স্বাধীনতা সংগ্রাম। ছবি- লেখক

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভাস্কর্য "স্বাধীনতা সংগ্রাম"

ভাস্কর্যটির স্থাপত্যকাল লেখা হয় ১৯৯৯ সাল। তবে গল্পটা আরও পুরোনো। ১৯৮৮ সালেই শুরু হয়েছিল এর নির্মাণ। ফুলার রোডে প্রাচীন এক বাড়ি ছিল। বর্তমানে এটি প্রভিসির ভবন। এই বাড়ির সামনের পরিত্যাক্ত জায়গায় শামীম শিকদার নির্মাণ শুরু করেন এক অনন্য ভাস্কর্য।

আফসানা সুমী
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০১৭, ২০:১০ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ২৩:৪৮
প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০১৭, ২০:১০ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ২৩:৪৮


স্বাধীনতা সংগ্রাম। ছবি- লেখক

(প্রিয়.কম) আসছে বিজয়ের মাস। গুনে গুনে ৪৬ হবে বাংলাদেশের বয়স। ছোট্ট এই বদ্বীপ রাষ্ট্রের জন্ম হয় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। তবে এর স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু হয়েছে আরও অনেক আগে। বিদ্রোহের নগরী বলা হতো এই অঞ্চলকে। নিজ অধিকার রক্ষায় সবসময়ই সোচ্চার ছিল বঙ্গের অধিবাসীরা। শাসক বদলেছে, কিন্তু এখানকার মানুষ কোনোদিন মাথা নত করেনি। অনেক লড়াই, সংগ্রাম, রক্তক্ষরণের মধ্য দিয়ে এই জাতি পেয়েছে স্বাধীনতা। ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ের আন্দোলনের পথ-পরিক্রমা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ নামক একটি দেশকে। দীর্ঘ সংগ্রামের বন্ধুর পথকে তুলে ধরতে আমাদের স্থাপত্য শিল্পীরা নির্মাণ করেছেন ভাস্কর্য। কোনো ভাস্কর্য ভাষা আন্দোলনের, কোনো ভাস্কর্য গণুভ্যুথানের। আবার কোনো ভাস্কর্য গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের। এই ভাস্কর্য আমাদের ইতিহাসকে যেন বিমূর্ত করে তোলে। যেখানে ইতিহাস নির্বাক সেখানে কথা বলে ভাস্কর্য। 

'ইতিহাস নির্বাক' এই বাক্যে দ্বিমত থাকতে পারে অনেকেরই। মনে হতে পারে, ইতিহাসের পাতায় যদি নাম না থাকে তাহলে ভাস্কর্য থেকেই কি হবে? কেউ তাকে চিনবে কি করে? কথা সত্য। তবে আমাদের দেশের মতো জায়গায় যেখানে অতীত সংরক্ষণের প্রয়াস খুব দূর্বল এবং মতামতের প্রভাবদুষ্ট সেখানে এমন অনেক মানুষের অবিস্মরণীয় অবদান মুছে ফেলা হয়েছে অনাদরে ইতিহাসের বিশাল পাতা থেকে যাদের ছাড়া সেই সময়টা অসম্পূর্ণ। দেখা গেছে, কোন দূর গ্রামে এক নারী যোদ্ধা ছিলেন, কেউ জানেন না তাঁর কথা। তাঁর মৃত্যুরও অনেক বছর পর অন্য কোথাও একটি ভাস্কর্য দেখে দর্শণার্থীরা যখন খুঁজছেন এটি কার প্রতিকৃতি তখন বেরিয়ে এলো এই সেই নারী। এভাবে কথা বলে ভাস্কর্য। এভাবে ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখে ভাস্করেরা।

মুক্তিযোদ্ধা শামীম সিকদার হয়তো এভাবেই ভাবতেন। তাই তিনি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোডে সলিমুল্লাহ হল, জগন্নাথ হল আর বুয়েট সংলগ্ন সড়ক দ্বীপে ভাস্কর্য নির্মাণ শুরু করেন তখন সেখানে শুধু একটি আন্দোলনকে তুলে না ধরে তুলে আনতে চাইলেন সেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলার মুক্তির সংগ্রাম পর্যন্ত সবকিছুই। একটি সড়ক দ্বীপে তিনি তৈরি করেছেন ১১৬ টি ভাস্কর্য! এমন অনেকের আবক্ষমূর্তির দেখা পাবেন এখানে যাদেরকে আপনি হয়ত আগে কখনোই দেখেননি বা নাম জানতেন না। পাসাপাশি কিছু ভাস্কর্য করা হয়েছে সেই সময়টাকে চিত্রায়ণ করতে। আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় ভাস্কর্য এটি। নাম "স্বাধীনতা সংগ্রাম"!

