যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের বার্ষিকীতে বন্ধ হয়ে গেল দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কার্যক্রম বন্ধ

কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম বন্ধের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘নিজেদের বেপরোয়া দাবি আদায়ে আইন মান্যকারী নাগরিকদের জিম্মি করেছে’ ডেমোক্র্যাটরা।

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০১৮, ১৩:০২ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ২২:১৬
প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০১৮, ১৩:০২ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ২২:১৬


যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের বার্ষিকীতে বন্ধ হয়ে গেল দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম। ছবি: সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) নতুন বাজেটের বিষয়ে সিনেটররা একমত না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

স্থানীয় সময় ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার মধ্যরাতের পর থেকে কেন্দ্রীয় কার্যক্রম বন্ধ হয়।

সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারের বাজেট বাড়ানো নিয়ে প্রস্তাবিত বিল সিনেটে অনুমোদনের শেষ সময় ছিল শুক্রবার মধ্যরাত। কিন্তু এ নিয়ে সিনেটরদের মতৈক্য না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেল সরকারি কার্যক্রম।

২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক হয়েছিল রিপাবলিকান পার্টিতে আনকোরা ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সেই অভিষেকের বর্ষপূর্তির দিনেই বড় ধাক্কা খেল ট্রাম্প প্রশাসন। 

কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম বন্ধের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘নিজেদের বেপরোয়া দাবি আদায়ে আইন মান্যকারী নাগরিকদের জিম্মি করেছে’ ডেমোক্র্যাটরা।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স বলেন, ‘আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা, সেনা সদস্যদের পরিবার, বিপন্ন শিশু ও সব আমেরিকানদের সেবায় আমাদের জাতীয় সামর্থ্য নিয়ে তারা (ডেমোক্র্যাট) রাজনীতি করেছে।’

তবে পাল্টা অভিযোগ করে সিনেটে ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা চাক শুমার বলেন, দুই দলের সমঝোতার ভিত্তিতে হওয়া চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে তিনি (ট্রাম্প) ‘নিজ দলকে কংগ্রেসমুখী করেননি’। 

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সরকারি বাজেট বাড়ানোর পক্ষে ভোট দেন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ২৩০ জন আইনপ্রণেতা। আর বিপক্ষে ভোট দেন ১৯৭ জন। তবে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে এসে ৫০-৪৯ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হতে ব্যর্থ হয়।

প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দেন রিপাবলিকান পার্টির পাঁচ আইনপ্রণেতা। অন্যদিকে দলের মতের বাইরে গিয়ে বিলটির পক্ষ নেন ডেমোক্রেটিক পার্টির পাঁচজন সিনেটর। 

এর আগে ২০১৩ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে সিনেটরদের মতবিরোধে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তহবিল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ওই অচলাবস্থা ১৬ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। 

দুই দলের সিনেটরদের মতানৈক্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলেও জরুরি সেবাদানকারী কিছু প্রতিষ্ঠান চালু থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা, ডাক, বিমান ওঠা-নামার কাজ, হাসপাতালে রোগী ভর্তি, রোগীদের সেবা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কারাগার, কর বিভাগ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন বিভাগ। 

প্রিয় সংবাদ/শান্ত   

 

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...