ডেঙ্গু পরীক্ষায় ব্যস্ত কর্মী এখন নিজেই ডেঙ্গু রোগী

মানবজমিন প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

জাহিদুল ইসলাম। ২৮ বছর বয়সী এই তরুণ একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান। কাজ করেন দোয়েল প্যাথলজি সেন্টার, মানিকগঞ্জে। ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করার পর থেকে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন তিনি। দিন রাত করে গেছেন রক্ত পরীক্ষা। এমনকি ঈদের দিনেও করতে হয়েছে কাজ। গত বৃহস্পতিবার প্রায় ১শ’ জনের রক্ত পরীক্ষা করেন। সেদিন রাতে হালকা জ্বর অনুভব হয় তার। পরদিন শুক্রবার নিজের কর্মস্থলেই করেন রক্ত পরীক্ষা। ধরা পড়ে ডেঙ্গু। সেদিনই ভর্তি হন মানিকগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে। সেখানেই চলছিলো তার চিকিৎসা। কিন্তু হঠাৎ রক্তের প্লাটিলেট কমতে থাকে। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়ে আসা হয় ঢাকা মেডিকেলে। এখানে তিনি ভর্তি হন সোমবার রাতে। তার বাবা কৃষক ও মা গৃহিণী। হাসপাতালে তার পাশে বড় ভাই। গতকাল দুপুরে মশারীর ভিতর শুয়ে ছিলেন জাহিদুল। হাতে ক্যানোলা লাগানো। জাহিদুল বলেন, এতোদিন রোগীদের দেখে আসছি এখন নিজেই রোগী। কি যে যন্ত্রণা ভাই। শরীর ব্যথা করে সারাদিন। খাইতে পারি না কিছু। খাইলেই বমি বমি লাগে। আরেক যন্ত্রণা মশারীর ভিতর থাকা লাগে সারাদিন। ফ্যান মাথার উপর। ঘোরে খুবই ধীরে। এমনি বাতাস লাগে না তার ওপর মশারী। গরমে অস্বস্তি লাগে বেশ।তিনি আরো বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসক সেবিকাসহ সবাই বেশ আন্তরিক। তবে প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে। আর দালালের আনাগোনাতো আছেই।দালালের কথা উঠতেই তার বড় ভাই রাকিবুল ইসলাম বলেন, প্রথম যেদিন আসলাম সেদিন ভর্তি হবার আগেই দালাল হাজির। প্রথমে বেডের ব্যবস্থা করার কথা বলে। চায় ২ হাজার টাকা। শেষে ১ হাজার টাকা দিয়ে একটি বেডের ব্যবস্থা করে দেয়। শরীর দুর্বল হওয়ায় হুইল চেয়ারে নিয়ে আসতে হয়। তাকেও দিতে হয় ২শ’ টাকা। চেয়েছিলো ৫শ’ টাকা। এটা তার দায়িত্ব এরজন্য টাকা দিতে হবে কেন? এইকথা বলায় রীতিমতো হুমকি দিয়ে টাকা নিয়ে যায়। এরপর রক্ত পরীক্ষার সময় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েছি। আর তখনি বেশ কয়েকজন অফার করেন বাইরে থেকে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে এনে দেবেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই

প্রথম আলো | ঢাকা মেট্রোপলিটন
সম্পাদকীয় ২ সপ্তাহ, ৩ দিন আগে

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us