৩৫ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলার পথে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের একটি শট। ছবি: প্রিয়.কম

খুলনাকে জেতালেন আরিফুল-মাহমুদউল্লাহ

কার্লোস ব্রাথওয়েটের এক চার ও এক ছয়ে সমতায় আসে খুলনা। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্রিস জর্ডানকে ফ্লিক করে বাউন্ডারি হাঁকান মাহমুদউল্লাহ।

মুশাহিদ মিশু
Writer
প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৭, ২২:৩৭ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ২০:৩২
প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৭, ২২:৩৭ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ২০:৩২


৩৫ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলার পথে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের একটি শট। ছবি: প্রিয়.কম

(প্রিয়.কম) পাঁচ ম্যাচে জয় মিলেছে মাত্র একটিতে। তাই ভাগ্য ফেরাতে বদল করা হল অধিনায়ক। মিসবাহ উল হকের পরিবর্তে চিটাগং ভাইকিংসকে নেতৃত্ব দিয়েছেন লুক রনচি। অধিনায়ক বদলেও নিজেদের ভাগ্য ফেরাতে পারেনি বন্দরনগরী চট্টগ্রামের দলটি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে ১৬০ রান করেও হারতে হল চিটাগংকে।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৬০ রানের সংগ্রহ পায় চিটাগং ভাইকিংস। জবাবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আরিফুল হক ও রিলে রুশোর ব্যাটে ভর করে ১০ বল এবং পাঁচ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নিয়েছে খুলনা।

১৬১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্কোরকার্ডে ১৫ রান যোগ করতেই ফিরে যান মাইকেল ক্লিঙ্গার। এই ১৫ রানের মধ্যে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র এক রান। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে চার রানের বেশি করতে পারেননি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ধীমান ঘোষ। কিন্তু তাদের বিদায়ে রানের চাকায় প্রভাব ফেলতে দেননি রিলে রুশো। উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রানের চাকা সচল রাখেন বাঁহাতি এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেও এক রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তিনি। তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার ২৬ বলে পাঁচ চার ও তিন ছয়ে করেন ৪৯ রান।

১৯ রানের ব্যবধানে বিদায় নেন নাজমুল হাসান শান্ত। তানবীর হায়দারের বলে তার হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে শান্তর ব্যাট থেকে আসে নয় রান। তবে খুলনাকে পথ হারাতে দেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আরিফুল হক। পঞ্চম উইকেটে দু'জন মিলে গড়েন ৭০ রানের জুটি। আরিফুল হককে ৩৪ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। এরপর কার্লোস ব্রাথওয়েটের এক চার ও এক ছয়ে সমতায় আসে খুলনা। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্রিস জর্ডানকে ফ্লিক করে বাউন্ডারি হাঁকান মাহমুদউল্লাহ। এই বাউন্ডারিতেই নিশ্চিত হয় খুলনার জয়।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় চিটাগং ভাইকিংস। দলীয় ছয় রানে বিদায় নেন অধিনায়ক লুক রনচি। তার বিদায়ের পরই দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৯৫ রানের জুটি গড়েন এনামুল হক বিজয়। ৯৫ রানের এই জুটি গড়ার পথেই হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বিজয়। দুইবার জীবন পেলেও ৩২ রানের বেশি করতে পারেননি সৌম্য। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে কার্লোস ব্রাথওয়েটের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বাঁহাতি এই ওপেনার।

এর ঠিক চার বল পর সাজঘরে ফেরেন দুর্দান্ত খেলতে থাকা বিজয়। আবু জায়েদ রাহির বলে উইকেটরক্ষক ধীমান ঘোষের গ্লাভসে ক্যাচ দেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। আউট হওয়ার আগে ৪৭ বলে পাঁচ চার ও তিন ছয়ে ৬২ রান করেন তিনি। বিজয় ফিরলেও রানের চাকা সচল রাখেন চিটাগংয়ের দুই বিদেশি রিক্রুট নাজিবুল্লাহ জাদরান ও স্টিয়ান ভ্যান জিল। পঞ্চম উইকেটে তাদের ৫০ রানের জুটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৬০ রানের সংগ্রহ পায় চিটাগং।

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...