ওআইসির জরুরি সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত

জেরুজালেম ইস্যুতে ওআইসি নীরব দর্শক হতে পারে না: রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকারের লড়াইয়ে তাদের পেছনে ইস্পাত কঠিন মনোভাব নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা তাদের প্রয়োজনীয় সমর্থন ও শক্তি জোগাব। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের এই জোরালো বার্তা পৌঁছে দেবে এবারের সম্মেলন।’

শেখ নোমান
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ২১:৪৭ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ০৮:০০
প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ২১:৪৭ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ০৮:০০


ওআইসির জরুরি সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘জেরুজালেম ইস্যুতে আমেরিকার বৈরী পদক্ষেপে ওআইসি নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারে না। আমাদের অবশ্যই আল কুদস (জেরুজালেম) বিষয়ে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে নিবিষ্টভাবে এগিয়ে যেতে হবে।’

১৩ ডিসেম্বর বুধবার তুরস্কের ইস্তানবুলে মুসলিম দেশগুলোর বৃহত্তম সংগঠন ওআইসির জরুরি সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। খবর বাসসের। 

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতির প্রেক্ষাপটে সমন্বিত জবাবের সিদ্ধান্ত নিতে আয়োজন করা হয়েছে অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) ষষ্ঠ বিশেষ সম্মেলন। 

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকারের লড়াইয়ে তাদের পেছনে ইস্পাত কঠিন মনোভাব নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা তাদের প্রয়োজনীয় সমর্থন ও শক্তি জোগাব। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের এই জোরালো বার্তা পৌঁছে দেবে এবারের সম্মেলন।’

মো. আবদুল হামিদ জানান, জেরুজালেমকে ইসরায়েলের কথিত রাজধানী হিসেবে ঘোষণার বিপক্ষে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ও এর জনগণ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিলের আহ্বান জানিয়ে মুসলিম উম্মাহর সঙ্গে শামিল হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ন্যায় ও সুবিচারের প্রহসনের সম্মুখীন ফিলিস্তিনিদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সত্যিকারের গঠনমূলক ও আশাব্যঞ্জক ভূমিকা আশা করেন তিনি।’

এর মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে বাংলাদেশ নিজের অটল অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে বলে জানান তিনি। মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবন ও এই সংকট সমাধানে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের আওতায় একটি গঠনমূলক ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

আবদুল হামিদ মনে করেন, জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করায় আরব-ইসরাইল শান্তি প্রক্রিয়ার সৎ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মার্কিন প্রশাসনের বিশ্বাসযোগ্যতা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তিনি বলেন, ‘মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর প্রক্রিয়া মুসলিম অনুভূতিকে আহত করেছে। এতে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার জন্যও বিরাট হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সিদ্ধান্ত।’

গত ৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দেন। এ ঘটনায় ব্যাপক প্রতিবাদ জানায় মধ্যপ্রাচ্য ও মুসলিম বিশ্ব। এর এক সপ্তাহ পর ইস্তাম্বুল কংগ্রেস অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে ওআইসির এই বিশেষ সম্মেলনে যোগ দেন অর্ধশতরও বেশি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান ও মন্ত্রীরা।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত   

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...