মোকতাদিরের বার্তায় টেনশনে পদপ্রার্থীরা

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

নৌকা বিরোধীদের পদ দেয়া হবে না- কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি’র এমন বার্তায় নড়েচড়ে বসেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটের পদ প্রত্যাশীরা। শনিবার বিজয়নগর উপজেলার সম্মেলন করার মধ্যে দিয়ে জেলায় দলের বিভিন্ন ইউনিটের সম্মেলনের যাত্রা শুরু হয়। তবে ওই সম্মেলনে বোমা ফাটান মোকতাদির। জুন মাসে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীর পরাজয়ের প্রসঙ্গ তুলে প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। দলের নেতাদের সমালোচনা করে বলেন- নির্বাচনে নৌকার জন্য কতজনকে অনুরোধ করেছি মনে নেই আপনাদের? আজকে হাজার-হাজার লোক স্লোগান দিয়েছেন, আপনারা নির্বাচনের দিন কোথায় ছিলেন? যদি নৌকার জন্য খেটে থাকেন তাহলে কোথায় গেল ভোট? নিজেকে নিজে প্রশ্ন করেন। দিনের বেলা নৌকা আর রাতের বেলা ঘোড়া? সবাই নৌকা মার্কার সমর্থক কিন্তু ভোটের বাক্সে শুধু ঘোড়া মার্কায় ভোট। ওই লোকগুলোর লজ্জা হওয়া উচিত। অন্তত একটু অনুতপ্ত হইয়েন। অনেকের খামখেয়ালি আর চতুরতার জন্য আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। যারা নির্বাচনে বিরোধিতা করেছিলেন তাদের সবাইকে আমরা চিনি। তারা একজনও কমিটিতে থাকবেন না। আমার যদি কমিটিতে সাক্ষর করতে হয় আপনারা কেউ থাকবেন না। নির্বাচনের সময় দল না করলে কখন করবেন? জুলাই মাসের শেষে অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের সভায় আশুগঞ্জ, সরাইল, আখাউড়া, কসবা, জেলা সদর ও শহর এবং বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর থেকেই সম্মেলনের তোড়জোড় শুরু হয় ওইসব ইউনিটে। বিজয়নগরের মতো সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও ভরাডুবি হয়েছে নৌকার। এখানেও দলের অনেক নেতা বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন। তবে সেসব ভুলে সম্মেলনকে সামনে রেখে তারা এখন পদ পাওয়ার দৌড়ে আছেন। ব্যানার-ফেস্টুন করেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন- যারা দলের দায়িত্বশীল পদে থেকে দলের প্রার্থীর বিরোধিতা করেছেন তাদের কাউকে পদ দেয়া হবে না। বিভিন্ন উপজেলাসহ প্রত্যেক ইউনিটেই রয়েছেন এমন নেতা। তিনি আরো জানান- ৩০শে অক্টোবরের মধ্যে জেলার সব উপজেলার সম্মেলন শেষ করবেন তারা । আর জেলা সম্মেলন হবে ডিসেম্বরের ১০ তারিখে। এদিকে বিজয়নগরের সম্মেলন হলেও কমিটি ঘোষণা হয়নি। কমিটি ঘোষণা হতে আরো সপ্তাহ-দশদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক। তিনি বলেন, সাবজেক্ট কমিটি করে প্রত্যেক ইউনিয়ন কমিটির প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারির লিখিত মতামত নেয়া হয়েছে। এখন পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে আবার কাউন্সিল ডেকে তাদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি ঘোষণা করা হবে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us