শামীমমুক্তিযোদ্ধা নরনারী এবং নূর হোসেনের সেই গণতন্ত্র মুক্তি পাক। ছবি- লেখক

ভাস্কর্যটির স্থাপত্যকাল লেখা হয় ১৯৯৯ সাল। তবে গল্পটা আরও পুরোনো। ১৯৮৮ সালেই শুরু হয়েছিল এর নির্মাণ। ফুলার রোডে প্রাচীন এক বাড়ি ছিল। বর্তমানে এটি প্রভিসির ভবন। এই বাড়ির সামনের পরিত্যাক্ত জায়গায় সামিম শিকদার নির্মাণ শুরু করেন এক অনন্য ভাস্কর্য। তার মূল লক্ষ্য ছিল ভাষা আন্দোলনকে তুলে ধরা। ভাস্কর্যটির নাম দেওয়া হয় 'অমর একুশে'। ১৯৯০ সালে প্রয়াত অধ্যাপক আহমদ শরীফ ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন। কিন্তু পরবর্তিতে ঐ জায়গাটি উদয়ন স্কুলের জন্য বরাদ্দ করা হয়। স্কুলের নকশার কারণে ভাস্কর্যটিকে স্থানান্তরের প্রয়োজন পড়ে। এটিকে নিয়ে আসা হয় বর্তমান সড়ক দ্বীপে। এখানেই মোড় ঘুরে যায়। শুধু ভাষা আন্দোলনের গল্প বলা ভাস্কর্যটি শামিম সিকদারের হাতে ধীরে ধীরে আরও পরিবর্তিত ও পরিমার্জিত হয়ে বলতে শুরু করে আরও অনেক আন্দোলন সংগ্রামের গল্প।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মূল উপজীব্য রেখে একেবারে বদলে ফেলা হয় ভাস্কর্যটির তাৎপর্য। ফুটে ওঠে অতীতের গৌরব। ১৯৯৯ সালের ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন। 

"স্বাধীনতা সংগ্রাম" ভাস্কর্যে তুলে ধরা হয়েছে ৬৬ এর স্বাধিকার আন্দোলন, ৬৯ এর গণ অভ্যুথান, ৭১ এর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চের ভয়াবহ সেই কাল রাত্রি, ২৬ মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণা, ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়। মূল ভাস্কর্যে প্রতিটি আন্দোলনে নিহত হয়েছেন এমন ১৮ জন শহীদের মুখের অবয়ব তৈরি করা হয়েছে। ভাষা শহীদ থেকে শুরু করে সবার ওপরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিমূর্তি, এ যেন ধাপে ধাপে মুক্তির দিকে এগিয়ে যাওয়াকে নির্দেশ করছে। লাল সবুজের পতাকাটি নির্দেশ করছে চূড়ান্ত বিজয়কে!

মূল ভাস্কর্যটিকে ঘিরে আছে আরও অনেকগুলো ভাস্কর্য। বিভিন্ন কবি সাহিত্যিকদের প্রতিমূর্তি আছে এখানে। আছে শিক্ষাবিদ, শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক, বিপ্লবী, রাজনীতিক, বিজ্ঞানীর আবক্ষমূর্তি। এই গুনীদের আবক্ষ নির্মানে শামিম দেশের সীমা পেরিয়ে চলে গেছেন বিশ্ব দরবারে। তাই দেখা মেলে আইন্সটাইনের। দেখা মেলে ইন্দিরা গান্ধীর। কোথাও দেখা যায় একদল বাউল গান করছেন, কোথাও বাউল সম্রাট বসে কল্কিতে টান দিচ্ছেন, কোথাও দাঁড়িয়ে আছেন নূর হোসেন- পিঠে লেখা 'গণতন্ত্র মুক্তি পাক!' কোথাও আবার বাবা আর সন্তানের ভালোবাসা দেখা যাচ্ছে। নানা প্রতিকৃতি এখানে নানান কথা বলছেন। তবে শিল্পীর মনের ভাব দর্শকের কাছে আরও স্পষ্ট হতো যদি প্রতিটি ভাস্কর্যের সাথেই থাকত কিছু লেখনী। বড় বড় ব্যক্তিত্বের ভাস্কর্যের নিচে তাদের পরিচয় দেওয়া থাকলেও এমন ভাস্কর্যের সংখ্যাই বেশি যেগুলো সম্পর্কে কোনো কিছু লেখা নেই।

