রুনা লায়লা। ছবি: সংগৃহীত।

গানের পাখি রুনা লায়লার ৬৪ তম জন্মবার্ষিকী আজ

বাংলাদেশের সংগীত জগতের এই জীবন্ত কিংবদন্তি ১৯৫২ সালের এ দিনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন

সিফাত বিনতে ওয়াহিদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:৪৯ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ০০:৩২
প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:৪৯ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ০০:৩২


রুনা লায়লা। ছবি: সংগৃহীত।

(প্রিয়.কম) উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার আজ ৬৪ তম জন্মবার্ষিকী। বাংলাদেশের সংগীত জগতের এই জীবন্ত কিংবদন্তি ১৯৫২ সালের এ দিনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবার বদলী চাকরিসূত্রে তার শৈশব ও কৈশোর কাটে পাকিস্তানের মুলতানে।

পরিবার থেকেই সুরের ছোঁয়া পেয়েছেন গানের এ পাখি। বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী একজন সরকারি কর্মকর্তা হলেও, মা অনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন একজন সংগীতশিল্পী। আর তার মামা সুবীর সেনের সংগীতের খ্যাতি ছিল পুরো ভারত জুড়ে।

মাত্র বারো বছর বয়সে ১৯৬৪ সালে পাকিস্তানি চলচ্চিত্র জুগনুতে প্লেব্যাকের মাধ্যমে সংগীত অঙ্গনে পা রেখেছিলেন এ খ্যাতিমান শিল্পী। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখের মাধ্যমে প্রথম প্লেব্যাক করলেও, গানটিতে তিনি কন্ঠ দিয়েছিলেন লাহোরে থাকাকালীন। ১৯৭৪ সালে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে বসবাস শুরু করার পর প্রথম প্লেব্যাক করেন সত্য সাহার সুরে জীবন সাথী সিনেমায়।

সুদীর্ঘ পাঁচ দশকের সংগীত ক্যারিয়ারে ১৯টিরও বেশি ভাষায় প্রায় দশ হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের প্লেব্যাকে পপ ও আধুনিকা ঘরানার গান তার হাত ধরেই শুরু হয়েছে।

শুধু বাংলাদেশেই নয়; গানের এ পাখি একই সঙ্গে বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানেও সমানভাবেই সমাদৃত। নব্বই দশকে প্রখ্যাত পাকিস্তানি সুরকার নিসার বাজমির সুরে প্রতিদিন দশটি করে, তিনদিনে ত্রিশটি গানে কণ্ঠ দিয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লেখান তিনি। তবে সংগীতশিল্পী হিসেবে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করলেও নাচেও বেশ পারদর্শী রুনা লায়লা। ভারতনাট্যম, কত্থকলি এবং কত্থক সবই তার আয়ত্তে।

এছাড়াও খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত শিল্পী নামের একটি সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। এ সিনেমায় তার সহশিল্পী ছিলেন চিত্রনায়ক আলমগীর। পরবর্তীতে এ দুই তারকা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত এ সংগীতশিল্পীর অসংখ্য গানের মধ্যে গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে, তুমি আজ কথা দিয়েছ, কালতো ছিলাম ভালো, শিল্পী আমি তোমাদেরই গান শোনাবো, পান খাইয়া ঠোঁট লাল করিয়া, পাড়ার লোকে কয় আমায় ভুতে ধরেছে, ম্যায় কালি আনার কি, মিলি গুল কো খুশবো উল্লেখযোগ্য।

প্রিয় বিনোদন/সিফাত বিনতে ওয়াহিদ

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...