মেডালিন পার্কার। ছবি: সংগৃহীত

মানসিক অসুস্থতার জন্য ছুটি চাইলেন নারী কর্মী, যথার্থ উত্তর দিলেন বস

‘এটা ২০১৭। এখন জ্ঞানই হচ্ছে অর্থের উৎস। কাজ করার জন্য মানসিক অবস্থা সর্বোচ্চ ভালো থাকা চাই। যখন একজন ক্রীড়াবিদ ইনজুরিতে পড়েন, তখন তিনিও বিশ্রাম নেন। তাইলে কর্মক্ষেত্রে সেটা হবে না কেন?’

মিজানুর রহমান
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০১৭, ১৬:১৯ আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০১৮, ১৪:০০
প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০১৭, ১৬:১৯ আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০১৮, ১৪:০০


মেডালিন পার্কার। ছবি: সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) কর্পোরেট দুনিয়া যখন কর্মীদের জন্য দিন দিন আরও অমানবিক ও কঠোর হয়ে উঠছে, তখন এমন একটি খবরে সবারই একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলা উচিত। 

মেডালিন পার্কার মিশিগানের অ্যান আর্বার শহরের একটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েব ডেভলপার। কয়েক সপ্তাহ আগে তিনি তার দলের অন্যান্য কর্মীদের ও সিইও কে তার মানসিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে কিছুদিনের জন্য ছুটি চান। 

মেডালিনের ছুটির মেইলের জবাবে তার সিইও বেন কঙ্গেলটন লিখেন, ‘হাই মেডালিন, তোমার ছুটির আবেদনের জন্য আমি তোমাকে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তুমি যখন ছুটি চাও, তখন মানসিক অসুস্থতার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারি আমি। আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না যে অনেক প্রতিষ্ঠানে এখনও এই রীতি নেই। তুমি আমাদের সবার জন্য উদাহরণ।

সিইওর কাছ থেকে এমন মেইল পেয়ে উচ্ছস্বিত মেডালিন সেটি শেয়ার করেন টুইটারে। বেনের এমন মেইল অন্যন্য ব্যাবহারকারীদের হৃদয়েও নাড়া দেয়। টুইটটি ভাইরাল হতে থাকে। এই যুগে এতটা মানবিক হওয়ার জন্য বেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করতে শুরু করেন অনেকে। 

মেডালিনের টুইটটি ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে মিডিয়াম.কম-এ আরও বিস্তারিত লিখেন বেন কঙ্গেলটন। লেখাটির শিরোনাম ছিল, ‘এটা ২০১৭ সাল। মানসিক অসুস্থতা এখনো কর্মক্ষেত্রে একটি বড় সঙ্কট।’

বেন লিখেন, ‘এটা ২০১৭, আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না, কর্মক্ষেত্রে মানসিক অসুস্থতা নিয়ে কথা বলাটা এখনো অনেকটা বিতর্কিত বিষয় যেখানে প্রতি ছয় জন আমেরিকানের মধ্যে একজনকে এই রোগের চিকিৎসা নিতে হয়েছে।’

‘এটা ২০১৭, আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না অসুস্থতার জন্য বেতনসহ ছুটি এখনো অনেকের কাছে বিতর্কিত একটি ব্যাপার। আপনি কি জানেন যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ৩৩ শতাংশ কর্মী বেতনসহ অসুস্থতার ছুটি পেয়ে থাকে?’ 

‘এটা ২০১৭। এখন জ্ঞানই হচ্ছে অর্থের উৎস। কাজ করার জন্য মানসিক অবস্থা সর্বোচ্চ ভালো থাকা চাই। যখন একজন ক্রীড়াবিদ ইনজুরিতে পড়েন, তখন তিনিও বিশ্রাম নেন। তাইলে কর্মক্ষেত্রে সেটা হবে না কেন? এ ধরণের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন।’

মেডালিনকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন ফেসবুকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গ, যাকে জাকারবার্গের পর ফেসবুকে সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব বলে মনে করা হয় এবং তিনি বিশ্বের প্রভাবশালী একশ’ নারীর অন্যতম। 

নিজের ফেসবুক পোস্টে শেরিল স্যান্ডবার্গ লিখেছেন, নিজের মানসিক অসুস্থতা নিয়ে খোলামেলাভাবে কথা বলার জন্য মেডালিনকে ধন্যবাদ। এটা মোটেই সহজ কাজ নয়। আর অনন্য উদাহরণ স্থাপনের জন্য তার সিইও বেনকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। বেন দেখিয়েছেন, কেন কর্মক্ষেত্রে আমাদের এ ধরণের আরও নের্তৃত্ব দরকার যারা কর্মীদের প্রতি সদয় হয়ে তাদেরকে কাজে উৎসাহিত করবে। 

প্রিয় সংবাদ/কামরুল

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...