প্রিয়.কমের পক্ষ থেকে এই ভাস্কর্য পরিদর্শনে গিয়েছিলাম প্রিয় ট্রাভেল টিম! বিশাল জায়গা জুড়ে করা ভাস্কর্য এলাকার মাঝে একটি অফিস কক্ষ রয়েছে। তবে সেটি বন্ধ ছিল। বাইরে থেকে দেখে যা মনে হলো, এটি সবসময় বন্ধই থাকে! তবে একজন লোক রয়েছেন যিনি ভাস্কর্য প্রাঙ্গনটি দেখাশোনা করেন। ভাস্কর্যের গায়ে বসানো হয়েছে লাল নীল বাতি। রাতে জ্বলে ওঠে তারা। সঙ্গে চালু হয় বঙ্গবন্ধু ফোয়ারা, যার মাঝে বসানো হয়েছে মূল 'স্বাধীনতা সংগ্রাম' ভাস্কর্যটি। 

ভাস্করের জীবন

শামীম
শামীম শিকদার। ছবি- লেখক

বাংলাদেশের ভাস্কর্যশিল্প শামীম শিকদারকে আলাদা করা কঠিন। ভাস্কর্য নির্মাণ তার কাছে ছিল সাধনার মতো। ১৯৮০ সালে শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে যুক্ত হন তিনি। ১৯৮৬ সালে সহ অধ্যাপক এবং ১৯৯৩ সালে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৯৯ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। তার কাজের মূল উপকরণ ছিল সিমেন্ট, ব্রোঞ্জ, কাঠ, প্লাস্টার অব প্যারিস, কাঁদা, কাগজ, স্টিল ও গ্লাস ফাইবার। এই উপকরণগুলো ব্যবহার করে নিজ হাতে একের পর এক অসাধারণ ভাস্কর্য তৈরি করেছেন তিনি। খ্যাতি অর্জন করেছেন দেশ এবং দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও। 

শামীম শিকদারের ভাস্কর্য নির্মাণ শেখা শুরু হয় বুলবুল ললিতকলা একাডেমি থেকে। এখানে তার শিক্ষক ছিলেন একজন ফ্রেঞ্চ ভাস্কর জনাব সিভিস্কি। ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ৩ বছরের কোর্স শেষ করেন তিনি এখানে। পলিটেকনিক্যালে আর্কিটেকচারে ছিলেন, পরে চারুকলায় বদলী নিয়ে আসেন। এরপর লন্ডনের স্যার জন স্কুল অব কাস থেকে ১৯৭৬ সালে সনদ অর্জন করেন। এখানেই থেমে থাকেনি তার শেখা। এরপর চীনে জনাব লু ডুলি নামের একজন বিখ্যাত ভাস্করের সাথে ১ বছর কাজ করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ইন্ডিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ঘুরে ঘুরে জ্ঞান অর্জন করেছেন সেসব দেশের ভাস্কর্য আর ইতিহাস রক্ষায় এর অবদান সম্পর্কে। 

তাঁর সৃষ্টি

১৯৭৪ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতির জনক শেখ মুজিবের স্মরণে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করেন তিনি। ১৯৮৮ সালে নির্মাণ করেন মুক্তিযুদ্ধের অনন্য ভাস্কর্য 'সোপার্জিত স্বাধীনতা'। এটির অবস্থান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে। তার সহকারী হিসেবে এখানে কাজ করেছেন শিল্পী হিমাংশু রায়। ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের সামনের স্বামী বিবেকানন্দের ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন। এইসব কিছুর পাশাপাশি নির্মিত হতে থাকে 'স্বাধীনতা সংগ্রাম'। ১৯৯৯ সালে উদ্বোধন হয় এটি। ২০০০ সাল পর্যন্ত স্বাধীনতা সংগ্রাম চত্বরে বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিদের ভাস্কর্য নির্মাণ করতে থাকেন তিনি। এরপর জাতীয় ভাস্কর্য গ্যালারির কাজ শুরু করেন। আরও অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিদের অবয়ব উঠে আসে এখানে। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক ভাস্কর্যও নির্মাণ করেন। তবে গ্যালারিটি এখন বন্ধ আছে।

