আদালত চত্বরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: ফোকাস বাংলা

অসত্য মামলায় মোটেও ভীত নই: খালেদা জিয়া

খালেদা বলেন, ‘আমি রাজনীতিতে সক্রিয় বলে আমাকে ক্ষমতাসীনরা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করে। অথচ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলাগুলো তুলে নেওয়া হয়। অসত্য, ভিত্তিহীন অভিযোগ ও অপপ্রচার চালিয়ে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে ব্যর্থ হয়ে এ সব মামলার আশ্রয় নিয়েছে সরকার।’

হাসান আদিল
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:০৮ আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ০৩:৩২
প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:০৮ আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ০৩:৩২


আদালত চত্বরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: ফোকাস বাংলা

(প্রিয়.কম) অসত্য মামলায় আমরা মোটেও ভীত নই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে তিনি এ কথা বলেন। 

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে বক্তব্য প্রদান করেন বেগম খালেদা জিয়া। ২৩ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে করা দুদকের জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলারও শুনানি একই দিনে ধার্য করা হয়েছে।

আদালতকে উদ্দেশ্য করে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যতই মামলা দিয়ে জর্জরিত করা হচ্ছে, তত বেশি মানুষের সহানুভূতি ও সমর্থন পাচ্ছি। জনগণ আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে। মাননীয় আদালত, এ কারণে এ সব অসত্য মামলায় আমরা মোটেও ভীত নই।’

বিএনপি চেয়ারপারসন সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘আমি রাজনীতিতে সক্রিয় বলে আমাকে ক্ষমতাসীনরা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করে। অথচ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলাগুলো তুলে নেওয়া হয়। অসত্য, ভিত্তিহীন অভিযোগ ও অপপ্রচার চালিয়ে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে ব্যর্থ হয়ে এ সব মামলার আশ্রয় নিয়েছে সরকার।’

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে ক্ষমতাসীনরা তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ৩৬টি মামলা করেছে বলে আদালতকে জানান খালেদা জিয়া। 

দেশের মানুষ সচেতন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাকে হেনস্তা করার ও জনগণের সামনে হেয় করার চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি; হবেও না ইনশাআল্লাহ। বরং এসব করে তারাই জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কারণ এ দেশের মানুষ অনেক সচেতন এবং তারা সত্য ও মিথ্যার ফারাক সহজে বুঝতে পারে।’

প্রসঙ্গত, গত ১২ অক্টোবর আদালতে হাজির না হওয়ায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। পরবর্তীতে লন্ডন থেকে ফিরে আদালতে হাজির হয়ে গত ১৯ অক্টোবর মামলা দুটির জন্য দুই লাখ টাকা মুচলেকায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পান তিনি।

উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় ও ২০০৮ সালের ৩ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত  

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...