ছবি সংগৃহীত

প্রিয় গন্তব্য: লোহাগড় মঠ, চাঁদপুর

কম খরচে নদী ভ্রমণ আবার প্রাচীন জমিদারদের তৈরি মঠ দেখা একই সাথে গ্রাম্য পরিবেশ, ফেরাও যাবে দিনে দিনে- এমন ভ্রমণ চাঁদপুরেই সম্ভব।

আফসানা সুমী
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০১৭, ০৬:৫৩ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ১০:১৬
প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০১৭, ০৬:৫৩ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ১০:১৬


ছবি সংগৃহীত
লোহাগড় মঠ। ছবি- শেখ মাহদী
 
(প্রিয়.কম) মঠ, যা কিনা জমিদারদের প্রভাব-প্রতাপের নিদর্শন হিসেবে নির্মিত হয়েছিল! বলছি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের লোহাগড় মঠের কথা। গ্রামের নামটিও লোহাগড়। এই নামকরণ হয়েছিল জমিদারের দুই পূত্র ‘লোহ’ ও ‘গহড়’ এর নামানুসারে। অত্যাচারী এই জমিদার বংশের নানান কাজের কথা এখনো শোনা যায় লোকের মুখে মুখে। একবার তো নাকি বৃটিশ কর্তা ব্যক্তিদের আগমণের সময় তাদেরকে নিজেদের শানশওকত দেখাতে নদীর তীর থেকে জমিদার বাড়ি পর্যন্ত সিকি এবং আধুলি দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল।


সবুজ গ্রাম আর মঠ। ছবি- শেখ মাহদী

মঠ সম্পর্কে কথিত আছে, মঠের শীর্ষে ছিল একটি স্বর্ণদন্ড। সেটি চুরির অপচেষ্টায় অনেকে আহত-নিহত হলেও দীর্ঘদিন দন্ডটি মঠের চূড়ায় এই ম\জমিদার বংশের গৌরবের চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। পরবর্তীতে প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে এটি বিচ্ছিন্ন হয়ে নদীতে পড়ে যায়।
 
বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের কিছু আগে তার বিশ্বাসঘাতক কর্মচারী রাজবল্লভের ছেলে কৃষ্ণবল্লভ খাজনার টাকাপয়সা আত্নসাত করে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছিল এই জমিদারদের কাছেই।
 
টিকে আছে এই ৩টি মঠ। ছবি- শেখ মাহদী
 
ডাকাতিয়ার কূলে নির্মিত মঠ পাঁচটি এখন আর আগের মতো নেই। কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে দু'টি।
 
কীভাবে যাবেন:
ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে সারা দিনই চাঁদপুরের বাস ছাড়ে। এছাড়া ট্রেনেও যাওয়া যাবে।
 
মঠের গাঁয়ে গাছের ডালে পাখিদের খুনসুটি। ছবি- শেখ মাহদী
 
ঢাকা-চাঁদপুর রুটে প্রতিদিন চলাচল করে এমভি তাকওয়া, এমভি সোনারতরী, এমভি মেঘনা রাণী, এমভি বোগদাদীয়া, এমভি ঈগল, এমভি আল বোরাক, এমভি তুতুল, এমভি রফরফ প্রভৃতি। এসব লঞ্চে ঢাকা-চাঁদপুর অথবা চাঁদপুর-ঢাকার ভাড়া প্রথম শ্রেণির একক কেবিন ৩০০-৫৫০ টাকা। প্রথম শ্রেণির দ্বৈত কেবিন ৬শ’-১ হাজার টাকা। তৃতীয় শ্রেণির ভাড়া জনপ্রতি ১০০-১৫০ টাকা। ঢাকার সদরঘাট থেকে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এসব লঞ্চ চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। রাত ৯ টা থেকে ঢাকায় ফেরার লঞ্চ ছাড়ে।
 
মেঘনার রূপ। ছবি- শেখ মাহদী
 
লঞ্চে সময় লাগে খুব কম। ৩/৪ ঘন্টা। তাই আপনি দিনে গিয়ে দিনে ফিরেও আসতে পারবেন।
 
সম্পাদনা: ড. জিনিয়া রহমান।
 
আপনাদের মতামত জানাতে ই-মেইল করতে পারেন [email protected] এই ঠিকানায়।

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...