। আলাল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণবিরোধী সরকার। তারা জনগণের বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করো না, গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। এদিকে রমনা জোনের সহকারী পুলিশ উপ-কমিশনার (এডিসি) আব্দুল্লাহ হেল কাফি বলেন, অনুমতি না থাকলে যে দল বা যে সংগঠনেরই মানববন্ধন কর্মসূচি থাকুক না কেন, তা আমরা করতে দিতে পারি না। এর আগেও তো অনেক মানববন্ধন তারা করেছে অনুমতি নিয়ে- তখন তো তাদেরকে আমরা বাধা দেইনি। অনুমতি থাকলে অবশ্যই মানববন্ধন করতে কোনো বাধা নেই। জিয়া পরিষদের এই মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। এ ছাড়াও মানববন্ধনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. আব্দুল কুদ্দুস, জিয়া পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ড. মো. শফিকুল ইসলাম, ড. ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখের উপস্থিত থাকার কথা ছিল।