সিরাজগঞ্জে বন্যার পানিতে মানুষের বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি

সিরাজগঞ্জ জেলার পাঁচ উপজেলার পানিবন্দী লাখো মানুষ এখনো বিশুদ্ধ খাবার পানি ও ওষুধ সংকটে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে।

সিরাজুল ইসলাম শিশির
কন্ট্রিবিউটর, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০১৭, ১৬:৫৯ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ২০:০০
প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০১৭, ১৬:৫৯ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ২০:০০


সিরাজগঞ্জে বন্যার পানিতে মানুষের বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে কমতে শুরু করায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে জেলার পাঁচ উপজেলার পানিবন্দী লাখো মানুষ এখনো বিশুদ্ধ খাবার পানি ও ওষুধ সংকটে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল রোববার যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে আজ রোববার সকালে তা ৭৯ সেন্টিমিটারে নেমে এসেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলা পয়েন্টে যমুনার পানি ২২ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানান, বন্যা কবলিত পাঁচটি উপজেলার ৪৮টি ইউনিয়নের প্রায় ৪০০ গ্রামের ৯৬ হাজার ৩৯৪টি পরিবারের ৪ লাখ ১১ হাজার ৫৫৬ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের প্রায় পৌনে ৩ লাখ মানুষজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ মানুষই পাউবোর বাঁধ, উঁচু রাস্তাঘাট ও স্থানীয় স্কুল-কলেজের আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। এই কর্মকর্তা আরও জানান, ৫ হাজার ৫শ ৪৮ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ এবং ৩৪ হাজার ৫৩টি আংশিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ও ৩০৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আংশিক ক্ষতিপ্রস্ত হয়েছে। ১০৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৭ হাজার ৫০৫ জন লোক আশ্রয় নিয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষের মধ্যে ৭১৬ মেট্রিক টন চাল ও ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণও রয়েছে।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৗশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, যমুনা নদীর পানি কমছে। বাঁধ এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।

প্রিয় সংবাদ/কামরুল

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...