সত্তরোর্ধ মনোয়ারা বেগমের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন বরিশালের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম। ছবি: প্রিয়.কম

অসহায় সেই মায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন বরিশালের এসপি

মনোয়ারা বেগমের চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দেন বরিশালের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম। এছাড়া মনোয়ারা বেগমের প্রতি তার সন্তানদের অবহেলার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

মো. আল আমিন
কন্ট্রিবিউটর, বরিশাল
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৯:২৮ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ০২:০০
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৯:২৮ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ০২:০০


সত্তরোর্ধ মনোয়ারা বেগমের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন বরিশালের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম। ছবি: প্রিয়.কম

(প্রিয়.কম) বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের মৃত্যু আইয়ুব আলী সরদারের সত্তরোর্ধ স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন বরিশালের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম। মনোয়ারা বেগমের তিন ছেলে পুলিশ কর্মকর্তা এবং মেয়ে শিক্ষক হওয়া স্বত্তেও মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বরিশালের শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে (শেবাচিম) মনোয়ারা বেগমকে দেখতে যান বরিশালের এসপি। মনোয়ারা বেগমের পরিনতির কথা শুনে তার চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক ১০ হাজার টাকা দেন এসপি। সেই সঙ্গে মনোয়ারা বেগমের চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

এছাড়া মনোয়ারা বেগমের প্রতি তার সন্তানদের অবহেলার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতিও দেন এসপি। সে সময় তার সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোল্লা আজাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সত্তরোর্ধ মনোয়ার বেগম।

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের মৃত্যু আইয়ুব আলী সরদারের সত্তরোর্ধ স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। ছবি: সংগৃহীত

প্রসঙ্গত, আইয়ুব আলী-মনোয়ারা দম্পতির ছয় সন্তানের মধ্যে তিন ছেলে- ফারুক হোসেন, নেছার এবং জসীম উদ্দিন পুলিশে কর্মরত আছেন। মেয়ে মরিয়ম সুলতানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। অন্য দুই সন্তান শাহাবউদ্দিন ব্যবসায়ী এবং গিয়াস উদ্দিন নিজের ব্যবহৃত ইজি বাইক ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।

গত ৪-৫ মাস আগে ভিক্ষা করতে যেয়ে পড়ে গিয়ে কোমরের হাড় ভেঙ্গে যায় মনোয়ারা বেগমের। বৃদ্ধার ছেলে ইজি বাইক চালক গিয়াস উদ্দিন জানান, তার সাধ্য মতো মাকে চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করেছেন। বর্তমানে সে নিজেও সহায় সম্বলহীন বলে বৃদ্ধ মা আজ চিকিৎসার অভাবে শেবাচিম হাসপাতালে মৃত্যুর প্রহর গুনছে।

ঘটনাটি বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ আকারে প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। আর অসহায় সেই মায়ের পাশে দাঁড়াতে হাসপাতালে ছুটে যান বরিশালের এসপি।

প্রিয় সংবাদ/শিরিন/আশরাফ

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...