গুরমিত রাম রহিম সিং। সংগৃহীত ছবি

রাম রহিমের ডেরায় ৬০০ কঙ্কাল মাটিচাপা, উপরে লাগানো হয়েছে গাছ!

রাম রহিমের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ পি আর নাইন তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, এক জার্মান বিজ্ঞানীর পরামর্শে ওই কঙ্কালগুলোর উপর গাছের চারা রোপণ করা হয়। এসব দাবির পক্ষে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণও তারা হাজির করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

জাহিদুল ইসলাম জন
জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক, নিউজ এন্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:০১ আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০১৮, ০৮:১৬
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:০১ আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০১৮, ০৮:১৬


গুরমিত রাম রহিম সিং। সংগৃহীত ছবি

(প্রিয়.কম) নারী ধর্ষণের দায়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে থাকা ভারতের বিতকির্ত ধর্মগুরু রাম রহিমের আরও অন্ধকার অধ্যায় প্রতিদিনই উন্মোচিত হচ্ছে। এবারে তার ডেরার উচ্চ পদস্থ দুই কর্মকর্তা তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, সেখানে মাটি চাপা অবস্থায় রয়েছে প্রায় ৬০০ কঙ্কাল রয়েছে। আর তা গোপন করতে উপরে লাগানো হছে গাছের চারা।
২০ সেপ্টেম্বর বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে দিয়েছে এই খবর। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ডেরার ব্যবস্থাপক বিপাসনা ও সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট পি আর নাইনকে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পেয়েছেন বিশেষ তদন্ত দল এসআইটি।
রাম রহিমের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ পি আর নাইন তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, এক জার্মান বিজ্ঞানীর পরামর্শে ওই কঙ্কালগুলোর উপর গাছের চারা রোপণ করা হয়। এসব দাবির পক্ষে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণও তারা হাজির করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
এদিকে ডেরার আরেক সাবেক নারী ভক্ত অভিযোগ করেন, ডেরায় পাঠানোর পর ১২ বছর ধরে তার সন্তানকে খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। পানিপথের বাসিন্দা ওই নারীর দাবি, ডেরার সেবার জন্য সন্তান পাঠাতে পত্রিকায় রাম রহিম বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর দুই মাস বয়সী সন্তানকে তিনি ডেরায় রেখে আসেন। তারপর আর কোনো খোঁজ পাননি তিনি।
দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের দায়ে বিশেষ আদালতে বিচারের পর ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে রোহটক কারাগারে রয়েছেন রাম রহিম। রায় ঘোষণার পর হরিয়ানা জুড়ে তার সমর্থকদের বিক্ষোভে ও সহিংসতায় প্রাণ হারান কমপক্ষে ৩৮ জন। রাম রহিমের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ তদন্ত করতে হরিয়ানার সিরসায় তার ডেরায় নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত   

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...