ছবি: সংগৃহীত

প্রতারণার শিকার বাংলাদেশের ৫১% অভিবাসন প্রত্যাশী

এদের মধ্যে ১৯ শতাংশ মানুষ টাকা দেয়ার পরও বিদেশে যেতে ব্যর্থ হয়েছে। বাকি ৩২ শতাংশ প্রতারণার শিকার হয়েছে বিদেশে যাওয়ার পর।

ইতি আফরোজ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০১৭, ১৩:৪৭ আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০১৮, ১১:৩২
প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০১৭, ১৩:৪৭ আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০১৮, ১১:৩২


ছবি: সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) বাংলাদেশের অভিবাসন প্রত্যাশীদের ৫১ শতাংশই কোনো না কোনোভাবে প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এদের মধ্যে ১৯ শতাংশ মানুষ টাকা দেয়ার পরও বিদেশে যেতে ব্যর্থ হয়েছে। বাকি ৩২ শতাংশ প্রতারণার শিকার হয়েছে বিদেশে যাওয়ার পর। এতে তারা গড়ে ২ লাখ ৪৩ হাজার ২৪৭ টাকা করে হারিয়েছেন।

সম্প্রতি অভিবাসন প্রত্যাশীদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকার প্রতারণা নিয়ে বেসরকারি সংস্থা রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) একটি গবেষণা করেছে। বুধবার প্রকাশিত ওই গবেষণার প্রতিবেদন থেকে এ সব তথ্য পাওয়া গেছে।  

জনশক্তি, কর্মস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) হিসাবে, দেশের যেসব জেলা থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শ্রমিক বিদেশে যান, তার মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে আছে টাঙ্গাইল। গত এক দশকে বাংলাদেশ থেকে যত সংখ্যক শ্রমিক বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন, তার ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ এ জেলা থেকে।

জেলাটি থেকে গত ১০ বছরে কাজের উদ্দেশে বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ২ লাখ ৯০ হাজার ৭১৭ জন। গবেষণার জন্য তাই টাঙ্গাইলকেই বেছে নেয় রামরু। জেলার এলেঙ্গা ও পাইকোরার প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার পরিবারের ওপর জারিপ চালিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে রামরু।

রামরুর জরিপ অনুযায়ী, টাঙ্গাইলের পাইকোরা ইউনিয়নে ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ পরিবার থেকেই কেউ না কেউ অভিবাসী হয়েছে। এলেঙ্গায় এ হার ৩৩ দশমিক ৩ শতাংশ। এসব অঞ্চল থেকে প্রবাস ফেরতের সংখ্যাও কম নয়। ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবাস ফেরত মানুষ রয়েছে এ অঞ্চলে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক ভিসায় বিদেশ যেতে মাথাপিছু ব্যয় হয় ৪ থেকে ১০ লাখ টাকা। বড় অংকের এ ব্যয়ের প্রায় তিন-চতুর্থাংশই যায় মধ্যস্বত্বভোগী বা দালালদের পকেটে। আবার দালালদের কারণে প্রতিনিয়তই ঘটছে অবৈধ অভিবাসন। এসব রুখতে অভিবাসন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগী বিলুপ্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিবাসন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে নিবন্ধিত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর আওতায় সাব-এজেন্ট নিবন্ধন অথবা তালিকাভুক্ত প্রতিনিধি নিয়োগের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। শিগগিরই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। 

রামরুর চেয়ারপারসন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তাসনীম সিদ্দিকী বলেন, প্রতারণার দায়ভার কেবল দালালদের কাঁধে দেয়ার সুযোগ নেই। রাষ্ট্রকেও এর দায় নিতে হবে। কোথায়, কীভাবে মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছে, তা তাদের খুঁজে বের করে সমাধান করতে হবে। এজন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সহযোগিতা বাড়ানো ও দালালদের আইনের আওতায় আনার ওপর জোর দেন তিনি।

সূত্র: বণিক বার্তা
প্রিয় সংবাদ/শান্ত 

 

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...