২৬ বলে চারটি চার ও তিন ছয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন জাকির হোসেন। ছবি: প্রিয়.কম

জাকিরের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরিতে রাজশাহীর দ্বিতীয় জয়

মুমিনুল হক ফিরে গেলেও রাজশাহী কিংসের রানের চাকা সচল রাখেন জাকির হাসান। তাকে সঙ্গ দেন উইকেটরক্ষক ব্যাটম্যান মুশকিফুর রহিম।

মুশাহিদ মিশু
Writer
প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:৪৯ আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ১৪:৪৮
প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:৪৯ আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ১৪:৪৮


২৬ বলে চারটি চার ও তিন ছয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন জাকির হোসেন। ছবি: প্রিয়.কম

(প্রিয়.কম) ১৮তম ওভারের তৃতীয় বল। তাইজুল ইসলামের করা গুড লেন্থ ডেলিভারিটাকে সুইপ করে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন রাজশাহী কিংসের জাকির হাসান। একই সঙ্গে নিশ্চিত করলেন দলের জয়। জাকির হাসানের হাফ সেঞ্চুরি ও মুমিনুল হকের করা ৪২ রানের সুবাদে সিলেট সিক্সার্সকে সাত উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে রাজশাহী। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পঞ্চম আসরে এটা রাজশাহীর দ্বিতীয় জয়।

শুক্রবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে সাব্বির রহমান এবং টিম ব্রেসনানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ছয় উইকেটে ১৪৬ রানের সংগ্রহ পায় সিলেট সিক্সার্স। জবাবে ১৫ বল ও সাত উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজশাহী। এদিন সিলেটের দেওয়া ১৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রনি তালুকদারকে সঙ্গে নিয়ে রাজশাহীর ইনিংসের গোড়াপত্তন করেন মুমিনুল হক।

উদ্বোধনী জুটিতেই দলকে শুভসূচনা এনে দেন তারা। তাদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৬৫ রান। রনি তালুকদার ২৪ রানে ফিরে গেলে মাত্র এক রানের ব্যবধানে ফিরে যান সামিত প্যাটেল। কিন্তু উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট চালিয়ে যান মুমিনুল। তৃতীয় উইকেটে জাকির হাসানকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৩১ রানের জুটি। মুমিনুলকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন আবুল হাসান রাজু। আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে পাঁচ চার ও এক ছয়ে ৪২ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে।

মুমিনুল হক ফিরে গেলেও রানের চাকা সচল রাখেন জাকির হাসান। তাকে সঙ্গ দেন উইকেটরক্ষক ব্যাটম্যান মুশকিফুর রহিম। চতুর্থ উইকেটে ৫৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। এই জুটি গড়ার পথেই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান জাকির। ২৬ বলে চারটি চার ও তিন ছয়ে দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে বিপিএলের এবারের আসরে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এছাড়া ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান সিলেট সিক্সার্সের ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার। স্কোরকার্ডে ১৮ রান যোগ করতেই ফিরে যান আরেক ওপেনার উপুল থারাঙ্গা। ২৩ রানের ব্যবধানে কেসরিক উইলিয়ামসের বলে মেহেদী হাসান মিরাজের তালুবন্দী হন নুরুল হাসান সোহান। এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক নাসির হোসেন। কিন্তু সুবিধা করতে পারেননি! মাত্র নয় রানে সামিত প্যাটেলের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

টপ অর্ডারের ব্যর্থতা ছাপিয়ে লড়াই করেন দানুশকা গুনাথিলাকা। চার চার ও দুই ছয়ে ৩৭ বলে ৪০ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। আগের পাঁচ ম্যাচে নিষ্প্রভ থাকলেও এদিন হাত খুলে খেলেছেন সাব্বির রহমান। টিম ব্রেসনানকে সাথে নিয়ে ৭১ রানে পাঁচ উইকেট হারানো সিলেটকে পথ দেখান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ২৬ বলে চার ছয় ও এক চারে ৪১ রান করেন তিনি। জাকির হাসানের ক্যাচে পরিণত করে তাকে সাজঘরে পাঠান কেসরিক উইলিয়ামস। সাব্বিরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ১৭ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ইংলিশ অলরাউন্ডার টিম ব্রেসনান। ষষ্ঠ উইকেটে এই দু'জন মিলে গড়েন ৬৯ রানের জুটি।

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...