শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধ ও মুসলমান সম্প্রদায়ের দাঙ্গায় পুলিশের তৎপরতা। সংগৃহীত ছবি

বৌদ্ধ-মুসলমান দাঙ্গার জেরে শ্রীলঙ্কায় কারফিউ জারি

বৌদ্ধ ও মুসলমান সম্প্রদায়ের এই দাঙ্গায় দেশটির গলে প্রদেশের জিনটোটা এলাকায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ঘরবাড়ি, দোকানপাট। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটক করা হয়েছে ১৯ জনকে। কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।

জাহিদুল ইসলাম জন
জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক, নিউজ এন্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:২০ আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০১৮, ১৬:১৭
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:২০ আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০১৮, ১৬:১৭


শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধ ও মুসলমান সম্প্রদায়ের দাঙ্গায় পুলিশের তৎপরতা। সংগৃহীত ছবি

(প্রিয়.কম) এক মুসলমান নারী পথচারীকে অপর বৌদ্ধ মোটরসাইকেল চালক ধাক্কা দেওয়ায় শ্রীলঙ্কার দক্ষিণাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া দাঙ্গার জেরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। দাঙ্গা পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েনের পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় দ্বিতীয় দিনের মতো সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি রয়েছে। ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে।

বৌদ্ধ ও মুসলমান সম্প্রদায়ের এই দাঙ্গায় দেশটির গলে প্রদেশের জিনটোটা এলাকায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ঘরবাড়ি, দোকানপাট। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটক করা হয়েছে ১৯ জনকে। কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।

দেশটির আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রী সাগালা রত্নায়েকে এক বিবৃতিতে বলেন, গত রাতে অতিরিক্ত পুলিশ, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স পুলিশ, দাঙ্গা পুলিশ আর সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। একইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ না ছড়াতে স্থানীয়দের সতর্ক করেছেন তিনি।

ওই এলাকার সংসদ সদস্য মানুসা নানিয়াক্কারা সংবাদমাধ্যম বিবিসি-কে বলেন, ‘দাঙ্গার ঘটনায় অন্তত দশটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্তত ৬২ বাড়িঘর আর দোকানপাটে আক্রমণ করা হয়েছে।’

দাঙ্গায় পুড়িয়ে দেওয়া ঘরবাড়ি। সংগৃহতি ছবি
দাঙ্গায় পুড়িয়ে দেওয়া ঘরবাড়ি। সংগৃহতি ছবি

বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। কয়েকদিন আগে এক মুসলিম নারী পথচারীকে অপর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মোটরসাইকেল চালক ধাক্কা দেওয়ার পর দাঙ্গা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নানা ধরনের গুজব এই সহিংসতাকে উসকে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই অঞ্চলের পুলিশের এক মুখপাত্র।

এদিকে রোববার ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে। তিনি সহিসংতার জন্য দায়ীদের ‘দুষ্কৃতিকারী’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, গুজব ছড়ানোয় এখানে বিপর্যয় ঘটে গেছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখানে সারাজীবন থাকবে না। বরং স্থানীয়দেরই শান্তিপূর্ণভাবে এখানে বসবাস করতে হবে।

তিন বছর আগে একই ধরনের এক দাঙ্গায় ওই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয় কয়েক হাজার মুসলিম পরিবার।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত   

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...