(প্রিয়.কম) মুক্তির আগেই ঝামেলায় পড়লো বলিউড মুভি ‘হাসিনা পার্কার’। অভিযোগ উঠেছে তোলাবাজির টাকায় নির্মাণ হয়েছে চলচ্চিত্রটি। মুম্বাই পুলিশের বরাত থেকে জানা গেছে, মুম্বাই ব্রাঞ্চের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বদ্ধ ধারণা মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের বোন হাসিনা পার্কারকে মহিমান্বিত করতে অপরাধ জগতের অনেকেই এই সিনেমা নির্মাণে অর্থ লগ্নি করেছেন।
'হাসিনা পার্কার' সিনেমার দৃশ্যে শ্রদ্ধা কাপুর এবং দাউদের ইব্রাহিমের বোন হাসিনা পার্কার
এমন কী পুলিশের সন্দেহ খোদ দাউদের সংস্থাসহ, দাউদের ভাই ইকবাল কাসকরও এই সিনেমার পেছনে প্রচুর টাকা ঢেলেছেন। পুলিশের সন্দেহ শুরু হয় ছবিটির শিরোনাম দেখেই, দাউদের বোন হাসিনা কোনো সেলিব্রেটি কিংবা পাবলিক ফিগার নন যে তাকে নিয়ে কোনো পরিচালক সিনেমা বানাতে আগ্রহী হবেন, এমন কী এই ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণে কোনো প্রযোজকই বা কেন অর্থ লগ্নি করবেন এটা নিয়ে ভাবাচ্ছিল মুম্বাই পুলিশকে। পুলিশের তাই ধারণা নিজের কালো টাকা সাদা বানাতেই ‘ডি কোম্পানির’ হর্তাকর্তা দাউদ ইব্রাহিমের এমন কৌশল।
মুম্বাই পুলিশের এক সূত্র মতে, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত দাউদের ভাই ইকবাল কাসকর প্রায় ১০০ কোটি টাকা তোলা আদায় করে দাউদকে পাঠিয়েছে। দাউদের নির্দেশেই ইকবাল তোলা আদায় করতো বলে খবর আছে মুম্বাই পুলিশের কাছে। দু’দিন আগেই মুম্বাই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে ইকবাল কসকর। আর ইকবালকে গ্রেফতারের পর থেকেই ‘হাসিনা পার্কার’ সিনেমাটি নিয়ে তদন্তে নেমেছে মুম্বাই পুলিশের বিশেষ একটি ব্র্যাঞ্চ।
ইকবাল কাসকর
ছবিটি নির্মাণের সময় থেকেই আলোচনায় আসতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে এই ছবির সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা। ছবির ট্রেলার ইউটিউবে হিট করানোর জন্য টেলিমিডিয়ায় এবং ডিজিটাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। পুলিশের সন্দেহের আরেক কারণ। ছবির ট্রেলার লঞ্চের সময় পরিচালক নাহিদের প্রকাশ্যে না আসা। ট্রেলার লঞ্চের অনুষ্ঠানে নিজে উপস্থিত না থেকে নাহিদ তার স্ত্রীকে পাঠিয়েছিলেন। তবে নাহিদের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানাচ্ছে, ছবিটির সঙ্গে দাউদ আর তার ভাই ইকবাল কসকর এর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় ব্যাপক অস্বস্তিতে আছেন নাহিদ, অপরাধ জগতের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেন তার নিকটজনেরা।
প্রিয় বিনোদন/গোরা
পাঠকের মন্তব্য(০)
মন্তব্য করতে লগইন করুন