বগুড়ার সারিয়াকান্দি ডিগ্রী কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী। ছবি: শেখ হাসিনা

খাদ্যের অভাবে কেউ কষ্ট পাবে না: প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা বলেন, যে সমস্ত এলাকায় ধান ছাড়াও অন্যান্য ফসল হতে পারে সেগুলোর জন্য সাহায্য দেয়ার আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছি।

জানিবুল হক হিরা
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০১৭, ২২:৪৭ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ০৪:৩২
প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০১৭, ২২:৪৭ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ০৪:৩২


বগুড়ার সারিয়াকান্দি ডিগ্রী কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী। ছবি: শেখ হাসিনা

(বাসস) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তার সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুর্নব্যক্ত করে বলেছেন, কেউ খাদ্যের অভাবে কষ্ট পাবে না।

তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি কেউ খাদ্যের অভাবে কষ্ট পাবে না। আমরা চাই দেশের মানুষ যাতে কোনোভাবেই কষ্ট না পাক, সে ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি’।

২৬ আগস্ট শনিবার বিকেলে বগুড়ার সারিয়াকান্দি ডিগ্রী কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ধানের বীজ বিতরণকালে এ সব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আওয়ামী লীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যে সমস্ত এলাকায় ধান ছাড়াও অন্যান্য ফসল হতে পারে সেগুলোর জন্য সাহায্য দেয়ার আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেমন, গম, সরিষা ও ডাল সহ রবি শষ্যের আবাদ যেন আপনারা করতে পারেন তার ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি।

’৯৮ সালে দেশের বন্যার প্রসংগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন থেকেই আমরা বর্গাচাষিদের কৃষিব্যাংকের মাধ্যমে বিনা জমানতে কৃষিঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করি। কাজেই এই কৃষিঋণ বিতরণ আমাদের অব্যাহত থাকবে এবং যেসব এলাকায় বন্যায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের কৃষিঋণের সুদ যাতে না নেয়া হয় এবং বিনা জামানতে যেন আবারও প্রয়োজনে কৃষিঋণ নিতে পারেন সেই ব্যবস্থাও আমরা করার নির্দেশ দিয়েছি। তা ছাড়া আমরা ইতোমধ্যে ১২ জেলার ৭৭৮০ জন কৃষকের প্রত্যেককে এক বিঘা করে জমির ধানের চারা বিতরণের কার্যক্রম ২৪ আগস্ট থেকে শুরু করে দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ৩৭টি হর্টিকালচার সেন্টার এবং ১৬টি এটিআইতে বিএডিসির ১১টি খামারে আমন ধানের চারা চাষ করা হয়েছে। এ বছর ১ হাজার বেডের ভাসমান বীজতলাও তৈরি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তার সরকার সারাদেশে মাসকলাই, গম, ভুট্টা, সরিষা, চীনাবাদাম খেসারি, বেগুন , মুগ ও তিল উৎপাদন বৃদ্ধি যাতে হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকদের জন্য প্রণোদনা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।

৫১ কোটি ৭৭ লাখ ১৯ হাজার ৩১৫ কোটি টাকার প্রণোদনা কৃষকদের মাঝে প্রদান করা হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যাতে করে এই ফসল তারা লাগাতে পারেন। ৫ লাখ ৪১ হাজার ২০১ জন কৃষক এই সহায়তা পাচ্ছেন। তাছাড়া প্রায় ১ কোটি কৃষক ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ পেয়েছেন। ভতুর্কির টাকা যেন সরাসরি কৃষকদের হাতে পৌঁছতে পারে সেজন্য।

তিনি বলেন, একজন কৃষক যদি একবিঘা জমির জন্য (ক্ষেত্রভেদে) সর্বনিম্ন ১ কেজি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ কেজি ডিএপি সার এবং সর্বনিন্ম ৫ কেজি থেকে সর্বোচ্চ ১৫ কেজি এমওপি সার পাবেন- সে ব্যবস্থাও আমরা করে দেব।

