শাহপরীর দ্বীপে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ছবিটি তুলেছেন তাজুল ইসলাম পলাশ। ছবি: প্রিয়.কম

রোহিঙ্গাদের বাড়ি ভাড়া, পরিবহন নয়: পুলিশ সদর দফতর

এআইজি-মিডিয়া অ্যান্ড পিআর সহেলী ফেরদৌস স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সরকার তাদের নির্দিষ্ট বাসস্থান, খাওয়া, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। তাদের নির্দিষ্ট ক্যাম্পের বাইরে কেউ বাড়ি ভাড়া দিতে পারবেন না।’

জাহিদুল ইসলাম জন
জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক, নিউজ এন্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:১৩ আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০১৮, ১১:০১
প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:১৩ আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০১৮, ১১:০১


শাহপরীর দ্বীপে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ছবিটি তুলেছেন তাজুল ইসলাম পলাশ। ছবি: প্রিয়.কম

(প্রিয়.কম) মিয়ানমার থেকে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ছড়িয়ে পড়া রোধে তাদের বাড়ি ভাড়া দিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পুলিশ। একইসঙ্গে তাদের পরিবহন না করতে পরিবহন মালিক শ্রমিকদেরও নিষেধ করা হয়েছে।

শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে।

পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) সহেলী ফেরদৌস স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সরকার তাদের নির্দিষ্ট বাসস্থান, খাওয়া, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। তাদের নির্দিষ্ট ক্যাম্পের বাইরে কেউ বাড়ি ভাড়া দিতে পারবেন না।’

নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার আগ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের নির্দিষ্ট ক্যাম্পে অবস্থানের পরামর্শ দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তাদের অবস্থান এবং গতিবিধি শুধুমাত্র কক্সবাজারের নির্দিষ্ট ক্যাম্পে সীমাবদ্ধ থাকবে। তারা ক্যাম্পের বাইরে তাদের আত্মীয়স্বজন অথবা পরিচিত ব্যক্তিদের বাড়িতে অবস্থান ও আশ্রয় গ্রহণ করতে পারবেন না।’

দেশের বিভিন্ন স্থানে রোহিঙ্গাদের ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে সকল সহযোহিতা করতে ওই বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়। এতে বলা হয়, ‘রোহিঙ্গারা নির্দিষ্ট ক্যাম্পের বাইরে অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়তে অথবা যাতায়াত করতে পারবে না। তারা সড়ক, রেল, নৌপথে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করতে পারবে না। সব ধরনের পরিবহনের চালক-শ্রমিক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে রোহিঙ্গাদের পরিবহন না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’

এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, বাড়িভাড়া অথবা পরিবহনের কোনো খবর জানলে তা তাৎক্ষনিকভাবে স্থানীয় প্রশাসনকে জানাতে অনুরোধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে গত ২৫ আগস্ট থেকে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে থাকে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। জাতিসংঘের এক হিসেবে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এস ব শরণার্থীরা যাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে নিরাপত্তা পরিস্থির অবনতি ঘটাতে না পারে, সে কারণেই পুলিশের পক্ষ থেকে এই সতর্কতা জারি করা হলো বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত   

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...