দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। ফাইল ছবি

ত্রাণ নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে দেয়া হবে না: মায়া

‘চার লাখ ২০ হাজার লোক ধরে প্রথমে ৮৪ হাজার শেড নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে ৭০ হাজারের অধিক শেড নির্মাণ করা হয়েছে।’

সজিব ঘোষ
সহ-সম্পাদক, নিউজ এন্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
প্রকাশিত: ০৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৬:৫৮ আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০১৮, ২০:৪৮
প্রকাশিত: ০৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৬:৫৮ আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০১৮, ২০:৪৮


দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। ফাইল ছবি

(প্রিয়.কম) রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণ ও সংগ্রহের নামে কোন গোষ্ঠীকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেন, ‘সরকার বিষয়টিকে সম্পূর্ণ মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে। সবাইকে সেই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়াতে হবে।’

৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ‘বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের’ সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী এ সময় বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারেরর রোহিঙ্গা নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে সাময়িকভাবে রাখা হচ্ছে। কুতুপালং ক্যাম্পকে ২০টি ব্লকে ভাগ করা হবে। প্রত্যেক ব্লকের জন্য একটি প্রশাসনিক ও পরিসেবা ইউনিট ও একটি গোডাউন স্থাপন করা হবে। ফলে সকল ধরনের সেবা প্রদান সহজতর হবে।’

ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘চার লাখ ২০ হাজার লোক ধরে প্রথমে ৮৪ হাজার শেড নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে ৭০ হাজারের অধিক শেড নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মোট এক লাখ ৫০ হাজার সেড নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যা দেশি বিদেশি এনজিওদের সহায়তায় দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করা হবে। সেডগুলো সাময়িক সময়ের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে।’

ক্যাম্পের ভিতর আইন শৃংখলা রক্ষায় নতুন পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হবে এবং পর্যাপ্ত আনসার সদস্য মোতায়েন রাখা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

খাদ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ছয় লাখ লোকের খাদ্যের সংস্থান করবে। এর বাইরে বাকী লোকদের প্রাথমিকভাবে দেশি বিদেশি সংস্থা থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ থেকে তাদের খাদ্য সরবরাহ করা হবে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা তাদের নতুন বাজেটে বাকী লোকদের অন্তর্ভুক্ত করবে।’

চিকিৎসা সেবা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে সরকারীভাবে ক্যাম্পে ৩৬টি কমিউনিটি হাসপাতাল ইউনিট করা হয়েছে। সেখান থেকে প্রায় পাঁচ হাজার গর্ভবতী মহিলাকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয়েছে। ৭০ হাজার লোককে বিভিন্ন ধরনের টিকা দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন দেশি বিদেশি এনজিও-ও সেখানে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।’

এসময় অন্যান্যের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ্ কামাল, কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের পরিচালক সৈয়দ এমএ হাশেম উপস্থিত ছিলেন।

প্রিয় সংবাদ/সজিব

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...