এমন স্বাস্থোজ্জ্বল চুলের অধিকারী কে না হতে চায়? ছবি: নূর, প্রিয়.কম

চুল তার কবেকার অন্ধকার ...

কার্লিং আয়রন, ফ্ল্যাট আয়রন এবং হেয়ার ড্রায়ার চুলকে শুষ্ক করে তোলে এবং ফাটা চুলের সৃষ্টি করে।

বুশরা আমিন তুবা
ফিচার লেখক, প্রিয়.কম
প্রকাশিত: ০৯ নভেম্বর ২০১৭, ১২:০১ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৮:০০
প্রকাশিত: ০৯ নভেম্বর ২০১৭, ১২:০১ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৮:০০


এমন স্বাস্থোজ্জ্বল চুলের অধিকারী কে না হতে চায়? ছবি: নূর, প্রিয়.কম

(প্রিয়.কম) আশেপাশে কারো চুল দেখে কখনো আপনার মনে হয়েছে যে ‘ইশ, আমার যদি ওমন চুল থাকতো!’ এমন আফসোস আমরা কমবেশি সকলেই করি। কিন্তু এখন থেকে আর কোন হতাশার বাণী কিংবা আফসোসের সংকেত নয়। আপনি নিজেও লম্বা ও ঘন চুলের অধিকারী হতে পারবেন। শুধুমাত্র কয়েকটি ছোটখাটো নিয়ম অনুসরণের অপেক্ষা, তাহলেই হবে।

সামনে ছুটির সময় থেকে শুরু করে বিয়ের মৌসুম চলে এলো। এখনি তো সময় নিজের যত্ন নেওয়ার এবং চুলগুলোকে ঝলমলে আকর্ষণীয় করে তোলার। চলুন তবে চট করে কৌশলগুলো জেনে আসা যাক।

অতিরিক্ত ধোয়া বন্ধ করুন

প্রতিদিন চুল পরিষ্কার করার কোন প্রয়োজন নেই। একদিন পর পর চুল পরিষ্কার করুন। আমাদের ত্বকের নিজস্ব প্রাকৃতিক তৈল গ্রন্থি আছে যা আমাদের চুল নরম ও স্বাস্থ্য উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। চুলের নিজস্ব ব্যালেন্স আছে। নিয়মিত চুল পরিষ্কার করলে চুল এবং মাথার তালু দুটিই শুষ্ক হয়ে যায়।

সুতরাং, একদিন পর একদিন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করা বন্ধ করুন। এমন শ্যাম্পু খুঁজুন যেটিতে সালফেট, প্যারাফিন কিংবা পেট্রোলিয়াম নেই।

তাপ এড়িয়ে চলুন

কার্লিং আয়রন, ফ্ল্যাট আয়রন এবং হেয়ার ড্রায়ার চুলকে শুষ্ক করে ফেলে এবং ফাটা চুলের সৃষ্টি করে। চুলের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক হয়ে থাকে এ ব্যাপারটিই। আপনার যদি হিট ব্যবহার করতেই হয় তবে এমন শ্যাম্পু কিংবা কন্ডিশনার খুঁযে নিন যেটিতে জোজোবা তেল আছে। এতে করে সেটি তাপ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে।

চুল বাতাসে শুকানোই সবচেয়ে উত্তম। এতে করে চুল প্রাকৃতিকভাবেই স্বাস্থোজ্জ্বল এবং সোজা থাকে।

কন্ডিশনার পছন্দ করায় সতর্ক হোন

কন্ডিশনার আপনার চুল ভারী করে তোলে। চুলে ভলিউম কমিয়ে চুল নিষ্প্রাণ করে ফেলে। সিলিকন কন্ডিশনার চুলের জন্য প্রচন্ড ক্ষতিকর। এগুলো আপনার চুলের প্রাকৃতিক পুষ্টি কমিয়ে দেয়।

অ্যাপল সাইডার ভিনেগার আপনার চুলের জন্য একটি দারুণ কন্ডিশনার যেটি চুল ভারী করে নেতিয়ে ফেলবে না। এটি আপনার চুল ঝলমলে করে তুলবে।

এক কাপ পানিতে কয়েক ফোঁটা ভিনেগার মিশিয়ে চুলে ঢালুন। কয়েক মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। অবশ্যই ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধুবেন। দেখবেন আপনার চুল কি দারুণভাবে ঝলমল করছে। এই পদ্ধতিতে চুলের খুশকিও অনেকাংশে দূর হবে।

মাঝেমধ্যে চুলে মাস্ক ব্যবহার করুন

চুল কন্ডিশন করতে এবং ড্যামেজ প্রতিরোধ করতে হেয়ার মাস্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সপ্তাহে যেকোন একদিন বরাদ্দ রাখুন হেয়ার মাস্ক লাগানোর জন্যে।

শুকনো চুলে মাস্ক লাগালে সর্বাধিক উপকার পাবেন আপনি। অতঃপর সুন্দর করে চুল ধুয়ে ফেলুন এবং অন্য এক আপনাকে আবিষ্কার করুন।

পানি পান করুন

আপনার চুল তখনই স্বাস্থোজ্জ্বল থাকবে যখন আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করবেন এবং নিজেকে সুস্থ রাখবেন। গাছ যেমন পানি এবং যত্ন ছাড়া কোনভাবেই বাড়তে পারেনা, আপনার চুল ও ঠিক তেমনি। প্রত্যহ আট-দশ গ্লাস পানি পান করুন। এতে করে ঝলমলে চুলের সঙ্গে সঙ্গে আপনি দারুণ ত্বকের অধিকারীও হবেন।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান

আমরা যা-ই খাই তা কেন, সেটিই আমাদের স্বাস্থ্যকে প্রকাশ করে। ঘন-কালো চুল পেতে হলে আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ সবজি, ফল এবং সুষম খাবার খেতে হবে। শরীরে ভিটামিন এবং মিনারেলের অভাব হলে আপনি কখনোই সুস্থ থাকতে পারবেন না।

অধিক পরিমাণে ফ্যাটি এসিড যেমন অ্যাভোকাডো, মাছ, বাদাম খান। ভিটামিন বি৬ এবং বি১২ চুলের জন্য খুব উপকারী। আমিষ আমাদের চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

ছোটখাটো এ টিপসগুলো অনুসরণে আপনি অনেক লাভবান হবেন এবং সুন্দর ও স্বাস্থ্যবান চুলের অধিকারী হবেন কিছুদিনের মধ্যেই।

সূত্র: CureJoy 

প্রিয় লাইফ/ রুমানা বৈশাখী 

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...