প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

কুয়াকাটায় অবস্থিত এই ল্যান্ডিং স্টেশন চালু হওয়ায় বাংলাদেশ নতুন করে ১ হাজার ৫০০ গিগাবাইটের (জিবি) বেশি ব্যান্ডউইডথ পাবে।

রাকিবুল হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:০১ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ২১:৩২
প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:০১ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ২১:৩২


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) অবশেষে উদ্বোধন হলো বহুল প্রতীক্ষিত দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের ল্যান্ডিং স্টেশনের। কুয়াকাটায় অবস্থিত এই ল্যান্ডিং স্টেশন চালু হওয়ায় বাংলাদেশ নতুন করে ১ হাজার ৫০০ গিগাবাইটের (জিবি) বেশি ব্যান্ডউইডথ পাবে। আর ট্রান্সমিশন চার্জ কম পড়ায় দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা ও ফরিদপুরের মানুষ কম খরচে ইন্টারনেট সেবা পাবেন।

১০ সেপ্টেম্বর রোববার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (সি-মি-উই-৫) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই বার বিনা পয়সায় সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে সংযোগের সুযোগ পেলেও অজ্ঞতার কারণে তা নাকচ করে দেশকে পিছিয়ে রেখেছে বিএনপি। এখন দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। 

বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ ৪০০ জিবিপিএসের বেশি। এর মধ্যে ১২০ জিবিপিএস রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) মাধ্যমে আসে। বাকি ২৮০ জিবিপিএস আইটিসির ব্যান্ডউইডথ ভারত থেকে আমদানি করা হয়।

উল্লেখ্য, পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় মাইটভাঙ্গা গ্রামে ২০১৩ সালের শেষের দিকে ১০ একর জমির ওপর ৬৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনটি। প্রকল্পটির কাজ শেষ করার পর ২০১৭ সালের মার্চ মাস থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার পরীক্ষামূলক শুরু হয়। 

এদিকে এক বছর বিলম্বের পর দ্বিতীয় এই সাবমেরিন ক্যাবলের উদ্বোধন হলো। এর আগে চলতি বছরের ৩১ জুলাই একবার এই ক্যাবলের উদ্বোধনের তারিখ দেওয়া হয়েছিল। তার আগে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ক্যাবলটি উদ্বোধনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ব কোম্পানি বিটিসিএল সঞ্চালন লাইনের কাজ ঠিকমতো শেষ করতে না পারায় এতদিনের এই বিলম্ব। 

প্রসঙ্গত,সি-মি-উই-৫ হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া- মিডল ইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ-৫-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এতে রয়েছে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ইউএই, ওমান, জিবুতি, ইয়েমেন, সৌদি আরব, মিসর, ইতালি ও ফ্রান্স।

প্রিয় টেক/মিজান

 

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...