ইয়াঙ্গুনে রয়টার্সের অফিসে কর্মরত আটককৃত দুই সাংবাদিক। চলতি বছরের ডিসেম্বরে ছবিটি তোলা হয়। সংগৃহীত ছবি

মিয়ানমারে আটক রয়টার্সের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন

দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সুচির অফিসের মুখপাত্র জাও থায় রোববার রাতে ফোনে রয়টার্স-কে জানান, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে মামলাটি প্রেসিডেন্টের দফতরে পাঠিয়েছে। আর তা এগিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ২১:২১ আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০১৮, ০৪:০০
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ২১:২১ আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০১৮, ০৪:০০


ইয়াঙ্গুনে রয়টার্সের অফিসে কর্মরত আটককৃত দুই সাংবাদিক। চলতি বছরের ডিসেম্বরে ছবিটি তোলা হয়। সংগৃহীত ছবি

(প্রিয়.কম)  আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে মিয়ানমারে আটক হওয়া বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি থিন কিয়াও। রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন অনুযায়ী এখন তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারবে দেশটির পুলিশ।

১৮ ডিসেম্বর সোমবার দেশটির সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে গত ১৪ ডিসেম্বর আটক হন রয়টার্সে কর্মরত দুই সাংবাদিক। তারা হলেন- ওয়া লন ও কিঁয় সোয়ে। পুলিশের আমন্ত্রণে ইয়াঙ্গুনে ৮-ব্যাটালিয়নের সদর দফতরে নৈশভোজে অংশ নিতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার পরদিন দেশটির তরফে তাদের আটকের খবর নিশ্চিত করা হয়। তাদের সঙ্গে আটক করা হয় দুই পুলিশ সদস্যকেও।  

দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সুচির অফিসের মুখপাত্র জাও থায় রোববার রাতে ফোনে রয়টার্স-কে জানান, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে মামলাটি প্রেসিডেন্টের দফতরে পাঠিয়েছে। আর তা এগিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ 

তবে এই নির্দেশের নেপথ্যে ব্যক্তিগতভাবে সুচি না থিন কিঁয়াও জড়িত, তা পরিষ্কার করতে সোমবার সকালে জাও থায়ের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আর তাতে এটাও জানা সম্ভব হয়নি যে, প্রেসিডেন্ট নিজেই নাকি তার পক্ষে অন্য কোনো কর্মকর্তা মামলার অনুমদনপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। 

১৯২৩ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনামলে প্রবর্তিত দেশটির রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনের ১৩ ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে মামলা চালাতে হলে রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। 

এদিকে রয়টার্সের ওই সাংবাদিকদের মুক্তি চেয়ে জাতিসংঘ ও বেশ কয়েকটি দেশের সরকার সরব রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রিটেন, সুইডেন আর বাংলাদেশও রয়েছে সেই তালিকায়। 

এর আগে জাও থায় সাংবাদিকদের বলেন, সাংবাদিকেরা আইনি সুরক্ষা পাবেন। আমি আপনাদের এ বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারি।

তবে আটকের এক সপ্তাহ পূর্ণ হতে চললেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি ওই সাংবাদিকদের। এমনকি তাদের কোথায় আটক রাখা হয়েছে, সে বিষয়েও কোনো তথ্য জানানো হয়নি। 

প্রিয় সংবাদ/শান্ত    

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...