যাতে সহজভাবে কৃষকরা চাষাবাস করতে পারেন সেজন্যই সরকারের এই উদ্যোগের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক ১ বিঘা জমির জন্য ২০ কেজি গমবীজ অথবা ২ কেজি ভুট্টা বীজ অথবা ১ কেজি সরিষার বীজ অথবা ১ কেজি চীনাবাদাম বীজ অথবা ৫ কেজি মুগ বীজ অথবা ৮ কেজি খেসারি বীজ অথবা ৮ কেজি মাসকলাই বীজ অথবা ৭ কেজি হেলন বীজ অথবা ১ কেজি তীল বীজ অথবা ১০গ্রাম ভিটি বেগুনোর বীজ বিনামূল্যে পাবেন-সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন আবাদি জমি খালি পড়ে থাকবে না। সবটা যাতে চাষবাস হয় সেব্যবস্থাও তার সরকার নেবে এবং ভিজিডি-ভিজিএফ’র মাধ্যমেও তার সরকার এই সময়ে খাদ্য বিতরণ অব্যাহত রাখবে।

দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই তার সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন, আর নদীর ভাঙন থেকে সমগ্র বাংলাদেশকে রক্ষার বিভিন্ন প্রকল্প তার সরকার হাতে নিয়েছে।

তিনি বলেন, এসব এলাকার জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নদী ভাঙন রোধে তিনটি প্রকল্প আমরা হাতে নিয়েছি। তাছাড়া সড়ক ও জনপদ বিভাগে বগুড়া-সারিয়াকান্দি রাস্তা যাতে সম্প্রসারণ হতে পারে সে ববস্থাও তার সরকার করবে।

সরকার প্রধান বলেন, সোনাতলায় যে ব্রিজের কথা বলা হয়েছে সেই গার্ডার ব্রিজসহ সমস্ত ব্রিজগুলি নতুনভাবে করে দেয়ার পদক্ষেপ নেবে তার সরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করতে চাই এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন হলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। মানুষের কর্মসংস্থান হয়। কাজেই আপনাদের কাছে আমার আহবান থাকবে আপনারাও আমাদের সহযোগিতা করেন।

বিগত নির্বাচনে নৌকাকে ভোট দেয়ায় তিনি স্থানীয় জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘২০০৮ এবং ২০১৪’র নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা আমাদের প্রার্থীকে জয়যুক্ত করেছেন। সেজন্য আমি আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানাই।’

বাংলাদেশকে নদীমাতৃক দেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যা মাঝে মাঝে আসবে। তাই নৌকা ছাড়া আসলে গতি নাই বাঙালির। নৌকা আমাদের সময় সময় কাজে লাগবেই। এটা হলো বাস্তবতা। আর এই নৌকা মার্কা যখন ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়।

প্রধানমন্ত্রী তার জীবনে আর চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে বলেন, আমি আপনাদের এইটুকুই বলতে চাই- বাবা, মা, ভাই- সব হারিয়েছি। আমারতো আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই।

বঙ্গবন্ধু তার সারাটা জীবন দেশের মানুষের সেবায় জীবন উৎসর্গ করে গেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি জেল, জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেছেন বাংলার দুঃখী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে গিয়ে তিনি তার জীবন দিয়ে গেছেন। জীবন দিয়ে গেছেন আমার মা, আমার ভাইয়েরা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, ঘরবাড়ি ও উন্নত জীবন পাবে- সেই লক্ষ্যই জাতির পিতার ছিল। আর সেই লক্ষ্য ইনশাল্লাহ পূরণ করে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে বাংলাদেশকে ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী আমরা উদযাপন করতে চাই। যেখানে কোন দরিদ্র থাকবে না। মানুষরা প্রত্যেকে উন্নত জীবনের অধিকারী হবে।

সরকার প্রধান দেশবাসীসহ বন্যা দুর্গতদের প্রতি দেশের প্রতি ইঞ্চি ভূখণ্ড উৎপাদনের কাজে ব্যয় করার আহবান জানিয়ে বলেন, ১ ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। কারণ ভিক্ষা চাইলে ভিক্ষুক জাতির কোনো ইজ্জত থাকে না তা জাতির পিতাই বলে গেছেন।

বিএনপি সবসময় চাইতো এই বাংলাদেশের মানুষকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৯৮ সালে বন্যার পর বাংলাদেশকে যখন আমরা খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করি তখন ঐ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এবং তাদের অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান ঐ সংসদে দাঁড়িযে বলতেন-খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো নয়, কেননা এতে করে বিদেশ থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ ভিক্ষা পাওয়া যাবেনা’

