কাবা শরীফ ও আরাফাহর ময়দানের চিত্র । ছবি : সংগৃহীত

যারা হজে যাবেন, প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন এখনই

হজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয় বরং আল্লাহর সাথে একটি গভীর সম্পর্কে তৈরি করে। হজ যাত্রীদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে এবং তাদের জীবনকে পুনরুজ্জীবিত করে যেন তারা আজ জন্মগ্রহণ করেছে।

মিরাজ রহমান
সাংবাদিক ও লেখক
প্রকাশিত: ০৩ জানুয়ারি ২০১৮, ১১:৩৮ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ২২:০০
প্রকাশিত: ০৩ জানুয়ারি ২০১৮, ১১:৩৮ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ২২:০০


কাবা শরীফ ও আরাফাহর ময়দানের চিত্র । ছবি : সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম একটি। এটি শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয় বরং আল্লাহপাকের সাথে একটি গভীর সম্পর্কে তৈরি করে। হজ যাত্রীদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে এবং তাদের জীবনকে পুনরুজ্জীবিত করে যেন তারা আজ জন্মগ্রহণ করেছে। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, তার মধ্যে রয়েছে সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ এবং ইবরাহীমের ইবাদাতের স্থান। আর তার অবস্থা হচ্ছে এই যে, যে তার মধ্যে প্রবেশ করেছে, সে নিরাপত্তা লাভ করেছে। মানুষের মধ্য থেকে যারা সেখানে পৌঁছার সামর্থ রাখে, তারা যেন এই গৃহের হজ্জ সম্পন্ন করে, এটি তাদের ওপর আল্লাহর অধিকার। আর যে ব্যক্তি এ নির্দেশ মেনে চলতে অস্বীকার করে তার জেনে রাখা উচিত, আল্লাহ বিশ্ববাসীর মুখাপেক্ষী নন। (সূরা-আল ইমরান, আয়াত-৯৭)

যাই হোক, যারা হজে যাবেন তাদের উচিত আগে থেকেই হজের পস্তুতি নেওয়া। যাতে করে হজটা পরিপূর্ণভাবে আদায় করা যায়। নিম্নে কিছু বিষয় উল্লেখ করছি যে বিষয়গুলোর আপনাকে বিশেষভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।

১. আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখুন: হজ আল্লাহপাকের একটি বিশেষ ইবাদত। আপনাকে শুরু থেকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে এবং আল্লাহর প্রতি এই বিশ্বাস রাখতে হবে যে, তিনি যদি চান তাহলেই আপনি হজে যেতে পারবেন। যদি আল্লাহপাক না চান তাহলে আপনার পক্ষে হজে যাওয়া সম্ভব নয়।

২. প্রাক-নিবন্ধন: হজে যাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ প্রাক-নিবন্ধন। জাতীয় পরিচয়পত্র, এমআর পাসপোর্ট, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, মোবাইল নম্বরসহ (যেখানে এসএমএস পাবেন) সরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য নিকটস্থ ইউনিয়ন তথ্য সেবাকেন্দ্র, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়, পরিচালক হজ কার্যালয় এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য ধর্ম-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত বৈধ হজ এজেন্সির মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধন করা যাবে। আপনার প্রাক-নিবন্ধিত ক্রমিক নম্বর সরকার-নির্ধারিত কোটার মধ্যে থাকলে ২০১৮ সালে হজে যাওয়ার জন্য মনোনীত হবেন।

৩. মাধ্যম: আপনি সরকারি ব্যবস্থাপনায় বা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন, এটা ঠিক করতে হবে। তা হলো, যে মাধ্যমে যাবেন অর্থাৎ এজেন্সিকে কিছু প্রশ্ন করতে হবে। তাহলে আগে থেকে আপনিও জানবেন, প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে।

৪. হজের আগের নিয়ম-কানুনগুলো জানুন: আপনি যখন হজে যাবেন তখন আপনাকে এই বিষয়ে ভালোভাবে জানতে হবে। আর এই জানার জন্য হজের উপরে লেখা বিভিন্ন বই পড়তে হবে এবং হজের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। বইগুলি/ইন্টারনেট ব্যবহার করুন এবং নিম্নলিখিতগুলি সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়ুন: ক. হজের শর্তাবলী। খ. হজ ও উমরার স্তম্ভসমূহ। গ. হজ বিভিন্ন কাজ। ঘ. পুরুষ ও মহিলা হজ্জ পার্থক্য। ঙ. কিভাবে হজ/উমরাহ পালন করবেন? চ. বিদায়কালীন করণীয়।

৫. জিজ্ঞাসা করতে লজ্জা করবেন না: হজের বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করার সময় অনেক ভাই ও বোন লজ্জা বোধ করে। যদি আপনি মক্কা/মদিনাতে থাকেন এবং বিভ্রান্তির কিছুটা অনুভব করেন, তবে আপনার দায়িত্ব আপনার দলের নেতা বা অন্য কোন ভাই/বোনকে জিজ্ঞাসা করা আপনার দায়িত্ব। এই বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে কোনো প্রকার লজ্জা করবেন না। বরং আপনি যত স্পষ্টভাবে জানবেন তত ভালোভাবে হজ আদায় করতে পারবেন।

৬. মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা: হজের সফরে প্রচুর হাঁটাচলা করতে হয়। চাইলে যখন-তখন যানবাহন পাওয়া যায় না। এটাও মাথায় রাখা। উমরায় তাওয়াফ, সাঈ, মিনা, জামারাতের পাথর মারা, মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে হজের তাওয়াফ, সাঈ করতে প্রচুর হাঁটাচলা করতে হয়। এসবের জন্য মানসিক, শারীরিক সক্ষমতা জরুরি।

প্রিয় ইসলাম/কামরুল

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...