১৯৩৮ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমা সুপারম্যানের মধ্য দিয়ে কমিক বইয়ের কাহিনীগুলো স্বর্ণযুগে প্রবেশ করেছিল। সেটিই ছিল বিশ্বের প্রথম সুপারহিরো সিনেমা। এরপর এসব সুপারহিরো সিনেমার সফলতা ছিল সবসময়ই আকাশচুম্বী। মার্ভেল ও ডিসি দ্রুতই নিজেদের সুপারহিরো ঘরনার সিনেমার নেতৃত্বের আসনে নিয়ে আসে। কমিক বই থেকে সুপারহিরোদেরকে নিয়ে আসতে শুরু করে বড় পর্দায় যা আস্তে আস্তে এই বিনোদন প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেয় যুগান্তকারী সাফল্য ও জনপ্রিয়তা।
২০১৯ সালে এসে আমরা মার্ভেল ও ডিসির কাছ থেকে পেয়েছি অসাধারণ কিছু সুপারহিরো সিনেমা। এর বেশিরভাগই আবার কোনো না কোনো সিরিজের অংশ। এসব সিরিজের মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় হচ্ছে- মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্স, দ্যা অ্যাভেঞ্জার্স, এক্স-মেন, দ্য ডিসি এক্সটেন্ডেড ইউনিভার্স, ব্যাটম্যান ও স্পাইডারম্যান। এ শতাব্দীর শুরু থেকেই নাটকীয়ভাবে এই ধরনের সিনেমার জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করে। এটি এখন স্পষ্ট যে সুপারহিরো ঘরনার সিনেমা নতুন আরেক স্বর্ণযুগে প্রবেশ করেছে। গত বছর সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে এই ঘরনার সিনেমাগুলো শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বক্স অফিসে আয় করেছে ২.৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
কিন্তু হঠাৎ করেই কেন এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অতি মানবদের এই গল্পগুলো! বিশ্লেষকরা বলছেন এর ট্রেইলরের কথা। প্রতি ১০০ জনের ৪৪ জনই জানিয়েছেন, এ ধরনের সিনেমার যে ট্রেইলর তারা দেখেন তাই তাদের উৎসাহিত করে হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখতে। গত শতাব্দীর তুলনায় সুপারহিরো সিনেমাগুলোর ট্রেইলরের ধরনে এসেছে অনেক অনেক পরিবর্তন। আর এটাই সাম্প্রতিক বছরগুলোকে এই সিনেমাগুলোকে এনে দিয়েছে আকাশ ছোঁয়া সফলতা।