সোশ্যাল মিডিয়া যদি আপনার ক্যারিয়ারের গ্রাফ উর্ধ্বগামী করে, বিশ্বাস করবেন আপনি? ছবি: রিপন, প্রিয়.কম

ক্যারিয়ারে উন্নতি করতে চাইলে যেভাবে ব্যবহার করবেন সোশ্যাল মিডিয়া!

বাস্তব জীবনের মতই সামাজিক মাধ্যমে বন্ধু পছন্দ করার সময় সতর্ক হোন, কারণ সোশ্যাল মিডিয়া আজকাল প্রভাব ফেলে ক্যারিয়ারেও!

বুশরা আমিন তুবা
ফিচার লেখক, প্রিয়.কম
প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২১:২৭ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০
প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২১:২৭ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০


সোশ্যাল মিডিয়া যদি আপনার ক্যারিয়ারের গ্রাফ উর্ধ্বগামী করে, বিশ্বাস করবেন আপনি? ছবি: রিপন, প্রিয়.কম

(প্রিয়.কম) সমাজ ও পৃথিবী প্রতিনিয়ত উন্নতির পথে অগ্রসর হচ্ছে। সেই সঙ্গে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপরেও খুব বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। এখানে আমাদের সময় কাটাতে খুব ভালো লাগে, আমরা নিজেদের ভালো লাগা-মন্দ লাগা সবকিছু সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করি। অনেকের আবার অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন ব্যবসা গড়ে উঠেছে। কিন্তু সকলের মুখে কেবল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপকারিতা ও বিরূপ প্রভাবের কথা শোনা যায়। সোশ্যাল মিডিয়া যদি আপনার ক্যারিয়ারের গ্রাফ উর্ধ্বগামী করে, বিশ্বাস করবেন আপনি?

আজকের ফিচারে জানানো হবে কোন কোন উপায় অনুসরণ করলে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেও আপনি দিনের পর দিন ক্যারিয়ারের গতি ত্বরান্বিত করতে পারবেন। চলুন, জেনে নিই। 

টিপস এক

সোশ্যাল মিডিয়ার তো বিভিন্ন ধরণ আছে। ক্যারিয়ার উন্নত করার জন্য কোনটি আপনার জন্য উপযোগী সেটি খুঁজে বের করুন যেন নিয়োগকারীরা আপনাকে কোনরকম ঝক্কি ছাড়াই খুঁজে পান। 

টিপস দুই

ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া খুব পছন্দনীয় আমাদের কাছে। নিয়মিত আপডেট করতেও সকলে ভালোবাসি। কিন্তু প্রতিদিন দুটোর বেশি আপডেট না করাই ভালো, এতে করে আপনার অনুসারীরা বিরক্ত বোধ করেন। 

টিপস তিন

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট কিন্তু অনেকটা আহ্বানকারীর মতন। যেকোন সাফল্য, অগ্রগতি এবং প্রশংসা সময়মতন আপডেট করতে ভুলবেন না। সেগুলো দিয়েই কিন্তু আপনার কর্মক্ষমতা বিচার করা হয়ে থাকে।

টিপস চার

আপনার যদি অনলাইনভিত্তিক কোন ব্যবসা থাকে তবে অবশ্যই একটি স্পেশাল পেইজ তৈরি করে রাখুন। ব্যক্তিগত প্রোফাইলের সঙ্গে ব্যবসা মিলিয়ে ফেললে একটা হ-য-ব-র-ল হবার সম্ভাবনা থাকে!

টিপস পাঁচ

সোশ্যাল মিডিয়াকেন্দ্রিক আমাদের অনেক বন্ধুবান্ধব ও অনুসারী থাকে। আমরা অনেকে তো আবার কার কতজন অনলাইন বন্ধু আছে সেটি নিয়েই তর্কে-বিতর্কে মেতে যাই। বাস্তব জীবনের মতই সামাজিক মাধ্যমে বন্ধু পছন্দ করার সময় সতর্ক হোন। এমন বন্ধুদের সঙ্গেই সংযুক্ত হোন যারা আপনার নেটওয়ার্কের মান বাড়াবে ও ওজনদার করবে। 

টিপস ছয়

আপনার সামাজিক মাধ্যমের পুরোটাই খাবারের ছবি দিয়ে ভরিয়ে ফেলা কিন্তু মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়! আপনি যদি ফুড ব্লগার না হয়ে থাকেন তবে ঘন ঘন খাবারের ছবি আপলোড করা এক ধরণের বোকামিই বটে। 

টিপস সাত

আগেই বলা হয়েছে যে বিভিন্ন ধরণের সোশ্যাল মিডিয়া কিন্তু বিভিন্ন রকম উদ্দেশ্যে সাধন করে। যেমনঃ ফেসবুক ও টুইটার মূলত নেটওয়ার্কিং বা যোগাযোগের জন্য, ইন্সটাগ্রামে প্রধাণত জাকজমকপূর্ণ ছবি আপলোড করা হয়। আবার লিংকড ইন প্রফেশনাল কাজে ব্যবহারের জন্যই অধিক প্রচলিত। এর সঠিক ব্যবহারসমূহ আপনাকে পরিপূর্ণভাবে জানতে হবে। ইন্সটাগ্রামে চাকরির আবেদন খুঁজলে আবার লিংকড ইনে প্রিয় বেড়ালের ছবি দিয়ে ভরে ফেললে চলবেনা একদম।

টিপস আট

সোশ্যাল মিডিয়াতে যদি আপনার কোন ব্র্যান্ড তৈরি করার মনোকামনা থেকে থাকে তবে ব্যক্তিগত জীবনের অনেক কিছু সেখানে শেয়ার না করাই ভালো। এতে করে ভারিক্কি একটা ভাব থাকবে আপনার প্রোফাইলে। ব্র্যান্ডিং করতে খুব একটা ঝামেলা পোহাতে হবে না। 

টিপস নয়

পরিশেষে মনে রাখবেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার অ্যাকাউন্ট নিতান্তই আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। সেখানে কেউ যদি আপনাকে নূন্যতম বিরক্ত কিংবা উত্যক্ত করার চেষ্টা করে তাহলে কোন বাকবিতণ্ডা ছাড়াই মানুষটিকে 'ব্লক' করে দিন। এতে কার্পণ্য করার কোন মানে নেই!

সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম শুধুমাত্র সময়ই অপচয় করে না। আপনি যদি ভালোমতন কাজে লাগাতে পারেন সুযোগগুলো তাহলে আপনি এগুলোর মাধ্যমের ক্যারিয়ারে সমূহ উন্নতি করতে পারবেন। আপনার কাছে কোন কিছুকেই আর বাঁধা বলে মনে হবে না। 

সূত্র: Femina

সম্পাদনা : রুমানা বৈশাখী 

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...