আমিনুল ইসলাম ‍বুলবুল। ছবি: প্রিয়.কম

‘দ্বিতীয় ইনিংসের পরিবর্তনগুলো স্কুল ক্রিকেটের মতো মনে হয়েছে’

অস্ট্রেলিয়া থেকে ফোনে হাজারো অসংলগ্নতার কথা বললেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। একাদশ নির্বাচন, দ্বিতীয় ম্যাচের ব্যাটিং ব্যর্থতা, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন, মুমিনুলকে বিপদে ঠেলে দেওয়া, সৌম্য-সাব্বির-নাসিরদের টেস্টে খেলানো, অধিনায়কের ক্ষমতাসহ আরো অনেক বিষয় নিয়ে প্রিয়.কমের সাথে কথা বললেন সাবেক এই ক্ল্যাসিক ব্যাটসম্যান।

শান্ত মাহমুদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১১:৫৬ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ১৭:১৬
প্রকাশিত: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১১:৫৬ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ১৭:১৬


আমিনুল ইসলাম ‍বুলবুল। ছবি: প্রিয়.কম

(প্রিয়.কম) বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের শুরুর অধ্যায়ে তার নামটি বড় করে। অভিষেকেই নিজের নামটি খোদাই করে নিয়েছিলেন ইতিহাসের অমর পাথরে। ভারতের বিপক্ষে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের করা ১৪৫ রানের ইনিংসটি এখনো বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। ক্রিকেট ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে বর্তমানে কাজ করছেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি)। থাকেন অস্ট্রেলিয়াতে। তবে দেশের ক্রিকেটের খোঁজ-খবর ঠিকই রাখেন।

কেমন দেখলেন বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ? বিশেষ করে দ্বিতীয় ম্যাচটি নিয়ে কী মূল্যায়ন আপনার? জবাবে অস্ট্রেলিয়া থেকে ফোনে হাজারো অসংলগ্নতার কথা বললেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। একাদশ নির্বাচন, দ্বিতীয় ম্যাচের ব্যাটিং ব্যর্থতা, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন, মুমিনুলকে বিপদে ঠেলে দেওয়া, সৌম্য-সাব্বির-নাসিরদের টেস্টে খেলানো, অধিনায়কের ক্ষমতাসহ আরো অনেক বিষয় নিয়ে প্রিয়.কমের সাথে কথা বললেন সাবেক এই ক্ল্যাসিক ব্যাটসম্যান। প্রিয়.কমের পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হল-    

- অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচটি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

আমিনুল ইসলাম বুলবুল: বাংলাদেশ ঘরের মাঠে খুবই ভাল খেলছে। কিন্তু ঘরের মাঠের সুবিধা নিতে পারাটাও একটা কঠিন ব্যাপার। সবকিছু কাজে লাগিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে প্রথম টেস্টে হারানো একটা বিশাল সাফল্য। পরের ম্যাচটিতেও জেতার সম্ভাবনা অনেক জায়গায় ছিল। ছোট ছোট ভুলের কারণে আমরা ম্যাচটা হেরে গেছি। ম্যাচটা এমন ভাবে শুরু হয়েছিল, বৃষ্টি না হলে ড্র হওয়ার কোন সম্ভাবনাই ছিল না। আমরা বেশকিছু ভুল করেছি এবং আমরা প্রথম টেস্টটা জিতে এতটাই আবেগাপ্লুত হয়ে গিয়েছিলাম যে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে আমরা দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটিও জিততে পারি। তবে জেতার সুযোগ অনেকগুলো এসেছিল কিন্তু আমরা একটাও কাজে লাগাতে পারিনি। আর উইকেটের যে ব্যাপার, ঢাকাতে একবারে বোলিং অর্থাৎ স্পিনারদের উইকেট ছিল। চট্টগ্রামে পুরোপুরি উল্টো ব্যাপার ছিল। ঢাকাতে ৩০ ভাগ ব্যাটিং উইকেট ছিল কিন্তু চট্টগ্রামে ছিল ৬০ ভাগ। আমার কাছে মনে হয়েছে আমরা এটাকে ঠিকভাবে কাজে লাগতে পারিনি। মুমিনুলকে প্রথম টেস্টেই নেয়া উচিত ছিল। আর এমন কিছু হয়ে যায়নি যে আটজন ব্যাটসম্যান খেলাতে হবে। এটাও ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।

- ছোট ছোট ভুলের কথা বলছিলেন আপনি। যদি নির্দিষ্ট করে বলতেন যে কোন জায়গাটায় ম্যাচটা হেরে গেছে বাংলাদেশ। কোন কোন জায়গায় আরো পরিকল্পিতভাবে এগোনো উচিত ছিল?

