ফাইল ছবি

শান্তি কামনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমা

এ বছর বাংলায় মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাকার কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়ের।

ইতি আফরোজ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০১৮, ১০:৫১ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ২৩:৩৩
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০১৮, ১০:৫১ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ২৩:৩৩


ফাইল ছবি

(প্রিয়.কম) টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্বের মুসলিম উম্মার সুখ, শান্তি, কল্যাণ, অগ্রগতি, ভ্রাতৃত্ববোধ, ক্ষমা প্রার্থনা ও মঙ্গল কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হল এবারের বিশ্ব ইজতেমায় শেষ পর্ব। 

এ বছর বাংলায় মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাকার কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়ের। 

এ সময় 'আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন' ধ্বনিতে তুরাগ তীর মুখরিত করে দয়াময় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভের আশায় আকুতি জানান লাখ লাখ মুসল্লি।

২১ জানুয়ারি রোববার বেলা সোয়া ১০টা থেকে শুরু হওয়া মোনাজাত শেষ হয় পৌনে ১১টায়। এদিন তুরাগপাড়ের বিশাল ময়দানে আল্লাহর দরবারে হাত তুলেন লাখো মুসল্লি। এ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমা।

গত ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার বাদ ফজর বাংলাদেশের মাওলানা ফারুক হোসেনের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এতে রাজধানী ঢাকাসহ ১৪টি জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নেয়।

এর আগে গত ১২ জানুয়ারি শুক্রবার বাদ ফজর জর্দানের মাওলানা শায়েখ ওমর খতিবের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এ আমবয়ান আরবিতে করা হয়। সেটি বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা সালেহ।

প্রথম ধাপে ইজতেমায় অংশ নিয়েছে দেশের ১৬ জেলার মুসল্লিরা। এ ছাড়া আমেরিকা, সৌদি আরব, ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, লেবানন, ফিলিপাইন, আফগানিস্তাান, থাইল্যান্ড, আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া ও ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের ৮৫টি দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার বিদেশি মুসল্লি অংশ নিয়েছেন।

১৪ জানুয়ারি রোববার সকালে আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হয়। বাংলায় মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাকার কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়ের

গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ জানান, দেশি-বিদেশি মুসল্লিদের নিরাপত্তায় প্রতিটি খিত্তায় সাদা পোশাকে ছয় জন করে পুলিশ দায়িত্ব পালন করে। এ ছাড়া পুরো ইজতেমা ময়দান আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রাখে। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে পুরো ইজতেমা ময়দানকে ৮ স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়।

প্রিয় সংবাদ/আরএ

 

 

 

 

 

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...