বেশিরভাগ পুরুষই নারীর শরীরটাকে নিষিদ্ধ, রহস্যময় একটা বিষয় ভাবে। ছবি: নূর

নারীদেহের স্পর্শকাতর অঙ্গের ব্যাপারে কতটুকু জানেন পুরুষেরা?

৫০ শতাংশ পুরুষই নারীদেহের একটি বিশেষ অঙ্গ চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়!

কে এন দেয়া
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০০:০৮ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ০৫:০০
প্রকাশিত: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০০:০৮ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ০৫:০০


বেশিরভাগ পুরুষই নারীর শরীরটাকে নিষিদ্ধ, রহস্যময় একটা বিষয় ভাবে। ছবি: নূর

(প্রিয়.কম) নারীদেহের ব্যাপারে হয়তো অনেকেই অনেক কিছু জানেন। কিন্তু আপনাকে যদি একটি ডায়াগ্রাম দেখানো হয়, তাহলে কী নারীর শরীরের বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত করতে পারবেন আপনি? ইভ অ্যাপিল নামের একটি ক্যান্সার রিসার্চ চ্যারিটির জরিপ থেকে দেখা যায়, ৫০ শতাংশ পুরুষই ডায়াগ্রামে নারীর যোনি চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়। এক হাজার পুরুষের ওপর করা হয় এই গবেষণাটি। 

এই জরিপে খুবই দুশ্চিন্তার একটি বিষয় দেখা যায়। নারীস্বাস্থ্যের ব্যাপারে বেশিরভাগ পুরুষই কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করেন। জরিপে অংশ নেওয়া পুরুষদের মাঝে ২৪ শতাংশ স্বীকার করেন যে এ বিষয়ে কথা বলাটা তাদের জন্য অস্বস্তিকর। কিন্তু কেন? ২১ শতাংশ পুরুষ বলেন, এ ব্যাপারে কথা বলতে লজ্জা করে তাদের। 

নারীর অন্যান্য ক্যান্সার যেমন ব্রেস্ট ক্যান্সারের ব্যাপারে সারা পৃথিবীতেই কথা হচ্ছে এখন, ছড়াচ্ছে সচেতনতা। কিন্তু গাইনোকলজিকাল ক্যান্সারগুলোর ব্যাপারে এখনো মানুষ মুখ খুলতে সংকোচ বোধ করেন। নারীর শরীরের ব্যাপারে কথা বলতে মানুষের যে দ্বিধা, সেটা এর পেছনে দায়ী। যৌনশিক্ষার অভাবটাও এক্ষেত্রে কিছু ভূমিকা পালন করে। 

শুধু যে পুরুষরা এ ব্যাপারে অজ্ঞ তা কিন্তু নয়। গত বছর ইভ অ্যাপিলের জরিপ থেকে দেখা যায় ৪৪ শতাংশ নারীকেও প্রজননতন্ত্রের একটি ডায়াগ্রাম দেখানো হলে তারা যোনি কোনটি তা শনাক্ত করতে ব্যর্থ হন। আর ৬০ শতাংশ বলতে পারেন না ‘ভালভা’ কোন অংশটি। 

গাইনোকলজিকাল ক্যান্সার পাঁচ ধরণের হয়। এর মাঝে আছে ওভারিয়ান, সার্ভাইকাল, ভালভা, ভ্যাজাইনাল এবং গর্ভের ক্যান্সার। প্রতি বছর সাত হাজারের মতো নারী মারা যায় এসব ক্যান্সারে। ইংল্যান্ডে নারীর ক্যান্সারের চতুর্থ স্থানে আছে এই ৫টি ক্যান্সার। আর আমেরিকায় আছে অষ্টম স্থানে।

ইভ অ্যাপিলের মতে, নারীর এসব ক্যান্সারের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সংকোচ দূর করার ক্ষেত্রে পুরুষেরও অংশগ্রহণ করা উচিৎ। এসব ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে ত্বকে পরিবর্তন, অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ, যৌনক্রিয়ার সময়ে ব্যথা অথবা অস্বাভাবিক দুর্গন্ধ। 

“বেশিরভাগ পুরুষই নারীর শরীরটাকে নিষিদ্ধ, রহস্যময় একটা বিষয় ভাবে,” বলেন ইভ অ্যাপিলের চিফ এক্সিকিউটিভ এথিনা ল্যামনিসোস। “আমরা জানি যে এসব ক্যান্সারের লক্ষণ চিহ্নিত করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারেন পুরুষরা, তাদের সঙ্গিনীকে ডাক্তারের কাছে যেতে উৎসাহিত করতে পারেন। লক্ষণ শনাক্ত করা গেলেই তা জীবন বাঁচাতে পারে।“ বলেন তিনি। “এর সাথে যৌনতার কোনো সম্পর্ক নেই। এর মূল ব্যাপারটা হলো নারীকে সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা। নারী দেহের ব্যাপারে সচেতনতা এবং কুসংস্কার ভাঙ্গার দায়িত্ব নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আমাদের সবার।“

সূত্র: IFLScience

 

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...