শেরপুর জেলার মানচিত্র

সমাপনীর প্রশ্ন ফাঁসের দায়ে অনার্স পড়ুয়ার কারাদণ্ড

রোববার দুপুরে ফকিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমাপনী পরিক্ষা কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদুর রহমান এ আদালত পরিচালনা করেন।

সানী ইসলাম
কন্ট্রিবিউটর, শেরপুর
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:১৭ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ০৩:৩২
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:১৭ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ০৩:৩২


শেরপুর জেলার মানচিত্র

(প্রিয়.কম) শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র ফাঁস করার অভিযোগে শরিফুল আলম (২০) নামে এক অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

১৯ নভেম্বর রোববার দুপুরে ফকিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমাপনী পরিক্ষা কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদুর রহমান এ আদালত পরিচালনা করেন। শরিফুল আলম উপজেলার মরিচপুরার ইউনিয়নের গোজাকুড়া গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে ও ময়ময়সিংহের আনন্দমোহন কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বোববার থেকে সারা দেশের ন্যায় নালিতাবাড়ী উপজেলাতেও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সমপানী পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদুর রহমান ফকিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র পরির্দশেন যান। এসময় শরিফুলের ছোট ভাই পরীক্ষার্থী থাকায় সে কেন্দ্রের ভেতরে অবস্থান করছিলেন। এতে শরিফুলকে সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় তার মোবাইল ফোনের ফেসবুক মেসেঞ্জারে ইংরেজি পত্রের হুবু হুবু মিল একটি প্রশ্ন পত্র পাওয়া যায়। এসময় শরিফুল প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে বেলা ১২টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদুর রহমান ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ‘পাবলিক পরীক্ষা প্রশ্ন পত্র আইন (অপরাধ) ১৯৮০ এর ৯ (খ) ধারায়’ শরিফুল আলমকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা দেন। এ সময় শরিফুলের একটি মোবাইল ফোনসহ দুটি সীম ও একটি মেমোরি কার্ড জব্দ করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইংরেরি প্রশ্নপত্রের হুবু হুবু মিল একটি প্রশ্ন পত্র শরিফুলের মোবাইল ফোনের ফেসবুক মেসেঞ্জারের পাওয়া যায়। সে রোববার সকালে এটি একটি ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপে পেয়েছে বলে জানায়। কিন্তু কার কাছ থেকে প্রশ্ন পত্রটি পেয়েছে, তা সে জানাতে পারেনি।

প্রিয় সংবাদ/কামরুল

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...