আমিনুল ইসলাম বুলবুল: পুরো ম্যাচটা যদি বিশ্লেষণ করা যায় তাহলে সবাই বলবে দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা ভাল ব্যাটিং করতে পারিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা ভাল ব্যাটিং করিনি বলে হেরে গেছি। অবশ্যই দ্বিতীয় ইনিংসটি একটা বড় ব্যাপার ছিল। তারপরও আমি বলব প্রথম ইনিংসে আমরা উইকেট বোঝার আগেই চার উইকেট চলে গিয়েছিল। পরে সাব্বির এবং মুশফিকের ওই জুটির কারণে হয়তো আমারা ৩০০ রান করতে পেরেছি। নিজেদের উইকেট নিজেরাই বুঝতে পারিনি। এটা খুবই খারাপ একটা দিক। তামিম থেকে শুরু করে ইমরুল, সৌম্য এবং মুমিনুল চারজনই কিন্তু এলবিডব্লিউতে আউট হয়েছে। এটা টেস্ট ম্যাচে কখনোই হওয়া উচিত না। আমাদের প্রধান সমস্যা ছিল ব্যাটিং। কোনো ইনিংসেই আমরা ভাল ব্যাটিং করি নাই। এই ভুলগুলো না করলে এই টেস্ট না জেতার কোন কারণই ছিল না। অস্ট্রেলিয়া আমাদের উইকেটে যে ব্যাটিং করে তার ৩০ ভাগও করতে পারেনি আমাদের উইকেট ও ভাল বোলিংয়ের কারণে। 

- দ্বিতীয় ইনিংসের বাজে ব্যাটিং সবাই দেখেছে। ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তনের কারণেই এমন হয়েছে কি না?

আমিনুল ইসলাম বুলবুল: আসলে টেস্ট ম্যাচের আসল স্কোরটা হয় প্রথম ইনিংসে। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার বোলিংয়ে তেমন কিছু ছিল না, নাথান লায়ন ছাড়া কিছুই ছিল না। আমি বলব জিরো বোলিং। প্রথম ইনিংসটাই আমার কাছে বড় মনে হয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে এত ক্যারিক্যাচার করার দরকারটা কী যে, একজন বাঁ-হাতি নাকি একজন ডানহাতি পাঠাব! আমরা তো জানতামই ওদের বোলিং কী। আমার কাছে স্কুল ক্রিকেটের মতো মনে হয়েছে এই পরিবর্তনগুলো। আর এই পরিবর্তনগুলো অধিনায়ক কতটুকু করতে পারে, তার কতটুকু ক্ষমতা আছে সেটা আমার প্রশ্ন। 

- মুমিনুল হক সব সময় তিন অথবা চারে খেলেছে। এই ম্যাচে তাকে আট নম্বরে পাঠিয়ে দেয়া হল। হুটহাট দল থেকে বাদ দেওয়া, অন্য পজিশনে পাঠিয়ে দেওয়া: এসব করে মানসিকভাবে তাকে দুর্বল করে দেয়া হচ্ছে কি না? 

আমিনুল ইসলাম বুলবুল: মুমিনুল ছেলেটাকে নিয়ে প্রথম টেস্টের সিলেকশন থেকে শুরু করে দ্বিতীয় টেস্টের শেষ ইনিংসে যা দেখলাম, এই ছেলেটা যে খেলতে পারছে এটার জন্যই তাকে ধন্যবাদ দেয়া উচিত। এতকিছুর মধ্য দিয়ে ছেলেটা খেলছে। তাকে সাহায্য করব কি, ও যে যেন ভাল না খেলতে পারে সেরকম একটা পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছি। আমাদের সকলের করণীয় হচ্ছে তাকে একটা নির্দিষ্ট জায়গা দেওয়া যেন সে নিশ্চিন্তে খেলতে পারে। একজন প্রতিভাময় টেস্ট খেলোয়াড়কে আমরা যে পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছি এভাবে একটা খেলোয়াড় পারফর্ম করতে পারে না কখনো। তবে পরিবর্তনের কারণে মুমিনুলের জায়গা থেকে এটা কোন এক্সকিউজ হওয়া উচিত না। কারণ দলের প্রয়োজনে ম্যানেজম্যান্ট যেখানে বলবে সেখানেই তাকে খেলতে হবে। খেলা উচিত এবং তাকে সার্ভিস দেওয়া উচিত। তবে মুমিনুল আট নম্বরে জীবনে খেলেছে কি না আমি জানি না। ও জায়গাটার খেলোয়াড় কি না, ওকে ওই জায়গায় খেলানো উচিত হচ্ছে কিনা, এটা যদি আমাকে জিজ্ঞাো করেন, আমি বলব সম্পূর্ণ ভুল। আমি যদি দলের সাথে থাকতাম তাহলে সৌম্য সরকারকে নিচে এনে ওকে দিয়ে ওপেন করতাম। সৌম্য সরকারের যে টেকনিক দেখলাম এই দুই টেস্ট ম্যাচে, টেস্ট ম্যাচে কিভাবে নিরপদভাবে ব্যাটিং করতে হয় কিছুই জানে না ও। আমার কাছে মনেহয় ওর আরো অনেক কিছু শেখার আছে এখনো। তো মুমিনুলকে আটে না পাঠিয়ে আমি ওকে দিয়ে ওপেন করাতাম। 

