রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ফাইল ছবি

নাগরিক কমিশন প্রতিনিধিদলের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন

কমিশন সদস্যরা প্রথমে কুতুপালং ক্যাম্পে মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা প্রায় ৪০ জন রোহিঙ্গা নারী পুরুষ ও শিশুর সাথে কথা বলেন।

শেখ নোমান
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০১৭, ২২:০২ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ২২:৩২
প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০১৭, ২২:০২ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ২২:৩২


রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ফাইল ছবি

(প্রিয়.কম) মিয়ানমারে গণহত্যা তদন্তে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত নাগরিক কমিশন সদস্যরা ২১ অক্টোবর শনিবার উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।  

৩০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন নাগরিক কমিশনের চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুল হুদা।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল জানান, সকাল ১০টায় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা কক্সবাজার পৌঁছেন। দুপুর ৩টার দিকে তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। কমিশন সদস্যরা প্রথমে কুতুপালং ক্যাম্পে মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা প্রায় ৪০ জন রোহিঙ্গা নারী পুরুষ ও শিশুর সাথে কথা বলেন। এই সময়ে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা তাদের ওপর ঘটে যাওয়া মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতনের লোমহর্ষক বিবরণ দেন। 

তিনি বলেন, কমিশন সদস্যরা সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্যাতিত রোহিঙ্গা নারী পুরুষ শিশুর বক্তব্য গ্রহণ করেছেন। এরপর তারা বালুখালী ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সেখানেও অন্তত ২০ জন রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। ২২ অক্টোবর রোববারও কমিশন সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলবেন। 

প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন, কমিশনের সদস্য সচিব অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বিচারপতি মো. নিজামুল হক, সমাজকর্মী জুলিয়ান ফ্রান্সিস, সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল আনোয়ার, মেজর জেনারেল (অব.) মো. আবদুর রশীদ, মেজর জেনারেল (অব.) এ কে মোহম্মাদ আলী শিকদার প্রমুখ। 

উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান ও মিয়ানমার সরকারের গণহত্যার বিচারের বিষয়টি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে জোরালোভাবে তুলে ধরতে গত ১১ অক্টোবর এই নাগরিক কমিশন গঠন করা হয়।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত 

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...