শেখ হাসিনা তখন সংসদে বলেছিলেন, আমরা ভিক্ষুকের জাতি হতে চাইনা। কিন্তু আপনারা যদি ভিক্ষুকের সর্দার হতে চান তবে, তাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা বাংলাদেশকে ভিক্ষুক, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো ।

আমাদের মাটি আছে, মানুষ আছে খাদ্য উৎপাদনের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো এবং সন্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে চলবো। এটাই আমাদের লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী এ সময় দ্ব্যার্থহীন কন্ঠে ঘোষণা করেন- বাংলাদেশ আজকে বিশ্বে সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলতে পারে, বাংলাদেশকে আজকে সকলে উন্নয়নের রোল মডেল বলে, অন্তত এইটুকু সন্মান আওয়ামী লীগ আপনাদের জন্য এনে দিয়েছে। এতে আপনারাই সহযোগিতা করেছেন। আপনারা নৌকায় ভোট দিয়েছেন তাই আপনাদের জীবনমান যেন উন্নত হয় সেই ব্যবস্থা আমরা করতে সক্ষম হয়েছি। আপনাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি।

প্রত্যন্ত অঞ্চলেও যাতে ত্রাণ সামগ্রি পৌঁছায় তার সরকার সেজন্য ইতোমধ্যেই অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি অঞ্চলেই খাদ্য পৌঁছে যাবে। ওষুধ পৌঁছে যাবে। চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে, একটি মানুষ যাতে কষ্ট না পায় আপনারাও সেটা লক্ষ্য রাখবেন। আমাদের সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আমি বলব এ বিষয়টি লক্ষ্য রাখার জন্য।

প্রধানমন্ত্রী ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের প্রসংগ উল্লেখ করে বলেন, আমার অবাক লাগে একটা রাজনৈতিক দলের নেতা কীভাবে মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুঃখের কথা কি বলব জাতির পিতা, বেগম মুজিব, ছোট্ট রাসেলসহ আমার পরিবারের সদস্যদের যারা হত্যা করেছে সেই খুনিদের বিচার না করে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স (বিচার করা যাবে না) জারি করে এই জিয়াউর রহমান সেই খুনিদের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চাকুরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল।

তিনি বলেন, একদিকে যেমন তাদের বিদেশ থেকে দেশে ফিরতে দেয়নি অন্যদিকে খুনিদের পুরস্কৃত করেছে।

তিনি বলেন, যারা খুনিদের পুরস্কৃত করে তাদের বিচারের হাত থেকে রেহাই দিয়ে চাকুরি দিয়ে পুরস্কৃত করে তাদের কাছ থেকে দেশের মানুষ কী আশা করতে পারে। তারাতো মানুষ খুন করা ছাড়া, পুড়িয়ে মানুষ মারা ছাড়া আর কিছু জানে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসলে জনগণ ভালো থাকে। আওয়ামী লীগ সরকারের আসলে এদেশের মানুষ দু’বেলা পেটভরে ভাত পায়। আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে বিনা পয়সায় বই পায়। রোগে চিকিৎসা পায়, মানুষের কর্মসংস্থান হয়। দারিদ্র হ্রাস পায়।

তিনি বলেন, আমরা দেশের সেবা করি, মানুষের সেবা করি। তাইতো আজকে ছুটে এসেছি- আপনাদের মাঝে, আপনাদের স্বচক্ষে দেখতে। আমি জানি সারা বাংলাদেশের যেখানে যেখানে বন্যা সেখানে মানুষ কত কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে এইটুকু কথা দিতে পারি এই বন্যায় কাউকে আমরা কষ্ট পেতে দেব না। আপনাদের যাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে তাদের প্রত্যেককে আমরা ঘরবাড়ি তৈরি করে দেব। আমরা টিন দেব, নগদ টাকা আমরা ইতোমধ্যে দেয়া শুরু করেছি, আরও দেব।

সরকার প্রধান বলেন, নদীতে যাদের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে যারা নিঃস্ব, ভূমিহীন হয়ে গেছেন তাদের প্রত্যেককে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে জমি দেব। যেসব স্কুল কলেজ ধ্বংস হয়েছে সেগুলো আমরা মেরামত এবং তৈরি করে দেব।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক হাজার জনের মধে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাঁওতাল পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী সারিয়াকান্দি ডিগ্রী কলেজে জেলা এবং উপজেলা পরিষদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। বিকেলেই তিনি রাজধানীতে ফিরে আসেন।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত 

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...