- প্রথম টেস্ট জয়ের পর বলা হচ্ছিল আমরা ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছি। এবার অস্ট্রেলিয়াকে হারালাম। টেস্টে আমরা এখন যে কোনো দলকেই হারাতে পারি। যদিও দ্বিতীয় টেস্টের পর আলোচনা বদলে গেছে। এই সিরিজ শেষে টেস্টে বাংলাদেশকে কতটা পরিণত মনে হচ্ছে?

আমিনুল ইসলাম বুলবুল: আমি বাংলাদেশের পক্ষেই বলব। কারণ বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডে যে টেস্ট ম্যাচগুলো হেরেছিল, ভাল টেস্ট ম্যাচ খেলে হেরেছিল। শ্রীলঙ্কাতে সিরিজ ড্র করেছে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করেছে। অবশ্যই উন্নতি করছে আমাদের টেস্ট দল। এটা আমি কেন সবাই বলবে। কিন্তু একই সময়ে আমি কিন্তু সামনের দিকে তাকিয়ে কথা বলি। এই জন্য বলছি যে বাংলাদেশের যে এই মুহূর্তের দল, প্রথম সারির বা গুরুত্বপূর্ণ যে ছয় সাতজন ব্যাটসম্যান আছে তারা কিন্তু ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি আবার টেস্ট ম্যাচও খেলে। একজন খেলোয়াড়ের পক্ষে কিন্তু এই ধরনের সার্ভিস বেশিদিন দেওয়া সম্ভব না। আমরা সবচেয়ে কঠিন একটা সিরিজ খেলতে যাচ্ছি দক্ষিণ আফ্রিকাতে। বিশ্বকাপের পর থেকে আমরা যতগুলো সিরিজ খেলেছি এটা হবে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। দক্ষিণ আফ্রিকাতে যে কন্ডিশনে খেলা হয় সেখানে আমরা কেমন খেলতে পারি সেটাই হবে আমাদের আসল পরীক্ষা। ঘরের মাঠের উইকেটের সুবিধা আমরা পুরোপুরি নিয়েছি ওয়ানডেতে। আবার টেস্টেও ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিয়েছি। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ দিয়ে আমরা বুঝতে পারব সত্যিকার অর্থে আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি। এই সিরিজের পরই সারা বিশ্ব বলবে বাংলাদেশ উন্নতি করেছে। আর না হয় বলবে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে খুবই ভাল খেলছে। কারণ শ্রীলঙ্কার কথা যদি বলা হয় এই মুহূর্তে তাদের যে টেস্ট টিম আছে, জিম্বাবুয়ের পর সবচেয়ে দুর্বল দল শ্রীলঙ্কা। জিম্বাবুয়ের সাথে তারা হারতে হারতে টেস্ট ম্যাচ জিতেছে। ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে। শ্রীলঙ্কা সিরিজটাকে আমি অত বড়ভাবে দেখি না। 

- সৌম্য সরকার এবং সাব্বির রহমানকে টেস্ট খেলানোর পক্ষে-বিপক্ষে অনেক যুক্তি-আলোচনা আছে। আপনার মতামত কী?

আমিনুল ইসলাম বুলবুল: আমি এই দুজনের একজনকেও টেস্ট দলে নিতাম না। দু’জনই অনেক ভাল এবং আমার প্রিয় খেলোয়াড়। কিন্তু একজনও টেস্ট ম্যাচের উপযুক্ত নয়। আমি নিয়ে আসতাম মাহমুদউল্লাকে। নিয়ে আসতাম মোসাদ্দেককে। ও তাড়াতাড়ি ফিট হয়ে যাবে। টপ অর্ডারে সৌম্যর বদলে মুমিনুল এবং মাঝে অবশ্যই মাহমুদউল্লাকে নেয়ার কথা বলব। মাহমুদউল্লাহ অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। আমার কাছে মনেহয় মিডল অর্ডারে মুশফিকের পর মাহমুদউল্লাহ সবচেয়ে টেকনিক্যাল সাউন্ড ব্যাটসম্যান। কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ও যে একটা ইনিংস খেলেছে, হোক সেটা ওয়ানডে। দায়িত্ব নিয়ে খেলা তার মধ্যে আছে। তাকে ছুড়ে ফেলে দেয়ার কোনো কারণ নেই। মুমিনুল এবং মাহমুদউল্লাকে আমি দলে চাই। 

- দুই বছর পর টেস্ট দলে ফিরেছেন নাসির হোসেন। টেস্ট দলে নাসিরকে নেয়া কতটা যৌক্তিক বলে মনেহয়?

