প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে ত্রুটির ঘটনায় অভিযুক্তরা। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি: জামিন পেলেন সব আসামি

সোমবার ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আসামিদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম সুব্রত ঘোষ শুনানি শেষে প্রধান প্রকৌশলী দেবেশ চৌধুরীসহ দশ জনের জামিন মঞ্জুর করেন।

শেখ নোমান
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:৪৭ আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০১৮, ২০:৪৮
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:৪৭ আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০১৮, ২০:৪৮


প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে ত্রুটির ঘটনায় অভিযুক্তরা। ছবি: সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অভিযুক্ত ১০ কর্মী। মামলার আরেক আসামি ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল হাইকোর্ট থেকে আগেই জামিন পেয়েছেন। এতে এ মামলায় জামিন পেলেন সব আসামি।   

১১ ডিসেম্বর সোমবার ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আসামিদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম সুব্রত ঘোষ শুনানি শেষে প্রধান প্রকৌশলী দেবেশ চৌধুরীসহ দশ জনের জামিন মঞ্জুর করেন। 

বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দেবেশের আইনজীবী পরিমল কুমার বিশ্বাস এবং তার সহযোগী কিশোর কুমার বসু। 

জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এসএ সিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা এসএম রোকনুজ্জামান, সামিউল হক, লুৎফর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, প্রকৌশলী জাকির হোসাইন, টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল ও জুনিয়ার টেকনিশিয়ান শাহ আলম।

এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে জমা দেন।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর সফরে নিয়োজিত উড়োজাহাজটির অয়েল প্রেসার সেন্সর পরিবর্তনের কাজটি করেন সিদ্দিকুর রহমান এবং সহযোগিতা করেন মেকানিক শাহ আলম। ওই সময় প্রকৌশলী নাজমুল হক পরীক্ষার জন্য তিনবার ভেতরে প্রবেশ করেন। তবে তিনি তদন্ত কমিটির কাছে একবার ভেতরে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন। ফলে নাজমুল হকের আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। তবে তদন্ত ও সাক্ষ্য প্রমাণ এবং ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় তদন্ত কমিটিগুলোর প্রতিবেদনের আলোকে মামলার ঘটনায় নাশকতা, আত্মঘাতী ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের কোনো উপাদান পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৭৭ বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। সেসময় তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাদে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। পরে অন্য একটি বিমানে চড়ে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে পৌঁছান। 

এই ঘটনায় ২০ ডিসেম্বর রাতে বিমানবন্দর থানায় নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যাটারিয়াল ম্যানেজমেন্ট) উইং কমান্ডার (অব.) এমএম আসাদুজ্জামান। এর আগে এই ৯ জনকে বিমানের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর নতুন করে আরও দুজনকে আসামি হিসেবে যুক্ত করা হয়।

গত বছরের ২১ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সাত জনকে এবং পরে আরও চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বিমানের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ( প্রোডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত চিফ ইঞ্জিনিয়ার (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) এস এ সিদ্দিক, প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (এমসিসি) বিল্লাল হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার অফিসার লুৎফর রহমান, সামিউল হক, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস ও জাকির হোসাইন, প্রকৌশল কর্মকর্তা এসএম রোকনুজ্জামান, টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল ও জুনিয়ার টেকনিশিয়ান শাহ আলম। মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত 

 

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...