বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। ফাইল ছবি

‘ইপিজেড প্রতিষ্ঠায় রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করা হচ্ছে’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন থেকে আরও রোহিঙ্গা তাড়িয়ে সেখানে ইপিজেড তৈরি করবে। তবে কূটনৈতিক উপায়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’

আয়েশা সিদ্দিকা শিরিন
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:২২ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ০৬:০০
প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:২২ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ০৬:০০


বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। ফাইল ছবি

(প্রিয়.কম) বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘রাখাইন রাজ্যে রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকাসহ (ইপিজেড) বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান-শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করা হচ্ছে।’

১৩ অক্টোবর শুক্রবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে কোরিয়ান শোকেস প্রদর্শনী উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন থেকে আরও রোহিঙ্গা তাড়িয়ে সেখানে ইপিজেড তৈরি করবে। তবে কূটনৈতিক উপায়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

সে সময় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

এদিকে ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি বলেছেন, ‘রাখাইন থেকে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’

প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিধন অভিযান শুরুর পর প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

তবে বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা ৬ লাখেরও বেশি। এদিকে পালিয়ে আসার হার আগের চেয়ে কিছুটা কমলেও, তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে বলার সময় এখনও হয়নি বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মুখপাত্র। 

সারা বিশ্বে ইউএনএইচসিআর কতৃক নিবন্ধিত ১৭.২ মিলিয়ন শরণার্থীর ৩০% এখন বাংলাদেশে। এরই মধ্যে চলমান রোহিঙ্গা ঢল অব্যাহত থাকলে শরণার্থীর এ সংখ্যা ১০ লাখে পৌঁছাতে পারে বলেও সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

অভিযানের নামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী খুন, ধর্ষণ, ঘরবাড়ি পুরিয়ে দেওয়া, কুপিয়ে হত্যাসহ বর্বরতার চূড়ান্ত সীমাও অতিক্রম করেছে বলে অভিযোগ নিউইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইচ ওয়াচের।

স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবি বিশ্লেষণের মাধ্যমে সংস্থাটি বলেছে, ইতোমধ্যে প্রায় ২১৪টি রোহিঙ্গা অধুষ্যিত গ্রাম পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে উল্লেখ করে দেশটির ওপর কিছু ক্ষেত্রে ও সেনাবাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও আহ্বান জানায় সংস্থাটি।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সরকারি বাহিনীর চলমান নির্মম নির্যাতনের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক আহ্বান করা হয়। রোহিঙ্গা ইস্যুতে এ বৈঠকের অনুরোধ জানিয়েছিল নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাজ্য এবং অস্থায়ী সদস্য সুইডেন।

তবে ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইউ কিউ জেইয়া দেশটির সংবাদমাধ্যমকে জানান, এই বৈঠকে অংশ নেবেন না মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি

আর বুধবার বৈঠক শেষে আরাকানে চলমান রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলো।

প্রিয় সংবাদ/শিরিন

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...