জিম্বাবুয়ের ফার্স্টলেডি গ্রেস মুগাবে। ছবি: সংগৃহীত

স্টেট হাউজের টাইপিস্ট থেকে ফার্স্টলেডি গ্রেস মুগাবে

প্রবল জনরোষ, বিক্ষোভ আর চাপের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে।

আয়েশা সিদ্দিকা শিরিন
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:২৩ আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০১৮, ১০:৩২
প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:২৩ আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০১৮, ১০:৩২


জিম্বাবুয়ের ফার্স্টলেডি গ্রেস মুগাবে। ছবি: সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) প্রবল জনরোষ, বিক্ষোভ আর চাপের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে। দেশটির অনেকের ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে আসলে রবার্ট মুগাবে নন, বরং তার দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রেস মুগাবে। যিনি মূলত স্টেট হাউজের একজন টাইপিস্ট থেকে সময়ের পরিক্রমায় হয়ে উঠেছেন জিম্বাবুয়ের ফার্স্ট লেডি।

স্টেট হাউজের টাইপিস্ট থাকাকালীন ৪১ বছরের বড় মুগাবের প্রেম শুরু করেন গ্রেস। তখন মুগাবের স্ত্রী স্যালি তখন অসুস্থ ছিলেন। ১৯৯২ সালে মারা যান স্যালি। পরে ১৯৯৬ সালে জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রেসকে বিয়ে করেন মুগাবে। মুগাবে ও গ্রেস দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে। 

জিম্বাবুয়ের ধনাঢ্য এলাকাগুলোতে গ্রেসের ব্যাপক সম্পদ রয়েছে। বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য সমালোচিত তিনি। ইউনিভার্সিটি অফ জিম্বাবুয়ে থেকে সমাজবিজ্ঞানে গ্রেসের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। ২০১৭ সালে একজন মডেলকে নিগ্রহ করার ঘটনায় অভিযুক্ত হন গ্রেস।

রবার্ট মুগাবের সঙ্গে গ্রেস মুগাবে।

রবার্ট মুগাবের সঙ্গে গ্রেস মুগাবে। ছবি: সংগৃহীত

২০১৪ সালে ক্ষমতাসীন জানু পি-এফ পার্টির নারী শাখার প্রধান করা হয় গ্রেসকে। তিনি উঠে আসেন জিম্বাবুয়ের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে এবং নিজেও লড়াইয়ে নেমেছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন মানিয়েংগার সাথে। দুই সপ্তাহ আগে মানিয়েংগাকে বহিষ্কার করেন রবার্ট মুগাবে।

এর ১০ দিনের মাথায় দেশটির টেলিভিশন চ্যানেল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী। স্ত্রী গ্রেসকে নিয়ে কার্যত গৃহবন্দী হয়ে পড়েন প্রেসিডেন্ট মুগাবে। তবে কোনো ধরনের অভ্যুত্থানের কথা অস্বীকার করে আসছে দেশটির সেনা কর্তৃপক্ষ।

সেনাবাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর গত ১৭ নভেম্বর শুক্রবার হারারের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রথম জনসমক্ষে আসেন জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে। ১৮ নভেম্বর শনিবার মুগাবের পদত্যাগ দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে কয়েক হাজার জিম্বাবুয়েবাসী। 

গ্রেস মুগাবে।

গ্রেস মুগাবে। ছবি: সংগৃহীত

আর এর পরেই জিম্বাবুয়ের ক্ষমতাসীন দল জানু-পিএফ দলের সর্বোচ্চ পদে রদবদলের ঘোষণা আসে। জানু-পিএফ’র সর্বোচ্চ নেতার পদ থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবেকে বহিষ্কার করা হয়।

তার পরিবর্তে দুই সপ্তাহ আগে বহিষ্কৃত ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন মানিয়েংগাকে দলটির শীর্ষ পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এ ছাড়া ফার্স্ট লেডি গ্রেস মুগাবেকেও দলের সবধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

রবার্ট মুগাবে ও গ্রেস মুগাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আর রবার্ট মুগাবের পদত্যাগের ঘোষণার পর গ্রেস মুগাবের ভবিষ্যৎ কী হয় সেদিকেও দৃষ্টি রয়েছে অনেকের।

প্রিয় সংবাদ/আশরাফ

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...