সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন নাজমুল

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেপ্তার হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও মোহামেডান ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া। এদিকে বিসিবির সহ-সভাপতি ও পরিচালক মাহবুব আনামের কাছে সম্পত্তির হিসাব চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এমন পরিস্থিতিতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ছাড় পাবেন না কেউই!  গতকাল গুলশানে নিজ বাসভবনে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিসিবি সভাপতি। সামপ্রতিক ঘটনায় বিসিবি বিব্রত কিনা এমন প্রশ্নে নাজমুল হাসান বলেন, ‘এখানে বিব্রত হওয়ার কিছু নেই। মূল কথা হলো কেউ অন্যায় করলে তার শাস্তি হবেই। এর সঙ্গে কারো দ্বিমত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’ সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অভিযানকে ‘সাহসী’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে পদক্ষেপ নিয়েছেন সেটাকে ভালো না বলার কারণ নেই। এমন সাহসী পদক্ষেপ শুধু তার পক্ষেই নেয়া সম্ভব।’বিসিবির দুই পরিচালককে নিয়ে পাপনের মন্তব্য, ‘বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন। দুদক অনেকের কাছেই সম্পদের হিসাব চায়। তার মানে এই নয় যে, তিনি (মাহবুব) অনৈতিক বা বেআইনি কাজ করেছেন। তবে লোকমান হোসেন ভূঁইয়া ক্যাসিনোর জন্য ক্লাব ভাড়া দিলে তার বিচার হবেই।’তবে এখনই কোনো পদক্ষেপ নিতে চান না বিসিবি সভাপতি, ‘আমরা চাই সুষ্ঠু বিচার হোক, দোষীরা ধরা পড়ুক। কিন্তু এই মুহূর্তে ক্রিকেট বোর্ড কোনো পদক্ষেপ নিতে চাচ্ছে না। বিসিবির সঙ্গে জড়িত কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবো। অপরাধের সঙ্গে জড়িত কাউকে বিসিবি ছাড় দেবে না।’দুদিন ধরেই লোকমান হোসেনকে নিয়ে তুমুল আলোচনা দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। ক্রিকেটের অস্বস্তিটা অনেক বেশি। কারণ তিনি বোর্ড পরিচালক। ক্রিকেটের অনেক নীতি নির্ধারণের সঙ্গেই জড়িত ছিলেন লোকমান হোসেন। তিনি ছিলেন বোর্ডের ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের প্রধান। ২০১২ সালের অক্টোবরে নাজমুল হাসানের হাত ধরে ক্রিকেট বোর্ডে এলেও লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার সঙ্গে বিসিবি সভাপতির সম্পর্কটা ছাত্র জীবন থেকেই। তবে বিসিবি সভাপতিও খানিকটা অবাক হয়েছেন ক্যাসিনোর সঙ্গে তার বন্ধুর জড়িয়ে পড়ার খবরে। নাজমুল হাসান বলেন ‘আমি যে লোকমানকে চিনি সে জীবনে মদ খায়নি। সে জীবনে কোনো দিন জুয়া খেলেনি- এটা যেমন সত্যি, আবার এটাও সত্যি যে সে ক্যাসিনো ভাড়া দিয়েছে। এখানে অস্বীকার করার তো কোনো উপায় নেই। সে যদি করে থাকে তাহলে তার বিচার হবে। আমরা তাকে যেভাবে চিনি এবং জানি, সেটাই বললাম। এখন প্রমাণিত হওয়ার আগে তো আমরা কিছু বলতে পারছি না যে আসলে ঘটনাটা কী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে, দেশে আইন আছে। তারা আগে দেখুক, বুঝুক। যে দোষ করেছে তার শাস্তি হবে, এটি নিয়ে আমাদের কোনো কিছু বলার নেই।’ লোকমানের অপরাধ প্রমাণ হলে বিসিবি কী পদক্ষেপ নেবে? এমন প্রশ্নে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমাদের তো কোনো পদক্ষেপ নেয়ার কিছু নেই। যদি অপরাধ প্রমাণিত হয় তখন অবশ্যই বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু এখনই এটা নিয়ে বলা ঠিক হবে না। আমার কথা হচ্ছে যদি কেউ অন্যায় করে থাকে তাহলে তার বিচার হবে। এখানে কোনো ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই। আমি বিসিবিতেও ছাড় দেব না। ক্লাবে তাস খেলা হয়, এটি আমি ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি। এই তাস খেলা যে এখন ক্যাসিনোতে চলে এসেছে এই ব্যাপারে সত্যি বলছি কোনো ধারণা ছিল না আমার। আমাকে লোকমান কোনো দিন বলেনি যে ক্লাবে একটি ক্যাসিনো আছে। এটা কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার। সে কিন্তু আমার বন্ধু। এখন সব বের হয়ে আসবে।’
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us