১৯৮২ সালে নির্মাণ করেন 'স্ট্রাগলিং ফোর্স' নামক ভাস্কর্য। এটি আছে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। ১৯৮৩ সালে নির্মাণ করেন 'একটি মধুর স্বপ্ন'। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আছে এটি। মাদার তেরেসা চ্যারিটি হাসপাতালের জন্য 'আশা উদ্দীপনার একটি পাখি' নামক ভাস্কর্য নির্মাণ করেন ১৯৯৪ সালে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে তার নির্মিত ভাস্কর্য আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আনোয়ার পাশায় তার নির্মিত একাধিক ভাস্কর্য রয়েছে। দেশের বাইরে অন্তত ২০টি দেশে তার নির্মিত শিল্পকর্ম প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।

নিজের নির্মিত ভাস্কর্য নিয়ে একাধিকবার প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন তিনি। চারুকলায় প্রদর্শনী করেন ১৯৭৫ সালে। ১৯৭৬ সালে লন্ডনের কমনওয়েলথ ইন্সটিটিউটে, ১৯৮২ সালে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে, একই বছর শিল্পকলা একাডেমিতে ভাস্কর্য প্রদর্শনী করেন তিনি। এছাড়াও একক এবং দলগত অনেক প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন তিনি। সবসময় থেকেছেন কর্মমূখর। 

তার লেখা বই

ভাস্কর্য শুধু তৈরিই করেননি তিনি এই সম্পর্কিত বই ও লিখেছেন। তার লেখা বইগুলো হলো ইনার ট্রুথ অব স্কাল্পচারঃ আ বুক অন স্কাল্পচার, স্কালপচারকামিং ফ্রম হেভেন (২০০০), কনটেম্পোরারি আর্ট সিরিজ অব বাংলাদেশ।

সম্মাননা

১। ইনস্টিটিউট অব ফাইন আর্টস পুরস্কার (১৯৬৯, ১৯৭০, ১৯৭৩, ১৯৭৪ সাল)

২। সিলভার জুবলি অ্যাডওয়ার্ড অব ফাইন আর্ট (১৯৭৩ সাল)

৩। প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার (১৯৭৪ সাল)

৪। একুশে পদক (২০০০ সাল) 

ভাস্কর শামীম শিকদার ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন ২য় বর্ষের ছাত্রী। চারুকলা থেকে তিনি ও তার সহপাঠীরাই প্রথম মিছিল বের করেন। যুদ্ধের পরও দেশের জন্য কাজ করে গেছেন তিনি। ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করার সময় ওখানেই তাকে রেখে দিতে চাইলেন। কিন্তু তিনি চেয়েছিলেন চারুকলার শিক্ষক হতে। তাই ফিরে এলেন মাতৃভূমির কাছে। 

ধর্মীয় গোঁড়ামি ছুঁড়ে ফেলে মুক্ত চিন্তার চর্চা করেছেন তিনি সবসময়। তাই এজন্য অনেকবার মৌলবাদীদের হুমকীর মুখে পড়েন তিনি। 

শোইশব থেকেই তিনি ছিলেন দস্যি। পাকিস্তান আমলে সাইকেল চালিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। একটি মইয়ে সাইকেল চালাচ্ছে বলে নানান রকম বিদ্রুপের শিকার হতে হত তাকে। নিজেই প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। বখাটেদের মারধোর করতেন তাকে ক্ষেপালে। তাকে সবাই ডাকত 'শামীম ভাই'। 

সংগ্রামের মাঝেই কেটেছে তার জীবন। তবু জীবনকে ভালোবেসেছেন। কাজ করে গেছেন অনবরত। দেশের ক্ষমতায় একজন নারী থাকার পরও নারীদের প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম এত কঠিন বলে আক্ষেপ করেছেন নানা সময়। বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত ভাস্কর্যগুলোর প্রতি তরুনদের আচরণ দেখে বলেছেন "অনেকে দেখি ‘স্বোপার্জিত স্বাধীনতা’র গায়ে ব্যানার লাগিয়ে মিটিং করে? যারা ইতিহাসকে রক্ষা করতে জানে না,তারা দেশ রক্ষা করবে কি করে?"

চারুকলা অনুষদ থেকে অবসর গ্রহণের পর এই গুনী শিল্পী ইংল্যান্ড চলে যান। 

সম্পাদনাঃ ড. জিনিয়া রহমান

প্রিয় ট্রাভেল সম্পর্কে আমাদের লেখা পড়তে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে। যে কোনো তথ্য জানতে মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়। ভ্রমণ বিষয়ক আপনার যেকোনো লেখা পাঠাতে ক্লিক করুন এই লিংকে - https://www.priyo.com/post

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...