ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম। ছবি: সংগৃহীত

‘ধর্মগুরু’র লালসা মেটাতে শরীর খুঁজে দিত ‘বিষকন্যা’রা!

ধর্ষক বাবার এক সাবেক নারী দেহরক্ষীর ভাষ্য, প্রত্যেক রাতে রাম রহিমের যৌন লালসা চরিতার্থ করার জন্য নতুন নতুন শরীরের প্রয়োজন হতো। সেই চাহিদা মেটাত এই বিষকন্যারা। আর বাবার ইচ্ছে পূরণ না করতে পারলে বিষকন্যাদেরই নিজেদের শরীর দিয়ে তার মূল্য চোকাতে হতো।

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৬:৫৫ আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ২৩:৪৮
প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৬:৫৫ আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ২৩:৪৮


ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম। ছবি: সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) ভারতের বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিমের গ্রেফতারের পর থেকেই সাহস করে মুখ খুলতে শুরু করেছেন তার অনেক প্রাক্তন অনুরাগী। 

ধর্ষক বাবার এক সাবেক নারী দেহরক্ষীর ভাষ্য, প্রত্যেক রাতে রাম রহিমের যৌন লালসা চরিতার্থ করার জন্য নতুন নতুন শরীরের প্রয়োজন হতো। সেই চাহিদা মেটাত এই বিষকন্যারা। আর বাবার ইচ্ছে পূরণ না করতে পারলে বিষকন্যাদেরই নিজেদের শরীর দিয়ে তার মূল্য চোকাতে হতো।

এ ছাড়া গুরমিতের গুহার বিষয়ে বাইরে মুখ বন্ধ রাখতে হতো। এই বিষয়টিও খেয়াল রাখত বিষকন্যারাই।  

ভণ্ডবাবা নিজের ডেরায় অপরাধের স্বর্গরাজ্যে রাজত্ব করার জন্য রাম রহিম তৈরি করেছিল নারী গুণ্ডাবাহিনী। এক সময় যে নারীরা গুরমিতের যৌন লালসার শিকার হতো তাদের মধ্যে থেকেই বেছে নেওয়া হতো এই বিশেষ দেহরক্ষীদের। যাদের বলা হতো বিষকন্যা। মায়া-মমতা কোনো কিছুই নাকি ছিল না রাম রহিমের এই গুণ্ডাবাহিনীর। রীতিমতো মগজ ধোলাই করা হতো এদের। বোঝানো হতো ঈশ্বরের দূত রাম রহিমের ইচ্ছেপূরণের জন্যই এদের জন্ম হয়েছে।

এদের কাজ ছিল, ডেরায় আসা নারী ও কিশোরীদের মধ্যে থেকে সুন্দরীদের বেছে নেওয়া। তারপর তাদের তুলে এনে ভণ্ড বাবার বিছানায় ফেলে দেওয়া।

যুবতী ও কিশোরীদের আর্তচিৎকারেও মন গলত না এই নারী দেহরক্ষীদের। ভাবলেশহীনভাবে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকত তারা। মাঝে-মধ্যে নাকি গুরুর ইচ্ছেমতো তার শয্যাসঙ্গীও হতো। 

গুরমিতের ডেরার এমন স্থানগুলোতেই তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। পাওয়া গেছে রাশি রাশি কনডম ও আপত্তিকর জিনিসপত্র। অবৈধভাবে চালানো হাসপাতালে বৈআইনি গর্ভপাত করানো হতো বলেও অনুমান গোয়েন্দাদের। গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত নাকি ভণ্ড বাবা এই কীর্তি চালিয়েছেন। 

 

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...