(প্রিয়.কম) মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর যে নিপীড়ন করা হয়েছে তা বন্ধে ও নিরাপদে তাদের ফেরত পাঠাতে জাতিসংঘকে আহবান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম।

২০ ডিসেম্বর বুধবার কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে কথা বলেন তিনি। 

এর আগে সকাল পৌনে দশটার দিকে ঢাকা ব্যক্তিগত বিমানে কক্সবাজারের উদ্দেশে যাত্রা করেন তিনি। সেখান থেকেই তিনি বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেবেন। কক্সবাজারে তাকে বিদায় জানাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। 

এর আগে ১৮ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় তিনদিনের সফরে ঢাকা পৌঁছান তিনি। রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখার আগে তিনি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।

১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।

একই দিন রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সঙ্গে বিনালি ইলদিরিম বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন দলটির মহাসচিব।

বৈঠকে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু-অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সরকার কী ভূমিকা পালন করছে, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী তা জানতে চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

এর মঙ্গলবার তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অমর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তারপর ধানমণ্ডিতে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে গিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া তিনি সফরকালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। 

রোহিঙ্গাদের সহায়তায় তুরস্ক এক লাখ ২৫ হাজার আবাসনের ব্যবস্থা করবে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের ব্যবস্থা করবে তারা।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সোচ্চার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান। এর আগে তুরস্কের ফার্স্টলেডি বাংলাদেশ সফর করে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

প্রিয় সংবাদ/আশরাফ