আমিনুল ইসলাম বুলবুল: এই মুহূর্তে নাসির টেস্ট ম্যাচ খেলার মতো খেলোয়াড় নয়। নাসির ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির জন্য খুবই ভাল ক্রিকেটার। ও যে ব্যাটিং বা বোলিং করে শর্টার ভার্সন ক্রিকেটে ও খুবই কার্যকর। ওকে শর্টার ভার্সনেই বেশি খেলানো উচিত। তবে মাহমুদউল্লাহ ফিরলে সবকিছু ঠিক হবে বলে মনেহয়। নাসিরকে কি কারণে নেওয়া হয়েছে আমি জানি না। হয়তো তার অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। 

- মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত দলে ছিল। পরবর্তীতে তাকে বাদ দিয়ে মুমিনুলকে দলে নেওয়া হয়। মোসাদ্দেককে খেলানোর ব্যাপারে আপনার কী পরামর্শ? 

আমিনুল ইসলাম বুলবুল: মোসাদ্দেক হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যতের খেলোয়াড়। আমার দেখা যতগুলো তরুণ খেলোয়াড় এসেছে বাংলাদেশে, তার মধ্যে সে অন্যতম সেরা প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড়। অল্প বয়সে এই ছেলেটা এত পরিণত। সে অসাধারণ খেলোয়াড়। এবং তাকে ডিস্টার্ব না করাই ভাল। 

- বাংলাদেশ দলের টেস্ট বোলিংটা কেমন হচ্ছে? 

আমিনুল ইসলাম বুলবুল: আমাদের যে উইকেট, এই উইকেটে সাকিব-মিরাজ-তাইজুল, খুব ভাল বল করছে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়াতে গিয়ে যখন খেলবেন তখন এটা কোনো বোলিংই না। ওই উইকেটের সাথে এই বোলিং কাজে আসবে না। আমাদের ফাস্ট বোলাররা কেমন করছে সেটা দেখার বিষয়। এই উইকেটে আমরা ভাল করছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় হয়তো আমাদের জেনুইন অলরাউন্ডার সাকিব ভাল করবে। তবে পেসারদের ভাল করতে হবে। আমার কাছে মনেহয় মুস্তাফিজ ফিরে আসছে। তবে আমার খারাপ লাগে আল আমিনের জন্য। আমার দেখা দারুণ একজন বোলার সে। বিশেষ করে বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে। এই ছেলেটা কোথায় আছে আমি জানি না। আবার এত ধারাবাহিক একজন বোলার রুবেল, সে কোথাও নেই। এদের যতটা ব্যবহার করা উচিত ছিল, আমরা ততটা ব্যবহার করিনি। অযথা আমরা সময় নষ্ট করেছি তাসকিনের পেছনে। তাসকিন তরুণ ভাল বোলার। কিন্তু ওরা আরো ভাল বোলার। 

পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে এ মাসেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই সিরিজে বাংলাদেশ দলের জন্য কোনো পরামর্শ থাকবে কি না?

আমিনুল ইসলাম বুলবুল: সম্পূর্ণ অন্যরকম একটা উইকেটে খেলতে যাচ্ছি আমরা। ঘরের মাটিতে যা খেলি এটার সাথে মিল পাওয়া যাবে না। এটা হবে সম্পূর্ণ অন্যরকম একটা ক্রিকেট। অন্যরকম বলতে অস্ট্রেলিয়া বাউন্সি উইকেটে খেলে, কিন্তু ঢাকায় গিয়ে খেলেছে স্লো উইকেটে। ঠিক সেভাবে আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে যাচ্ছি। ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমি অতটা চিন্তিত নই। টেস্ট ম্যাচ নিয়ে আমি সত্যিই চিন্তিত। সিরিজ শেষ হয়েছে। আমার মনেহয় দুই-তিন দিনের বিশ্রাম দিয়ে এবং যাওয়ার আগে মেশিনে এক থেকে দেড় হাজার বল লিভিং, ব্যাকিং এবং হুকিং- এসব করে যাওয়া উচিত। এক থেকে দুই হাজার বল খেলে যাওয়া উচিত। না হলে মানিয়ে নেয়া কঠিন হয়ে যাবে আমাদের জন্য।

 

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...