সিংড়া পৌরসভার কমিউনিটি সেন্টারে ত্রাণ বিতরণ করছেন পলক। ছবি: প্রিয়.কম

আশ্রয়কেন্দ্রে পশু কোরবানির মাধ্যমে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা হবে: পলক

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে কার্যকর সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট মেরামত ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বসতবাড়ি পুনঃনির্মাণ, কৃষকদের জন্য কৃষি প্রণোদনার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।

তাপস কুমার
কন্ট্রিবিউটর, নাটোর
প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০১৭, ২০:১৬ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ১৭:০০
প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০১৭, ২০:১৬ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ১৭:০০


সিংড়া পৌরসভার কমিউনিটি সেন্টারে ত্রাণ বিতরণ করছেন পলক। ছবি: প্রিয়.কম

(প্রিয়.কম) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পশু কোরবানির মাধ্যমে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়া হবে। এভাবে আমরা আশ্রয়কেন্দ্রের ভাগ্যহত মানুষের দুর্দশা লাঘব করতে চাই।

২৭ আগস্ট রোববার সিংড়া পৌরসভার কমিউনিটি সেন্টারে পৌর এলাকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ৩০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণের ১০ কেজি করে চাল বিতরণকালে এ সব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে কার্যকর সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট মেরামত ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বসতবাড়ি পুনঃনির্মাণ, কৃষকদের জন্য কৃষি প্রণোদনার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। এই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কোনো ব্যক্তি এসব সরকারি সহায়ক কর্মসূচির বাইরে থাকবে না।

পলক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দুর্গত মানুষের দুর্দশা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের পুনর্বাসন কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারব ইনশাল্লাহ।

পরে প্রতিমন্ত্রী পলক কলম ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে এই এলাকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০ ব্যক্তির মাঝে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন।

এর আগে উপজেলা কৃষি মিলনায়তনে ‘বন্যা ও দুর্যোগ মোকাবেলায় করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কর্মসূচি পরিকল্পনা প্রণয়নে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন প্রতিমন্ত্রী।

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাজমুল আহসান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাজমুল আহসান জানান, চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। আত্রাই নদীতে পানি বিপৎসীমার ১০৩ সেন্টিমিটার থেকে নেমে বর্তমানে বিপৎসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরও বলেন, উপজেলার ২৭টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়গ্রহণকারী এক হাজার ২৮টি পরিবারের প্রায় চার হাজার মানুষকে তিন বেলা খাবার প্রদান করা হচ্ছে। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় উপজেলার জন্য ১৬১ টন চাল এবং নগদ সাত লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত   

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...