আদালতে বিএন‌পি চেয়ারপারসন খা‌লেদা জিয়া। ছবি: ফোকাস বাংলা

আদাল‌তে খা‌লেদা জিয়া, যু‌ক্তিতর্ক চল‌ছে

বুধবার সকাল ১০টা ৫০ মি‌নি‌টে গুলশানের বাসভবন থেকে আদালতের উদ্দেশে রওনা দিয়ে বেলা ১১টা ২৮ মিনিটে ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে উপস্থিত হন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিয়.কম
প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০১৮, ১২:৪৬ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ১৩:০০
প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০১৮, ১২:৪৬ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ১৩:০০


আদালতে বিএন‌পি চেয়ারপারসন খা‌লেদা জিয়া। ছবি: ফোকাস বাংলা

(প্রিয়.কম) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দিতে রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

১৭ জানুয়ারি বুধবার সকাল ১০টা ৫০ মি‌নি‌টে গুলশানের বাসভবন থেকে আদালতের উদ্দেশে রওনা দিয়ে বেলা ১১টা ২৮ মিনিটে ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে উপস্থিত হন তিনি। 

এর আগে ১৬ জানুয়ারি গতকাল মঙ্গলবার ১০ম দিনের মতো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থান শেষ করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। ১০ দিনে পাঁচ আইনজীবী এ যুক্তি উপস্থাপন করেন। এরপর আসামি ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী আহসান উল্লাহ। তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় বুধবার (আজ) যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য করে‌ছি‌লেন আদালত।

২০০৮ সালের ৩ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এতিমদের সহায়তা করার জন্য একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়। ২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশীদ।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য চার আসামি হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। এ ছাড়া তারেক রহমানের জামিন সম্প্রতি বাতিল করে দেন আদালত। মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী।

এ ছাড়া ২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করেছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক হারুন-অর-রশিদ।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত 

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...