রাখাইনের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সংগৃহীত ছবি

খুলে দেয়া হচ্ছে রাখাইনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো

সন্ত্রাসী হামলার হুমকির মুখে স্থানীয় বিভিন্ন জাতির লোকজন এবং অনেক গ্রামবাসী সিতওয়ে, বুথিডং ও ইয়াথিডংয়ের মতো অন্য নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যায়।

সজিব ঘোষ
সহ-সম্পাদক, নিউজ এন্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১১:২৬ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ২২:০০
প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১১:২৬ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ২২:০০


রাখাইনের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সংগৃহীত ছবি

(বাসস) মিয়ানমারের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার আবারো খুলে দেয়া হচ্ছে। সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে গত আগস্ট মাস থেকে এ রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়।

১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার এ খবর জানায়। 

মাউংতাও শিক্ষা বিভাগের বরাত দিয়ে ওই সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়, আশা করা হচ্ছে মাউংতাওয়ের বিভিন্ন গ্রামের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও একই পন্থা অবলম্বন করবে। সন্ত্রাসী হামলার হুমকির মুখে স্থানীয় বিভিন্ন জাতির লোকজন এবং অনেক গ্রামবাসী সিতওয়ে, বুথিডং ও ইয়াথিডংয়ের মতো অন্য নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যায়।

খবরে বলা হয়, এ অঞ্চলে উগ্রবাদী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যকার সংঘর্ষ প্রশমিত হওয়ায় অভ্যন্তরীণভাবে গৃহহীন হয়ে পড়া মোট চার হাজার ২২০ জন তাদের গ্রামে ফিরে এসেছে।

নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতায় তারা তাদের ঘরবাড়িতে ফিরে আসে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ অঞ্চলে আবারো শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইনে বেশ কিছু পুলিশ পোস্টে হামলার প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের নিরাপত্তাবাহিনী নজিরবিহীন নৃশংস অভিযান পরিচালনা করে। খুন, কুপিয়ে-পুড়িয়ে হত্যা, ধর্ষণসহ নানাভাবে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন অব্যাহত রাখে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। এতে নিহত হয় প্রায় তিন হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা। জীবন বাজি রেখে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা। ফলে জনশূন্য হয়ে গেছে রাখাইন রাজ্যের প্রায় ১৭৬ টি গ্রাম। 

এদিকে যুক্তরাজ্য ও সুইডেনের অনুরোধে রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠকে বসে। বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি দেশ রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে মিয়ানমারকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আহ্বান জানায়।

এর আগে এ সংকট নিরসনে ড. মোহাম্মদ ইউনূসসহ ১২ জন নোবেল বিজয়ী ও বিশ্বের ১৮ জন বিশিষ্ট নাগরিক একটি খোলা চিঠি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে পাঠিয়েছিলেন।

প্রিয় সংবাদ/সজিব 

 

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...