স্বপ্নময় সেন্ট মার্টিন। ছবি- সংগৃহীত

সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বাধ্যতামূলক পাসপোর্টের ফটোকপি

জাহাজ চলাচল শুরু হলেও নিরাপত্তার ঝুঁকি কিছুটা থেকেই যাচ্ছে। তাই পরিস্থিতিকে যথাসাধ্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকতেই হচ্ছে। নিরাপত্তার স্বার্থে বিদেশী পর্যটকদের অবশ্যই পাসপোর্টের ফটোকপি সাথে রাখতে বলা হচ্ছে।

আফসানা সুমী
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৭, ২০:৩২ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ১৯:৩২
প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৭, ২০:৩২ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ১৯:৩২


স্বপ্নময় সেন্ট মার্টিন। ছবি- সংগৃহীত
(প্রিয়.কম) সমুদ্র... নীল ঢেউয়ে উচ্ছল সমুদ্র! হিংস্র নয়, শান্তিময় সমুদ্র। যে সমুদ্রের তীরে বসে ছোট ছোট ঝিনুক ছুঁয়ে কাটিয়ে দেওয়া যায় এক জীবন সেই সমুদ্র আমাদের বঙ্গোপসাগর! শীত আসছে মানেই সমুদ্রপ্রেমীদের দিন আসছে। পর্যটকদের জন্য সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে সেন্টমার্টিন গমনের ক্ষেত্রে। 
 
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন যেখানে গেলে নিখাদ আদিম প্রকৃতির স্বাদ মেলে, যেখানে সূর্য ওঠে এক বুক ভালোবাসা, যেখানে সমুদ্রের প্রশান্ত নীল মমতায় চোখে জল এনে দেয় সেই সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার সময় এসে গেছে! চলাচল শুরু করেছে কেয়ারী সিন্দবাদসহ অন্যান্য জাহাজ।
 
তবে সমুদ্র ভ্রমণের মৌসুম সচরাচর শুরু হয় আরও আগে। অক্টোবরেই। এবার দেরি হলো মূলত রোহিঙ্গা ইস্যুর কারণে। মায়ানমার থেকে প্রতিদিন অসংখ্য রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছেন পাশাপাশি মায়ানমারকে আহবান জানাচ্ছেন, রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক হতে। স্বভাবতই মায়ানমার ক্ষিপ্ত বাংলাদেশের উপর আর সীমান্তে এই নিয়ে উত্তেজনাও বিরাজ করছে।
 
টেকনাফ থেকে নাফ নদী পেরিয়ে যেতে হয় সেন্টমার্টিন। সম্পূর্ণ এলাকাটিই সীমান্ত সংলগ্ন। তাই পর্যটকদের কোনো ঝুঁকিতে ফেলতে চায়নি পর্যটন কর্পোরেশন এবং স্থানীয় প্রশাসন। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় সেন্টমার্টিনে পর্যটন শিল্পের এই অবরোধ অবস্থা কাটিয়ে সেখানে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। এই অবরোধ ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সেন্টমার্টিন পর্যটন শিল্পকে। তাছাড়া এখানকার জনগণের জীবিকাও এই সময় পর্যটকদের উপর নির্ভরশীল থাকে।
 
জাহাজ চলাচল শুরু হলেও নিরাপত্তার ঝুঁকি কিছুটা থেকেই যাচ্ছে। তাই পরিস্থিতিকে যথাসাধ্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকতেই হচ্ছে। নিরাপত্তার স্বার্থে বিদেশী পর্যটকদের অবশ্যই পাসপোর্টের ফটোকপি সাথে রাখতে বলা হচ্ছে। জাহাজের টিকিট কাটার সময় পাসপোর্টের এই ফটোকপি দেখিয়ে ছাড়পত্র নিতে হবে। ছাড়পত্র ছাড়া কোনো ভিনদেশী নাগরিক সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন না। বিষয়টি সম্পর্কে প্রিয়.কমকে নিশ্চিত করেন সেন্টমার্টিন বাগানবাড়ি রিসোর্টের দায়িত্বরত জনাব সাফায়াত। 
 
গুগল ম্যাপে সেন্ট মার্টিন।
 
রোহিঙ্গা শিবিরে বিদেশী পর্যটকদের গমন নিয়ন্ত্রণ করা এবং তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। বাংলাদেশী ভ্রমণকারীদেরকেও নিজেদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে রাখতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে সেটা বাধ্যতামূলক নয়। 
 
বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প অনেকাংশেই নির্ভরশীল কক্সবাজার এবং সেন্টমার্টিনের ওপর। এই দুই জায়গাতেই রোহিঙ্গা ইস্যুটি প্রভাব ফেলছে। তবে প্রশাসনের নির্দেশমালা অনুসরণ করলে পর্যটকরা যেকোনো সমস্যা থেকে মুক্ত ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন বলে আশা করা যায়। তাই আসুন নিয়ম মেনে চলি। নিজেদের সুরক্ষিত রাখি। শুভ এবং নিরাপদ হোক আপনার ভ্রমণ।
 
সম্পাদনাঃ ড. জিনিয়া রহমান
 
প্রিয় ট্রাভেল সম্পর্কে আমাদের লেখা পড়তে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে। যে কোনো তথ্য জানতে মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়। ভ্রমণ বিষয়ক আপনার যেকোনো লেখা পাঠাতে ক্লিক করুন এই লিংকে - https://www.priyo.com/post।

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...